Chapter 14

ঠাকুমাকে কীভাবে পড়তে শিখিয়েছি

 পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

১. গল্পটির লেখকের নাম কী?

উত্তর: গল্পটির লেখক হলেন সুধা মূর্তি।

২. গল্পের বক্তা কে?

উত্তর: গল্পের বক্তা লেখিকা নিজেই। তিনি তাঁর ঠাকুমাকে পড়তে শেখানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

৩. লেখিকার ঠাকুমা কত বছর বয়সে পড়তে শেখেন?

উত্তর: লেখিকার ঠাকুমা ষাট বছর বয়সে পড়তে শেখেন।

৪. ঠাকুমা ছোটবেলায় কেন পড়াশোনা করতে পারেননি?

উত্তর: ছোটবেলায় ঠাকুমার সময় ও সুযোগ ছিল না, কারণ তখন সমাজে মেয়েদের পড়াশোনা করাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হত না।

৫. লেখিকা ঠাকুমাকে কীভাবে পড়তে শেখান?

উত্তর: লেখিকা প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ঠাকুমাকে অক্ষর ও শব্দ শেখাতেন। তিনি ঠাকুমার জন্য সহজ বই এনে দিতেন এবং তাকে নিয়মিত অনুশীলন করাতেন।

৬. ঠাকুমা লেখিকার প্রতি কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?

উত্তর: ঠাকুমা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি নিজের জন্মদিনের দিন প্রথম বইটি পড়বেন।

৭. ঠাকুমা প্রথম কোন বই পড়তে পারেন?

উত্তর: ঠাকুমা প্রথম "সুবোধ ঘোষের ছোটগল্প" বইটি পড়তে সক্ষম হন।

৮. গল্পটি থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই?

উত্তর:
✔️ শিক্ষার কোনো বয়স নেই।
✔️ ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কেউ নতুন কিছু শিখতে পারে।
✔️ সমাজের পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
✔️ পরিবারের ছোটদেরও বড়দের শেখানোর দায়িত্ব রয়েছে।

📖 অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

৯. ঠাকুমার শিক্ষার প্রতি ইচ্ছাশক্তি কেমন ছিল?

উত্তর: ঠাকুমার শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে পড়াশোনা শেখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন এবং শেষ পর্যন্ত সফল হন।

১০. লেখিকার মা কীভাবে ঠাকুমাকে সাহায্য করেন?

উত্তর: লেখিকার মা ঠাকুমার শেখার ইচ্ছাকে সমর্থন করেন এবং তাকে পড়াশোনার জন্য উৎসাহ দেন।

১১. ঠাকুমা কীভাবে প্রমাণ করেন যে শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই?

উত্তর: তিনি ষাট বছর বয়সে অক্ষর শেখার সাহস দেখান এবং নিজের জন্মদিনে নিজে পড়ে নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করেন।

১২. শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে গল্পটি কী বার্তা দেয়?

উত্তর:
✔️ শিক্ষা সবার জন্য, এটি কেবল শিশুদের জন্য নয়।
✔️ শিক্ষার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই।
✔️ ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ জীবনের যেকোনো সময় পড়তে শিখতে পারে।