Chapter 6 -
ভারতীয় দর্শন
1. একটি সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন:
(a) 'দর্শন' শব্দটি কোথা থেকে এসেছে?
উত্তৰঃ দর্শন শব্দটি সংস্কৃত শব্দ 'দ্রিশ' থেকে এসেছে যার অর্থ দেখা বা সাক্ষ্য দেওয়া।
(খ) ভারতীয় দর্শনের দুটি প্রধান শাখা কী কী?
উত্তৰঃ ভারতীয় দর্শনের দুটি প্রধান শাখা রয়েছে: নাস্তিক এবং নাস্তিক।
(c) ন্যায় দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তৰঃ মহর্ষি গৌতম ছিলেন ন্যায় দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা।
(d) চারটি আর্যসত্য কোন দর্শনের অন্তর্গত?
উত্তৰঃ চারটি আর্য সত্য বৌদ্ধ দর্শনের অন্তর্গত।
(ঙ) বৌদ্ধ দর্শন কি অ-বৈদিক নাকি বৈদিক দর্শন?
উত্তৰঃ অ-বৈদিক দর্শন।
2. সঠিক উত্তর চয়ন করুন:
(a) চার্বাক দর্শন বৈদিক/অ-বৈদিক দর্শন।
উত্তৰঃ অ-বৈদিক দর্শন।
(b) মহর্ষি গৌতম/পতঞ্জলি/কপিল মুনি সংখ্যা দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা।
উত্তৰঃ কপিল মুনি।
(গ) বিচারের দর্শন অনুসারে তিন/চার/পাঁচ প্রকারের কারণ রয়েছে।
উত্তৰঃ তিন প্রকার।
(d) সংখ্যা দর্শন কার্যকারণের অ-কার্যবাদ/প্রত্যক্ষতাবাদকে সমর্থন করে।
উত্তৰঃ শুভবুদ্ধি।
(ঙ) সার্বক দর্শন বস্তুবাদী/আধ্যাত্মিক।
উত্তৰঃ জড়বাদী।
3. ভারতীয় দর্শনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা করুন।
উত্তৰঃ ভারতীয় দর্শনের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল:
(1) ভারতীয় দর্শন বেদ দ্বারা প্রভাবিত।
(2) ভারতীয় দর্শন একটি ব্যবহারিক পদ্ধতির প্রতিফলন করে।
(3) ভারতীয় দর্শন হল আধ্যাত্মিক অতৃপ্তি থেকে দার্শনিক জ্ঞান লাভের প্রচেষ্টা।
4. ভারতীয় দর্শনের প্রকৃতি সম্পর্কে লিখুন।
উত্তৰঃ ভারতীয় দর্শনের অর্থ হল মানুষ সত্য জ্ঞানের সাহায্যে তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে এবং সঠিক বিচারের দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারতীয় দর্শন ও ধর্ম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারতীয় দর্শনের সবচেয়ে বৈশিষ্ট্য হল ধর্মের সাথে এর গভীর অন্তর্নিহিত সম্পর্ক। ভারতীয় দর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এর সিন্থেটিক পদ্ধতি। সহনশীলতা, উদারতা এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক ভারতীয় দর্শনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
5. ভারতীয় দর্শনকে শ্রেণিবদ্ধ করুন।
উত্তৰঃ ভারতীয় দর্শন দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত: নাস্তিক দর্শন এবং নাস্তিক দর্শন।
আস্তিক দর্শন- নাস্তিক তারাই যারা সাধারণ অর্থে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। মূলত বেদের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে। যে সকল সম্প্রদায় বেদের প্রামাণিকতায় বিশ্বাস করে তাদেরকে নাস্তিক বলা হয়। সোজা কথায়, নাস্তিক দর্শন হল বৈদিক দর্শন। ন্যায়, বৈশেষিক, সাংখ্য, যোগ, মীমাংসা এবং বেদান্ত বেদের সত্যতা স্বীকার করে। এই ছয়টি সম্প্রদায়কে একত্রে বলা হয় ছয়টি দর্শন। ছয়টি দর্শন হল বৈদিক বা ঈশ্বরবাদী দর্শন। আস্তিক দর্শন দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত। তারা হল বেদানুগত এবং বেদবততন্ত্র।
নাস্তিক দর্শন- নাস্তিক তারাই যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। যেসকল সম্প্রদায় বেদের সত্যতা স্বীকার করে না তাদেরকে নাস্তিক বলা হয়। সহজ কথায়, নাস্তিক দর্শন হল অ-বৈদিক দর্শন। সার্বক, বৌদ্ধ ও জৈনরা বেদের সত্যতা অস্বীকার করেছে। তাই এই তিনটি সম্প্রদায়কে অ-বৈদিক বা নাস্তিক সম্প্রদায় বলা হয়।