Chapter 10

ভারতীয় গণতন্ত্র

খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:


1) 1945 সালে ইংল্যান্ডের নির্বাচনে কোন দল জিতেছিল?


উত্তর:- শ্রমিক শ্রেণী।



2. ভারতে "ক্যাবিনেট মিশন" কবে আসে?


উত্তর:- 1946 সালের মার্চ মাসে।



3. গণপরিষদের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?


উত্তর:- ডঃ সচিদানন্দ সিন্হা।



4. খসড়া কমিটির চেয়ারম্যানের নাম কি?


উত্তর:- ডঃ বি আর আম্বেদকর।



5. সংবিধানের কতটি সংশোধনী অনুসারে প্রস্তাবনায় "সমাজতান্ত্রিক" এবং "ধর্মনিরপেক্ষ" শব্দগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল?


উত্তর:- ৪২ তম সংশোধনী।



6. কোন ল্যাটিন শব্দ থেকে ইংরেজি শব্দ Federation এসেছে?


উত্তর:- "ফোডাস" শব্দ থেকে এসেছে।



7. "যুক্তরাষ্ট্রের স্বদেশ" কে?


উত্তর:- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র.



8. ভারতে কি দ্বৈত নাগরিকত্ব ব্যবস্থা আছে?


উত্তর:- না, তা নয়।



9. ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারণাটি কোন দেশের সংবিধানের আদলে তৈরি?


উত্তর:- ইংল্যান্ডের সংবিধান থেকে।



সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:


1) ব্রিটিশ সরকার কেন ভারতে একটি "ক্যাবিনেট মিশন" পাঠায়?


উত্তর:- ভারতের জন্য একটি সংবিধানের খসড়া তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ এবং প্রস্তুতি তৈরি করতে একটি ক্যাবিনেট মিশন ভারতে পাঠানো হয়েছিল।



2. 15 আগস্ট 1947 থেকে 26 জানুয়ারী 1950 পর্যন্ত কোন আইন ভারতকে শাসন করেছিল এবং কে এই আইনের খসড়া তৈরি করেছিল?


উত্তর:- 1935 ভারত সরকার আইন। এই আইনটি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত হয়।



3. কেন প্রস্তাবনায় "আমরা ভারতের মানুষ" উল্লেখ আছে?


উত্তর:- প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে "আমরা ভারতের মানুষ" কারণ সংবিধানের প্রকৃত লেখক ভারতের জনগণ। সংবিধান ভারতের জনগণের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং ভারতের জনগণই এর মধ্যে একটি বড় শক্তি।



4. "সার্বভৌম" মানে কি?


উত্তর:- সার্বভৌম মানে 一


• রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা।

• স্বাধীন হওয়ার একটি রাষ্ট্র, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সমস্ত অধিকার উপভোগ করা।

• অন্যান্য বাহ্যিক শক্তির অধীন নয়।



5. সংবিধানের প্রস্তাবনায় 'সমাজতান্ত্রিক' ও 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দগুলো কোন বছরের কতটি সংশোধনী অনুসারে সন্নিবেশিত হয়েছে?


উত্তর:- 18 ডিসেম্বর 1976 তারিখের 42 তম সংশোধনী ǀ



6. একটি 'আধা-যুক্তরাষ্ট্র' কি?


উত্তর:- যে দেশের শাসনব্যবস্থা ফেডারেল সরকারের পাশাপাশি একটি কেন্দ্রীভূত সরকারের বৈশিষ্ট্য দেখায় তাকে 'আধা-ফেডারেল' বলা হয়



7. কোন আইন ঔপনিবেশিক ভারতে সীমিত সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করেছিল?


উত্তর:- 1935 সালের ভারত সরকার আইন ভারতে একটি সীমিত সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করেছিল।



দীর্ঘ প্রশ্নের উত্তর:


1) ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শগুলি কীভাবে প্রকাশ করা হয়েছে তা আলোচনা করুন।


উত্তৰঃ- ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা হল সংবিধানের প্রস্তাবনা। এটি সংবিধানের দর্শন, আদর্শ এবং উদ্দেশ্যগুলিকে সংক্ষিপ্ত করে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় কী উল্লেখ আছে তা জেনেই কেবল জানা যাবে। প্রস্তাবনাকে সংবিধানের প্রাণও বলা যেতে পারে।


        এখানে উল্লিখিত আদর্শগুলো হলো স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব।


(ক) স্বাধীনতাঃ- ভারতে বসবাসকারী প্রতিটি নাগরিককে চিন্তা, মত প্রকাশ, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা দেওয়া হয়।


(খ) ন্যায়়ঃ- সংবিধান প্রত্যেক ভারতীয়কে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দেয়। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি, ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে সামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজনৈতিক ন্যায়বিচার হল একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় সবাইকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া। অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ থেকে ধনী-দরিদ্রের শ্রেণী বিভাজন দূর করার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।


(গ) সমতাঃ- আইনের চোখে সবাই সমান। প্রথাগত সামাজিক বৈষম্য দূর করতে এবং সকলকে সমান সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারের সচেষ্ট হওয়া উচিত।


(ঘ) ভ্রাতৃত্ব:- ভারতে বসবাসকারী লোকেদের কাউকে ছোট না দেখে একে অপরের সাথে ভালবাসা এবং ভ্রাতৃত্বের সাথে আচরণ করা উচিত।



2. ‘সার্বভৌম’, ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’, ‘গণতান্ত্রিক’ এবং ‘প্রজাতন্ত্র’ বলতে কী বোঝায় তা ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ উপরোক্ত কথাগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো  


(ক) সার্বভৌম:-  


👉 এটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শক্তি।

👉 একটি প্রদত্ত ভূখণ্ডে সমস্ত অধিকার দিয়ে সমৃদ্ধ, স্বাধীন হওয়ার একটি রাষ্ট্র।

👉 অন্যান্য বাহ্যিক শক্তির অধীন নয়।


(খ) সমাজবাদীঃ-


👉 শ্রেণীহীন সমাজ যেখানে ধনী বা দরিদ্র নেই।

👉 উৎপাদন ব্যবস্থা রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।

👉 সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সম্পদের সমান বণ্টন হবে।


(গ) ধর্মনিরপেক্ষ:- 


👉 কোন ধর্মই সরকারী ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত নয়।

👉 সকল ধর্মকে সমান মনে করা হয়।

👉 প্রত্যেকে তাদের পছন্দের যে কোন ধর্ম গ্রহণ ও প্রচার করতে পারে।


(ঘ) গণতন্ত্র:-


👉 সরকার ব্যবস্থা যেখানে সাধারণ নির্বাচন নিয়মিত বিরতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে এবং সেই প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সরকার দেশ পরিচালনা করে।


(ঙ) প্রজাতন্ত্র:-

👉 রাষ্ট্রপ্রধান বংশগত নয়।

👉 তিনি পরোক্ষভাবে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত।



3. নেহরুর উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলি আলোচনা কর।


উত্তর:- 13 ডিসেম্বর 1946 তারিখে গণপরিষদের প্রথম বৈঠকে নেহেরু বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য প্রস্তাব করেন। গণপরিষদ 22 জানুয়ারী রেজুলেশন গৃহীত হয়


        এর প্রধান প্রস্তাবগুলি হল 一


1) গণপরিষদ ভারতকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক দেশ ঘোষণা করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


2. রাজ্যগুলির ইউনিয়ন ব্রিটিশ ভারতের অঞ্চলগুলি এবং দেশীয় রাজ্যগুলি নিয়ে গঠিত হবে যা ভারতের অংশ হতে চায়৷


3. সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার, সাম্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষা, ভারতের জনগণের চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্বীকৃত হবে।


4. দেশে বসবাসকারী তফসিলি জাতি, উপজাতি, অনুন্নত সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদান করা হবে।


5) দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় জোর দেওয়া হবে।


6. ভাল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশ্ব শান্তি বজায় রাখা এবং জনগণের কল্যাণের জন্য ভারত পূর্ণ সহযোগিতা করবে।


7) জনগণ সকল ক্ষমতার অধিকারী। সরকার ও তার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জনগণের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করবে।


8. ইউনিয়নে যোগদানকারী সহযোগী আদিবাসী রাজ্যগুলি অবশিষ্ট ক্ষমতা সহ স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন করবে।


        নেহরুর প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং দেশের হাজার হাজার বছরের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ওপর জোর দিয়ে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নকারীরা সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন।



4. ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।


উত্তরঃ- একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তা ভারতের নেই। ভারতের ফেডারেল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন একটি লিখিত সংবিধান, দুই ধরনের সরকার, একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, সংবিধানের সর্বোচ্চতা এবং সুপ্রিম কোর্ট ব্যবস্থা। যাইহোক, ভারতে শাসন ব্যবস্থারও কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অতএব, আমাদের সিস্টেমকে 'সেমি-ইউএস' সিস্টেম বলা যেতে পারে।

        অধিকন্তু, ভারতের সংবিধানের কোথাও 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র' শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। পরিবর্তে, ভারতকে 'রাষ্ট্রের অংশ' হিসাবে উল্লেখ করা হয়

        ভারতের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই। অন্যান্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিন্ন, আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে প্রত্যাহার করার অধিকার দেওয়া হয় না।


        যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিপরীতে, ভারতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। ক্ষমতার একটি সাংবিধানিক পৃথকীকরণ রয়েছে, তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে।


5. ভারতে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ- ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার গঠনের ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার আইন, 1935 ভারতে সীমিত সংসদীয় ব্যবস্থার জন্য প্রদান করে। পরবর্তী সংবিধান প্রণেতারা সংবিধানে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের সংবিধান অনুসরণ করেন। যাইহোক, এই বিষয়ে, ইংল্যান্ডের সংসদীয় গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায় নি এবং এটি ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে কিছু নতুন উপায়ে রূপ নেয়।


ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের বর্তমানে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে:


1) আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার অন্যান্য দেশের মতো বংশগত নয়। পরিবর্তে, তিনি পরোক্ষভাবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত।


2) ভারতের সংসদ বা হাউস দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি উচ্চকক্ষ (রাজ্যসভা নামেও পরিচিত) এবং অন্যটি নিম্নকক্ষ (লোকসভা নামেও পরিচিত)। উচ্চকক্ষ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এবং নিম্নকক্ষ জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। ভারতের উচ্চকক্ষের গঠন ও ক্ষমতা ইংল্যান্ডের হাউস অফ লর্ডসের থেকে অনেক আলাদা।


3) ভারতের সংসদ ততটা শক্তিশালী নয় যতটা সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় হওয়া উচিত।




অতিরিক্ত এবং প্রশ্নব্যাংক প্রশ্ন উত্তর



1. ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারণাটি কোন দেশের সংবিধানের আদলে তৈরি? [HSLC'23] 


উত্তরঃ-ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারণাটি ইংল্যান্ডের সংবিধানের আদলে তৈরি।



2. ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখ। [HSLC'23]


উত্তরঃ- ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য:


কেন্দ্রীভূত সরকার: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আরও শক্তিশালী, যার ফলে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে ক্ষমতার একক কেন্দ্রীভূত অবস্থান।


স্বতন্ত্রতা: রাজ্যগুলির নিজস্ব আইনসভা রয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বভৌমত্বের অধীনে রয়েছে।


রাজ্যের ইউনিয়ন: ভারতকে 'রাজ্যের ইউনিয়ন' হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একত্রিত হয়।


 কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক: কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রয়েছে, যদিও মাঝে মাঝে সংঘর্ষ হয়।


একক সংবিধান: ভারতের সমস্ত রাজ্যের জন্য একটি একক সংবিধান রয়েছে যার অধীনে সমগ্র দেশ শাসন করা উচিত।


দ্বৈত নাগরিকত্বের অভাব: ভারতের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই; একজন নাগরিক শুধুমাত্র ভারতের নাগরিক।


