Chapter 16 -
নাগরিকত্ব
ৰচনাধৰ্মী প্ৰশ্ন (Essay Type questions):
1) নাগরিকত্বের সংজ্ঞা দাও। নাগরিক ও বিদেশীদের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তৰঃ গ্রীক দার্শনিক এবং রাজনৈতিক চিন্তাবিদ অ্যারিস্টটলের মতে, "যে ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রের ইচ্ছাকৃত বা বিচারিক প্রশাসনে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে তাকে সেই রাষ্ট্রের নাগরিক বলা হয়। একজন নাগরিক এবং একজন বিদেশীর মধ্যে পার্থক্য হল:
1. 1. একজন নাগকির সেই দেশের স্থায়ী বাসিন্দা যেখানে, বিদেশীরা শুধুমাত্র অস্থায়ীভাবে সেই দেশে থাকে।
2. 2. নাগরিকদের তাদের দেশের প্রতি আনুগত্য দেখাতে হবে এবং বিদেশীদের তাদের নিজের দেশের প্রতি আনুগত্য দেখাতে হবে।
3. 3. একজন বিদেশীকে বসবাসের জন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিধান প্রযোজ্য নয়।
4. রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকদের অধিকারের পাশাপাশি কর্তব্যও রয়েছে। অন্যদিকে, একজন বিদেশী যে দেশে আসে তার বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তাকে বাধা দেওয়া হয় না।
2) নাগরিক কে? আমি কিভাবে নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারি? - আলোচনা।
উত্তৰঃ একজন নাগরিক এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করেন এবং রাষ্ট্রের প্রতি নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করেন। কিভাবে নাগরিকত্ব অর্জন করতে হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো:
সাধারণত দুটি উপায়ে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। 1. 1. 1. জন্মগতভাবে এবং স্বদেশীকরণের মাধ্যমে। যারা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জন করে তাদের বলা হয় প্রাকৃতিক নাগরিক এবং যারা প্রাকৃতিককরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করে তাদের বলা হয় প্রাকৃতিক নাগরিক। আধুনিক রাষ্ট্রগুলি সাধারণত এই তিনটি উপায়ে নাগরিকত্ব অর্জন করে।
1. জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জন যে কেউ জন্মসূত্রে একটি দেশের নাগরিক হতে পারে। একটি শিশু যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সে দেশের নাগরিক হয়। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভের নীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে (ক) রক্তের সম্পর্ক এবং (খ) জন্মস্থানের নীতি। জন্মনীতি অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বংশগতভাবে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এর মানে হল যে শিশুরা সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করে যে দেশের নাগরিক তাদের পিতামাতারা যে দেশে জন্মগ্রহণ করেন তা নির্বিশেষে।
2. 2. প্রাকৃতিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন: জন্মগত অধিকার ব্যতীত অন্য উপায়ে নাগরিকত্ব অর্জনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রাকৃতিককরণ প্রক্রিয়া। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে নাগরিকত্ব অর্জন করা সম্ভব। সেই উপায়গুলো হলঃ
(ক) দীর্ঘমেয়াদী বসবাস: একজন বিদেশীকে যে দেশে তিনি নাগরিকত্ব পেতে চান সেখানে কয়েক বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে।
(খ) বিবাহ: একজন বিদেশী মহিলা বিবাহের মাধ্যমে অন্য দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারেন।
(গ) সরকারি চাকরি গ্রহণ: কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কোনো দেশের সরকারের অধীনে দীর্ঘদিন চাকরি করেন, তাহলে তিনি তার নাগরিকত্ব ত্যাগ করে ওই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারেন।
3. 3. একটি অঞ্চল সংযুক্তির মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন: এই ব্যবস্থা অনুসারে, যদি কোনও রাজ্য কোনও প্রতিবেশী রাজ্যের একটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করে তবে সেই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেরা সংযুক্ত রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে যায়।
3. নাগরিকত্ব হারানোর কারণ বর্ণনা করুন।
উত্তৰঃ নাগরিকত্ব যেমন অর্জিত হয় তেমনি নাগরিকত্ব হারাতে পারে। বিভিন্ন কারণে একজন ব্যক্তি তার নাগরিকত্ব হারাতে পারেন।
(ক) এক দেশের নাগরিক অন্য দেশের জাতীয়করণকৃত নাগরিকত্ব অর্জন করলে, সে তার নিজের দেশের নাগরিকত্ব হারাবে। কারণ একজন ব্যক্তি একই সময়ে দুই দেশের নাগরিক হতে পারে না।
(b) যদি একজন মহিলা অন্য দেশের নাগরিককে বিয়ে করেন এবং তার বিদেশী স্বামীর নাগরিকত্ব অর্জন করেন, তাহলে তিনি তার নাগরিকত্ব হারাবেন।
(গ) যদি একজন নাগরিক তার দেশের অনুমতি ব্যতীত একটি বিদেশী রাষ্ট্রের অধীনে কাজ করে তবে সে তার দেশের নাগরিকত্ব হারাবে।
(d) একজন নাগরিক তার দেশের সশস্ত্র বাহিনী থেকে বিচ্যুত হলে তার নাগরিকত্ব হারায়।
(ঙ) একজন নাগরিক তার দেশের নাগরিকত্ব হারাবেন যদি তিনি তার দেশের অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশী রাষ্ট্র থেকে কোনো সম্মান বা উপাধি পান।
4. আজকাল বেশিরভাগ গণতন্ত্রে নাগরিকরা কী অধিকার আশা করে? তাদের দেশের অন্যান্য নাগরিকদের বাধ্যবাধকতা কি?
উত্তৰঃ
5. সার্বজনীন নাগরিকত্বের ধারণাটি পরীক্ষা করুন।
উত্তর
6. নাগরিকদের সমান অধিকার দেওয়া হলেও, সবাই তাদের সমানভাবে প্রয়োগ করতে পারে না। - ব্যাখ্যা কর।
উত্তর
7. একজন ভালো নাগরিকের গুণাবলী কী কী?
উত্তৰঃ রাষ্ট্রের ভালো-মন্দ নির্ভর করে তার নাগরিকদের কর্মের ওপর। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছিলেন যে "মানুষ তাদের প্রাপ্য ধরনের সরকার পায়" তাই একটি দেশের নাগরিকরা ভাল হলে রাষ্ট্র ভাল হবে। সুস্থ ও সবল রাষ্ট্র গড়তে হলে রাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে সুনাগরিক হতে হবে।
একজন সুনাগরিক হতে হলে তাকে নিম্নলিখিত গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে: বুদ্ধিমত্তা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, বিবেক, শিক্ষা, উত্তম চরিত্র, বিবেক, সততা ও উদারতা, সাহস, রাজনৈতিক চেতনা, দেশপ্রেম, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, সহনশীলতা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা।
(a) বুদ্ধিমত্তা: বুদ্ধিমত্তা হল বিচার করার ক্ষমতা। একজন সুনাগরিক তিনিই যিনি সঠিক কোনটি ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং কোন বিষয়ে মতামত দিতে পারেন।
(b) আত্মনিয়ন্ত্রণ: আত্মনিয়ন্ত্রণ হল একজন সুনাগরিক হওয়ার অন্যতম গুণ। নৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ অর্জন করা যায়। স্ব-নিয়ন্ত্রিত লোকেরা সাধারণ মঙ্গলের জন্য কাজ করে। এমন নাগরিকরাই দেশের কল্যাণ সাধন করতে পারে।
(গ) বিবেকবান: একজন ভালো নাগরিক হতে হলে তাকে অবশ্যই বিবেকবান হতে হবে। নাগরিকরা বিবেকবান হলেই একটি আদর্শ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।
(d) শিক্ষা: শিক্ষা ভালো নাগরিকের জন্য অপরিহার্য। সুশিক্ষার মাধ্যমে নাগরিকরা মহান গুণাবলী অর্জন করতে পারে। যে ব্যক্তি সুশিক্ষিত নয় সে কখনই সুনাগরিক হতে পারে না।
(ঙ) সৎ চরিত্র: একজন সুনাগরিক হতে হলে একজন ব্যক্তির অবশ্যই সৎ চরিত্র থাকতে হবে।
(চ) বিবেক: বিবেকবোধ একজন ভালো নাগরিকের আরেকটি গুণ। একজন বিবেকবান ব্যক্তি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন।
(ছ) সাহসঃ সাহস একজন সুনাগরিকের বড় গুণ। একজন ভালো নাগরিকের সাহস থাকে। যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা তার আছে।
8. ভাল নাগরিকত্বের প্রতিবন্ধকতা কি কি?
উত্তৰঃ
9. সর্বজনীন নাগরিকত্ব সম্পর্কে আপনি যা জানেন তা লিখুন।
উত্তৰঃ সর্বজনীন নাগরিকত্ব রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিয়ে গঠিত। নাগরিক হল এমন ব্যক্তি যারা স্থায়ীভাবে একটি রাষ্ট্রে বসবাস করে এবং এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে প্রদত্ত অধিকার ও সুরক্ষা উপভোগ করে।
নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রে বসবাসকারী এবং কর্মরত সকল ব্যক্তির সমান ও পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আজ, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ সর্বজনীন নাগরিকত্বের ধারণাকে সমর্থন করে। সমস্ত রাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে। এই নীতিগুলি দেশের সংবিধান ও আইনে সুস্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ এবং অন্যান্য কারণও মানুষকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করতে পারে। যেমন, দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি জমাচ্ছে। এই লোকেরা রাষ্ট্রহীন হয়ে যায় যদি একটি রাষ্ট্র তাদের আশ্রয় দিতে না চায় এবং যদি তারা তাদের দেশে ফিরে যেতে না পারে। বাংলাদেশ থেকে 1972 সালের যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে।
10. বিশ্ব নাগরিকত্ব বলতে কী বোঝায় তা লিখুন।
উত্তৰঃ বিশ্ব নাগরিকত্বের ধারণাটি বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নতুন উদ্ভাবন যেমন টেলিভিশন, ইন্টারনেট এবং টেলিফোন বিশ্বজুড়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশ্বের যেকোনো স্থানে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই তাৎক্ষণিকভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পৃথিবীর সব মানুষই কমবেশি যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ভূমিকম্পের শিকার হয়। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের মধ্যে সচেতনতা, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হয়েছে।
আজকের সমস্যাগ্রস্ত দেশগুলি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যা তাদের পক্ষে একা সমস্ত সমস্যার সমাধান করা অসম্ভব করে তোলে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, একটি রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত অধিকার ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা করে। তাই মানবাধিকার ও বৈশ্বিক নাগরিকত্বের প্রয়োজন অবশ্যই আছে। অনেক বুদ্ধিজীবী মন্তব্য করেছেন যে বৈশ্বিক নাগরিকত্ব রাষ্ট্রের সীমানার বাইরে উদ্ভূত সমস্যা দ্রুত সমাধানে সাহায্য করবে।
11. বিশ্ব নাগরিকত্ব আলোচনা কর।
উত্তৰঃ বৈশ্বিক নাগরিকত্বের প্রবক্তারা বিশ্বাস করেন যে বিশ্বের কোনো দেশ বা অঞ্চলের মানুষ যখন অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সারা বিশ্বের মানুষ সাহায্য করতে আসে। এই ধরনের সহযোগিতা বৈশ্বিক সমাজ গঠনের ইঙ্গিত দেয়।
একটি দেশের জাতীয় নাগরিকত্ব আজকের বিশ্ব মর্যাদায় মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত অধিকার এবং সুরক্ষা প্রদান করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে দেশগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যা কিছু সমস্যার সৃষ্টি করছে। এই সমস্যাগুলি একা সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে না।
12. জাতীয় নাগরিকত্ব কি? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর
13. প্রাকৃতিকীকরণ সূত্রের মাধ্যমে একজন নাগরিক যেভাবে নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারে তা বর্ণনা করুন।
উত্তর
14. বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নাগরিকত্ব কি সম্ভব? আলোচনা
উত্তর
15. আমাদের দেশ ভারতে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সমস্যাগুলি আলোচনা কর।
উত্তর
16. একজন নাগরিকের কর্তব্য কি?
উত্তৰঃ নাগরিকদের দ্বারা সম্পাদিত দায়িত্বগুলিকে কর্তব্য বলে। দায়িত্ব দুটি ভাগে বিভক্ত। আইনি দায়িত্ব এবং নৈতিক দায়িত্ব। আইনি কর্তব্য হল আইন যা দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে এবং লঙ্ঘনের শাস্তি দেয়। নৈতিক কর্তব্য হল সেই সকল যার উপর সমাজ নৈতিকতার উপর নির্ভর করে। তাদের বলা হয় নৈতিক কর্তব্য।
নাগরিকদের কর্তব্য:
(1) পরিবারের প্রতি কর্তব্য: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পরিবারের প্রতি কর্তব্য। পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত না হলে সামাজিক সম্পর্ক মজবুত হয় না।
(২) রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য রাষ্ট্রের প্রতি একজন নাগরিকের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। মাতৃভূমি ও রাষ্ট্র রক্ষা প্রত্যেক নাগরিকের মহান কর্তব্য।
(৩) জনসেৱাঃ সমাজের প্রতি নাগরিকদেরও অনেক কর্তব্য রয়েছে। মানুষ সমাজের আশ্রয় নিয়ে ভালোভাবে বাঁচে।
(৪) আইন মানি চলাঃ নাগরিকদের জাতীয় আইন মানতে হবে।
(5) কর কর্তনের অর্থ প্রদান: নাগরিকরা সময়মত ইউটিআইতে রাষ্ট্রের কারণে কর পরিশোধ করে।
(6) সততার সাথে ভোট দিন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভোট দেওয়া নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য। সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করতে না পারলে গণতন্ত্র সফল হয় না।
(৭) আইন-শৃংখলা ৰক্ষাঃ জনগণের সহায়তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের পক্ষে অসম্ভব।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন ( সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন )
1. একজন ভালো নাগরিকের যে কোন পাঁচটি গুণের নাম বলুন।
উত্তৰঃ একজন সুনাগরিকের পাঁচটি গুণ হল:
(ক) বুদ্ধিমত্তা: বুদ্ধিমত্তা হল বিচার করার ক্ষমতা।
(খ) আত্মসংযমঃ একজন সুনাগরিক হওয়ার অন্যতম গুণ হল আত্মনিয়ন্ত্রণ।
(গ) শিক্ষাঃ সুনাগরিকের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য।
(d) সৎ চরিত্র একজন সৎ নাগরিক হতে হলে সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। এবং
(ঙ) সাহসিকতাঃ সাহস একজন সুনাগরিকের বড় গুণ।
2. ভারতে নাগরিকত্ব নিয়ে আজকাল উত্থাপিত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন।
উত্তর
3. মার্টিন লুথার কিং এর নাগরিকত্বের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তৰঃ 1950 এর দশক থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ দক্ষিণ রাজ্যে শ্বেতাঙ্গ এবং কালোদের মধ্যে অসমতার বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার আন্দোলন হয়েছে। তারা বর্ণবাদী বিশেষ আইনের মাধ্যমে দক্ষিণের এই রাজ্যগুলোতে বৈষম্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই আইন কালো বাসিন্দাদের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। এই বর্ণবাদী আইন হোটেল, ট্রেন এবং নাচের হলের মতো বিভিন্ন জায়গায় কালো এবং সাদাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে।
ছোট মার্টিন লুথার কিং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি যিনি এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। তিনি বিদ্যমান বর্ণবাদী আইনের বিরুদ্ধে অনেক যুক্তি তুলে ধরেন। আত্মসম্মান ছিল তার প্রথম যুক্তি। জাতি, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে আত্মসম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে পৃথিবীতে সবাই সমান। দ্বিতীয়ত, বর্ণবাদী নীতি কালো মানুষের মর্যাদা ও জীবিকাকে ক্ষুন্ন করেছে।
4. পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কিছু কাজ উল্লেখ করুন। . . . .
উত্তর
5. সমান অধিকার সম্পর্কে আপনি যা জানেন তা লিখুন।
উত্তর
6. নাগরিক এবং বিদেশীদের মধ্যে চারটি পার্থক্য উল্লেখ করুন।
উত্তৰঃ নাগরিক এবং বিদেশীদের মধ্যে চারটি পার্থক্য রয়েছে:
(ক) একজন নাগরিক সেই দেশের স্থায়ী বাসিন্দা কিন্তু বিদেশীরা সেই দেশের অস্থায়ী বাসিন্দা। বিদেশিদের মেয়াদ শেষ হলে তারা দেশে ফিরে যায়।
(খ) নাগরিকদের তাদের রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য দেখাতে হবে। কিন্তু বিদেশিদের নিজেদের দেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন অব্যাহত রাখা উচিত।
(c) একজন বিদেশীকে বসবাসের জন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
(d) নাগরিকদের অধিকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য রয়েছে। যাইহোক, একজন বিদেশী রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্ব ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয় না যেখানে তিনি আসেন।
7. বিশ্ব নাগরিকত্ব।
উত্তৰঃ বিশ্ব নাগরিকত্বের ধারণাটি আজকাল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নতুন আবিষ্কার যেমন ইন্টারনেট, টেলিভিশন এবং টেলিফোন। এই প্রভাব বিশ্বজুড়ে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ পৃথিবীর সকল মানুষকে কমবেশিভাবে প্রভাবিত করেছে।
8. অন্যান্য দেশে বিদেশীরা কোন অধিকার ভোগ করতে পারে?
উত্তৰঃ বিদেশীরা ন্যূনতম নাগরিক অধিকার সহ একটি রাষ্ট্রে বাস করত।
9. নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার।
উত্তৰঃ রাজনৈতিক অধিকার আইনগত অধিকারগুলির মধ্যে একটি। রাজনৈতিক অধিকার হল সেই সমস্ত অধিকার যার মাধ্যমে জনগণ দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারে। বিদেশীরা রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। এই অধিকারের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে:
(ক) ভোট দেওয়ার অধিকার: রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে ভোটের অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। এটি জনগণকে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে দেয়।
(খ) নির্বাচিত হওয়ার অধিকার: এই অধিকার ছাড়া ভোটের অধিকার মূল্যহীন হয়ে পড়ে।
(গ) সরকারি চাকরির অধিকার: এই অধিকার মানুষকে জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে দেয়।
(ঙ) আপিলের অধিকার: আবেদন করার অধিকার মানে প্রত্যেক নাগরিকের সমাজের সদস্য হিসেবে এই অধিকার রয়েছে।
(চ) সরকারের সমালোচনা করার অধিকার: এই অধিকার একনায়কতন্ত্রে দেওয়া হয় না।
10. নাগরিক এবং ভোট কি একই? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তৰঃ নাগরিক এবং ভোটার উভয়ই রাষ্ট্রের নাগরিক হলেও নাগরিক ও ভোটারদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
11. নাগরিকত্বের ধারণাটি কীভাবে অধিকারের সাথে সম্পর্কিত? আলোচনা
উত্তৰঃ
12. ভাল নাগরিকত্বের প্রতিবন্ধকতা কি কি?
উত্তর
13. কীভাবে ফরাসি বিপ্লবকে নাগরিকত্বের ধারণার একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে?
উত্তর
14. কেন দারিদ্র্যকে সুনাগরিকত্বের অন্তরায় বলা হয়?
উত্তর
15. একজন ভালো নাগরিকের তিনটি গুণের নাম বলুন।
উত্তৰঃ একজন ভালো নাগরিকের তিনটি গুণ হলো:
(ক) বুদ্ধিমত্তা: বুদ্ধিমত্তা হল বিচার করার ক্ষমতা।
(খ) বিবেকসম্পন্নঃ একজন সুনাগরিক হতে হলে তাকে বিবেকবান হতে হবে।
(গ) শিক্ষাঃ সুনাগরিকের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। যে ব্যক্তি সুশিক্ষিত নয় সে কখনই সুনাগরিক হতে পারে না।
16. অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তৰঃ অধিকার ও কর্তব্যের জন্ম হয় মানুষের সামাজিক বোধ থেকে। অধিকার হল স্ব-বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা। এই সুবিধাগুলি ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়ের কল্যাণ সর্বাধিক করতে পারে।
অধিকার ও কর্তব্য প্রসঙ্গে অধ্যাপক হবহাউস বলেন, ধাক্কাধাক্কি না করে রাস্তায় হাঁটার অধিকার যদি আমার থাকে, তাহলে প্রয়োজন মতো আমাকে রাস্তা দেওয়া অন্যের কর্তব্য।
কর্তব্য সবসময় পারস্পরিক হয়. রাষ্ট্র ব্যক্তির জন্য এবং ব্যক্তি সমাজের জন্য। এই নীতি অধিকার এবং কর্তব্য আবদ্ধ. কর্তব্য শুরু হয়েছিল মানুষের সামাজিক প্রকৃতি দিয়ে। অধিকার ও কর্তব্য নাগরিক জীবনের সাথে আবদ্ধ। সকল অধিকারের একটি সামাজিক দিক আছে। প্রত্যেক নাগরিকের উচিত এভাবে তার অধিকার প্রয়োগ করা। অধিকার ও কর্তব্যের ধারণাও বিভিন্ন সমাজে পরিবর্তিত হয়। কিছু রাজ্যে, কর্তব্যের উপর অধিকারের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, অধিকার ও কর্তব্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
17. নাগরিকদের কর্তব্য সম্পর্কে একটি নোট লিখুন।
উত্তৰঃ নাগরিকদের কর্তব্য নিচে আলোচনা করা হল
নাগরিকদের যে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাকে কর্তব্য বলে। নাগরিক কর্তব্য তিনটি দিক থেকে বিচার করা যেতে পারে। এগুলি হল (ক) রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য, (খ) সমাজের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি কর্তব্য এবং (গ) সমাজের প্রতি কর্তব্য।
পরিবারের প্রতি কর্তব্য হল সর্বোচ্চ নাগরিক কর্তব্য। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় না হলে সামাজিক বন্ধন থাকে না। সমাজকল্যাণে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। নাগরিকরা যদি রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করে তাহলে তা হবে তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য।
খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন (খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন):
1) নাগরিকত্বের সংজ্ঞা দাও।
উত্তৰঃ গ্রীক দার্শনিক এবং রাজনৈতিক চিন্তাবিদ অ্যারিস্টটলের মতে, "যে ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রের ইচ্ছাকৃত বা বিচারিক প্রশাসনে অংশগ্রহণের ক্ষমতা রাখে তাকে সেই রাষ্ট্রের নাগরিক বলা হয়"
2. নাগরিকদের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর_
3. নাগরিকদের তিনটি কর্তব্য লিখ।
উত্তৰঃ একজন নাগরিকের তিনটি কর্তব্য হল (ক) রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য, (খ) সমাজের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি কর্তব্য এবং (গ) সমাজের প্রতি কর্তব্য।
4. একজন ভালো নাগরিকের দুটি গুণের নাম বলুন।
.
উত্তৰঃ একজন ভালো নাগরিকের দুটি গুণ রয়েছে:
(ক) শিক্ষা: সুনাগরিকের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য।
(খ) সহনশীলতা: সহনশীলতা একজন ভালো নাগরিকের একটি বড় গুণ।
5) সমান নাগরিকত্ব কি?
উত্তর
6. নাগরিকদের দুটি অর্থনৈতিক অধিকার উল্লেখ করুন।
উত্তৰঃ নাগরিকদের দুটি অর্থনৈতিক অধিকার হল:
(ক) কাজের অধিকার: কাজের অধিকার বর্তমান যুগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অধিকার। এই অধিকার ছাড়া মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে না।
(খ) বিশ্রামের অধিকার: প্রতিটি নাগরিকের বিশ্রামের অধিকার প্রয়োজন। অ্যারিস্টটল বলেছিলেন "সুখের জন্য বিশ্রাম অপরিহার্য"
7. উদ্বাস্তুদের মুখোমুখি হওয়া দুটি সমস্যার নাম বল।
উত্তর
8. অবাধ চলাচল কি নির্দেশ করে?
উত্তর
9. ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের দুটি পদ্ধতির নাম দাও।
উত্তর
10. নাগরিক এবং বিদেশীদের মধ্যে দুটি পার্থক্য বলুন।
উত্তর
11. বিশ্ব নাগরিকত্বের মাধ্যমে কি জাতীয় নাগরিকত্বের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব? যদি সম্ভব হয়, কিভাবে?
উত্তর
12. অ্যারিস্টটল কাকে নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করেননি?
উত্তর
13. একজন মানুষ যখন বহু বছর ধরে তার দেশের বাইরে থাকে তখন কী হয়?
উত্তর
14. জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর
15. নাগরিক ও অধিকারের মধ্যে সম্পর্ক লিখ।
উত্তর
16. নাগরিকত্ব অর্জনের দুটি পদ্ধতির নাম দাও।
উত্তৰঃ নাগরিকত্ব অর্জনের দুটি পদ্ধতি রয়েছে:
(ক) জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জন: যে কেউ জন্মসূত্রে একটি দেশের নাগরিক হতে পারে। একটি শিশু যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সে দেশের নাগরিক হয়।
(খ) প্রাকৃতিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন: জন্মগত অধিকার সূত্র ব্যতীত অন্য উপায়ে নাগরিকত্ব অর্জনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে একজন বিদেশী নাগরিক অন্য দেশের নাগরিক হতে পারবেন।
উদ্দেশ্য ধরনের প্রশ্ন:
1) কাজ করার অধিকার কি নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার?
উত্তর
2. "নাগরিকত্ব ও শ্রেণী সমাজ" বইটি কে লিখেছেন?
উত্তর
3. ভারতীয় নাগরিকত্ব হারানোর একটি কারণ লিখুন।
উত্তর
4. জন্মসূত্রে প্রকৃত নাগরিকত্বের একটি নীতি বলুন।
উত্তর
5. উত্তম নাগরিকত্বের একটি গুণের নাম বলুন।
উত্তর
6. কে বলেছেন যে সর্বজনীন ভোটাধিকারের আগে সর্বজনীন শিক্ষা প্রয়োজন?
উত্তর
7. একজন ব্যক্তি কি একই সময়ে দুটি দেশের নাগরিক হতে পারেন?
উত্তর
8. ভারতের নাগরিকত্ব আইন পাশ হয় কোন সালে?
উত্তর
9. ভারতের নাগরিকত্ব আইন কে সংশোধন করতে পারে?
উত্তর
10. টি.এইচ. মার্শাল কে ছিলেন?
উত্তর
11. একজন বিদেশী নাগরিক রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারেন। (সত্য বা মিথ্যা)
উত্তর
12. একজন বিদেশীর কোন নাগরিক অধিকার নেই। (সঠিক বা ভুল লিখুন)
উত্তর
13. একজন বিদেশীকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা যেতে পারে। (হ্যাঁ বা না লিখুন)।
উত্তর
14. একজন বিদেশী রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে। (হ্যাঁ বা না লিখুন)।
উত্তর
15. কাজ করার অধিকার রাজনৈতিক অধিকার। (হ্যাঁ বা না লিখুন)।
উত্তর
16. সঠিক উত্তর চয়ন করুন:
নাগরিকত্ব অর্জন করা যায়-
(ক) স্থায়ী বসবাসের মাধ্যমে (খ) বিবাহের মাধ্যমে
(c) সরকারি চাকরির মাধ্যমে (d) উপরের সবগুলোর মাধ্যমে।
17. নিচের কোনটি ভালো নাগরিকত্বের গুণ নয় -
(a) শিক্ষা (b) দেশপ্রেম (c) সুস্বাস্থ্য (d) অজ্ঞতা