Chapter 5 -

কৃত্রিম উপগ্রহ

পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answer)

১. কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?

→ মানুষের তৈরি যে উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয় এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে, তাকে কৃত্রিম উপগ্রহ বলে।

২. কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে মহাকাশে পাঠানো হয়?

→ কৃত্রিম উপগ্রহকে রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয়।

৩. কৃত্রিম উপগ্রহের কিছু প্রধান ব্যবহার কী কী?

→ কৃত্রিম উপগ্রহের কিছু প্রধান ব্যবহার হলো –

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা

আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া

বিজ্ঞান ও গবেষণার কাজে সহায়তা করা

দিকনির্দেশনা প্রদান করা (GPS)

টেলিভিশন সম্প্রচার করা

৪. ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম কী?

→ ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম আর্যভট্ট, যা ১৯৭৫ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়।

৫. জিওস্টেশনারি কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?

→ যে উপগ্রহ পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে মিল রেখে একই স্থানে অবস্থান করে, তাকে জিওস্টেশনারি কৃত্রিম উপগ্রহ বলে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question & Answer)

১. শূন্যস্থান পূরণ করো (Fill in the blanks):

(a) কৃত্রিম উপগ্রহ _____ মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয়।

→ রকেটের

(b) ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম _____.

→ আর্যভট্ট

(c) GPS বলতে বোঝায় _____.

→ Global Positioning System

(d) কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে _____ পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব।

→ আবহাওয়ার

২. সত্য বা মিথ্যা (True or False):

(a) কৃত্রিম উপগ্রহ মানুষের তৈরি।

→ সত্য

(b) কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে না।

মিথ্যা

(c) কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে মোবাইল ও টিভি সম্প্রচার করা হয়।

→ সত্য

(d) ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম ইনসাট-১এ।

→ মিথ্যা

৩. সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (Short Answer Questions):

(a) প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কী?

→ প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলো পৃথিবীর মতো গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে, যেমন – চন্দ্র। কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মানুষের তৈরি, যা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে মহাকাশে পাঠানো হয়।

(b) কৃত্রিম উপগ্রহ কত প্রকারের হয়?

→ কৃত্রিম উপগ্রহ সাধারণত তিন ধরনের হয় –

যোগাযোগ উপগ্রহ

আবহাওয়া উপগ্রহ

গবেষণা ও সামরিক উপগ্রহ

(c) কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সহায়তা করে?

→ কৃত্রিম উপগ্রহ যোগাযোগ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, মানচিত্র নির্ধারণ, টিভি ও মোবাইল সম্প্রচার এবং সামরিক নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।