এই বৈশিষ্ট্যগুলি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে চিহ্নিত করে।



3. ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শগুলি কীভাবে প্রকাশ করা হয়েছে তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করুন। [HSLC'22]


উত্তরঃ-ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দে সংবিধানের আদর্শকে প্রকাশ করে। এই শব্দগুলি হল:


 সার্বভৌম: রাষ্ট্রের অধিকার এবং স্বাধীনতা প্রতিফলিত করে।

সমাজতান্ত্রিক: সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার ও সমতার উদ্দেশ্য প্রণয়ন করে।

ধর্মনিরপেক্ষ: সকল ধর্মের প্রতি সমান আচরণ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।

গণতান্ত্রিক: জনগণের ইচ্ছা এবং সর্বজনীন ভোটাধিকারের উপর জোর দেয়।

প্রজাতন্ত্র: জনগণের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং শাসন ব্যবস্থা গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।


এই সমস্ত শব্দের মধ্য দিয়ে, ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা দেশের আদর্শ ও লক্ষ্যগুলির একটি স্পষ্ট চিত্র অঙ্কন করে।



4. ভারত কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? ব্যাখ্যা কর।[HSLC'20]


উত্তরঃ-ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো সত্যিকারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়। ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থা কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে একটি "বিচিত্র ফেডারেশন" নামে পরিচিত।


১. কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আরও শক্তিশালী, এবং ক্ষমতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত।


2. পৃথক সংবিধানের অভাব: ভারতের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব আলাদা সংবিধান নেই।


3. দ্বৈত নাগরিকত্ব: ভারতের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই; একজন নাগরিক ভারতের একমাত্র নাগরিক।


4. গভর্নরের ভূমিকা: গভর্নররা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে, এইভাবে রাজ্যগুলির স্বাধীনতা সীমিত করে।


এই সমস্ত কারণে, ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যবস্থা থেকে আলাদা।



5. ইংল্যান্ডের সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য লিখ। [HSLC'19] 


উত্তরঃ- ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ইংল্যান্ডের সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল:


1. প্রজাতন্ত্র এবং রাষ্ট্রপ্রধান: ভারতে একটি সংসদীয় গণতন্ত্র হল একটি প্রজাতন্ত্র যেখানে রাষ্ট্রের প্রধান জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়। যাইহোক, ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান (রাজা বা রানী) ঐতিহ্যবাহী।


2. উচ্চকক্ষের গঠন: ভারতের উচ্চকক্ষের (রাজ্যসভা) গঠন ও ক্ষমতা ইংল্যান্ডের হাউস অফ লর্ডসের থেকে অনেক আলাদা।


3. সংসদের ক্ষমতা: ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট বেশি শক্তিশালী, কিন্তু ভারতের পার্লামেন্ট ততটা শক্তিশালী নয়।


এসব কারণে ইংল্যান্ডের তুলনায় ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্র কিছুটা ব্যতিক্রমী।




6. ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। [HSLC'18]



উত্তর: ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হল:


1. কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি: ভারতীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতার একটি বিভাজন রয়েছে।                   


2. মর্যাদা: রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের স্বাধীনতা বজায় রাখে।


৩. একক সংবিধান: ভারতের একটি কেন্দ্রীয় সংবিধান রয়েছে, যা সমগ্র দেশের জন্য প্রযোজ্য।


4. অংশগ্রহণ: কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সাথে সহযোগিতায় কাজ করে, যাকে বলা হয় 'সহযোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র'


5. বর্তমান ভিত্তি: ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নতুন নয়; ভারত সরকার আইন, 1935 কিছু পরিমাণে এই ব্যবস্থা চালু করেছে।


6. অর্ধ-যুক্তরাষ্ট্র: ভারতের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে 'আধা-যুক্তরাষ্ট্র' বলা হয় কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা এখানে বেশি কেন্দ্রীভূত।


এই বৈশিষ্ট্যগুলি ভারতের ফেডারেল ব্যবস্থার একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত করে।




7. উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত।[HSLC '17] 


উত্তরঃ- উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত।