Chapter 19 -
শান্তি
পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answer)
প্রশ্ন ১: শান্তি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: শান্তি বলতে বোঝায় সংঘর্ষ ও হিংসার অনুপস্থিতি এবং ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও সমঝোতার পরিবেশ। এটি শুধুমাত্র যুদ্ধের অনুপস্থিতি নয়, বরং ন্যায়, সাম্য, এবং মানবাধিকারের নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে গঠিত একটি ইতিবাচক অবস্থাও।
প্রশ্ন ২: ন্যায় এবং শান্তির মধ্যে কী সম্পর্ক রয়েছে?
উত্তর: ন্যায় ও শান্তি একে অপরের পরিপূরক। যেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয় না, সেখানে প্রকৃত শান্তি বজায় রাখা যায় না। সমাজে যদি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য থাকে, তাহলে সেখানে অশান্তির সৃষ্টি হয়। তাই শান্তির ভিত্তি স্থাপন করতে হলে ন্যায় প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।
প্রশ্ন ৩: নেতিবাচক ও ইতিবাচক শান্তির মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
-
নেতিবাচক শান্তি: যুদ্ধ বা সংঘর্ষের অনুপস্থিতি মাত্র।
-
ইতিবাচক শান্তি: সমাজে ন্যায়, সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার সুষম বণ্টনের মাধ্যমে গঠিত স্থায়ী ও গঠনমূলক শান্তি।
প্রশ্ন ৪: শান্তি স্থাপন ও রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের কী ভূমিকা থাকা উচিত?
উত্তর: রাষ্ট্রকে উচিত—
-
সুষ্ঠু ও ন্যায়পূর্ণ শাসন প্রতিষ্ঠা করা,
-
মানবাধিকার রক্ষা করা,
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করা,
-
নাগরিকদের মধ্যে সাম্য, স্বাধীনতা ও ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ বজায় রাখা।
প্রশ্ন ৫: জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার জন্য কী কী ভূমিকা পালন করে?
উত্তর: জাতিসংঘ সশস্ত্র সংঘাত বন্ধ করা, শান্তিচুক্তি করানো, শরণার্থীদের সহায়তা, মানবাধিকার রক্ষা এবং যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন ও সহযোগিতা প্রদান করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখার কাজ করে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answer)
প্রশ্ন ১: শান্তির অন্তরায় কী কী?
উত্তর:
-
সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য
-
সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় হিংসা
-
রাজনীতি ও ক্ষমতা দখলের জন্য সহিংসতা
-
সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধ
-
জাতিগত বিভাজন ও শোষণমূলক নীতি
প্রশ্ন ২: শান্তি শিক্ষা কেন প্রয়োজনীয়?
উত্তর: শান্তি শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, মানবতা এবং অসাম্প্রদায়িক মনোভাব গঠনে সাহায্য করে। এটি হিংসার পরিবর্তে সমঝোতা ও আলোচনার পথ বেছে নিতে শেখায়।
প্রশ্ন ৩: গাঁধীজীর দৃষ্টিতে শান্তির গুরুত্ব কী?
উত্তর: গাঁধীজীর মতে, অহিংসা ও সত্য শান্তির মূলভিত্তি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃত শান্তি অর্জনের জন্য আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, আত্মত্যাগ ও সহিষ্ণুতার প্রয়োজন। শান্তি তার কাছে ছিল এক নৈতিক আদর্শ।
প্রশ্ন ৪: শান্তির নীতি সমাজকে কীভাবে উপকৃত করে?
উত্তর: শান্তির নীতি সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখে, বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করে। এটি হিংসা ও বিভেদের পরিবর্তে ঐক্য ও সংহতি গঠনে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৫: আধুনিক সমাজে শান্তি স্থাপন কীভাবে সম্ভব?
উত্তর:
-
শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে,
-
মানবাধিকারের রক্ষা নিশ্চিত করে,
-
অর্থনৈতিক সাম্য ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে,
-
ধর্মনিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতার চর্চা করে,
-
আন্তর্জাতিক সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে।