Chapter 11 -
গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
1. 1. উত্তর লেখো-
(a) গুপ্ত রাজবংশ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তৰঃ শ্রীগুপ্ত গুপ্ত রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
(b) কোন গুপ্ত সম্রাট সর্বপ্রথম মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করেন?
উত্তৰঃ চন্দ্রগুপ্ত সর্বপ্রথম মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করেন।
(c) এলাহাবাদ প্রশস্তির লেখকের নাম কী?
উত্তৰঃ এলাহাবাদ প্রশস্তির লেখক হলেন: হৰিসেন।
(d) গঙ্গা উপত্যকার বন্দরের নাম কি?
উত্তৰঃ গঙ্গা উপত্যকার বন্দরকে বলা হয়- তাম্রশাসন।
(ঙ) সমুদ্রগুপ্তের সমসাময়িক কামরূপের রাজার নাম কী ছিল?
উত্তৰঃ কামরূপের রাজা, যিনি সমুদ্রগুপ্তের সমসাময়িক ছিলেন- পুষ্যবর্মণ।
2. 2। ক্রমানুসারে লিখুন一
ফাহিয়ান, শ্রীগুপ্ত, হৰিসেন, পুষ্যবর্মণ, স্কন্দগুপ্ত
উত্তৰঃ শ্রীগুপ্ত, পুষ্যবর্মণ, হৰিসেন, ফাহিয়ান, স্কন্দগুপ্ত।
3. 3. 3. সঠিক এবং ভুল নির্ধারণ করুন:
(ক) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত কামরূপ ও দাবা জয় করেন।
উত্তৰঃ অশুদ্ধ।
(খ) গুপ্ত আমলে জমি তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল।
উত্তৰঃ শুদ্ধ।
(গ) গুপ্ত যুগে নারীদের মর্যাদা ছিল পুরুষের চেয়ে বেশি।
উত্তৰঃ অশুদ্ধ।
(d) পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে এই ধারণাটিও ব্রাহ্মিহিরই আবিষ্কার করেছিলেন।
উত্তৰঃ অশুদ্ধ।
(ঙ) কালিদাস নাট্যশাস্ত্র রচনা করেন।
উত্তৰঃ অশুদ্ধ।
4. দ অংশ 'A' এর সাথে অংশ 'B' এর সাথে মিল করুন:
উত্তর-
5. 5। সংক্ষেপে লিখুন-
(ক) গুপ্ত আমলে কোন ধাতব মুদ্রার প্রচলন ছিল?
উত্তৰঃ গুপ্ত আমলে সোনা ও রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন ছিল, সেইসাথে তার আগেকার মুদ্রাও প্রচলিত ছিল।
(b) গুপ্তদের দ্বারা রপ্তানিকৃত পণ্যের একটি তালিকা প্রস্তুত করুন।
উত্তৰঃ গুপ্তদের দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যগুলি হল:
1) মশলা,
2) হাতির দাঁতের জিনিসপত্র,
৩) চন্দন কাঠ,
4) মণি-মুকতা,
৫) ঔষধি গছ,
৬) পারফিউম,
৭) জীৱ-জন্তু।
(গ) গুপ্ত যুগে কোন কোন পেশা বসবাস করত?
উত্তৰঃ গুপ্ত যুগের বিভিন্ন পেশাজীবী ছিলেন:
1) কৃষিকাজে নিয়োজিত কৃষক,
2) ব্যবসায় জড়িত ব্যবসায়ীরা,
৩) দেশ রক্ষায় নিয়োজিত সামরিক বাহিনী,
4) উপাসনা বা উপাসনা (ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ ভিক্ষু)।
৫) জ্যোতির্বিজ্ঞানী,
৬) চিকিৎসক,
৭) দার্শনিক,
8) ভাস্কর.
(d) গুপ্ত যুগের স্থাপত্যের পাঁচটি উদাহরণের নাম দাও।
উত্তৰঃ গুপ্ত যুগের পাঁচ ধরনের স্থাপত্য রয়েছে:
1) মেহরুলীর লোহার স্তম্ভ,
2) দেওগড়ের দশাবতার মন্দির,
৩) সারনাথের ধ্যানরত বুদ্ধ,
4) আইহোলের দুর্গা মন্দির,
৫) সাঁচিতে বিষ্ণু মন্দির।
(ঙ) অজন্তা-ইলোরা চিত্রকর্মের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তৰঃ বিভিন্ন সময়ে গুপ্ত শিল্পী ও চিত্রকরদের দ্বারা অজন্তা ও ইলোরার গুহা ও মন্দিরের চিত্র আমাদের গুপ্ত যুগের গৌরবের কথা মনে করিয়ে দেয়।
(চ) আসামের কোথায় গুপ্ত স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের প্রভাব স্পষ্ট?
উত্তৰঃ গুপ্ত স্থাপত্য ও ভাস্কর্য তেজপুরের দা পার্বতিয়া, নগাঁওয়ের মিকির আটি ও বরগঙ্গা, গুয়াহাটির কামাখ্যা এবং দুধাইয়ের বারমেধি পাড়াকে প্রভাবিত করেছে।
6. 6। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানে গুপ্তদের অবদান সম্পর্কে একটি নোট লেখ।
উত্তৰঃ গুপ্ত রাজারা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের প্রসারে উদারভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। রাজার পৃষ্ঠপোষকতা ভাষা ও সংস্কৃতি সে সময় জাতীয়তাবাদের বিকাশে সহায়তা করেছিল। এই সময়ে সংস্কৃত উচ্চ শ্রেণীর ভাষার মর্যাদা লাভ করে। এই সময়ে রচিত সাহিত্য প্রধানত সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছিল। প্রাকৃত ছিল সমাজের সাধারণ শ্রেণীর ভাষা। মহাকবি কালিদাস, ভরত, শূদ্রক এবং বিশাখাদত্ত এই যুগের সাহিত্য ভান্ডারকে বিভিন্ন রচনা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছিলেন। অন্য একজন পণ্ডিত হরিসেনা এই সময়কালে এলাহাবাদ কলামের শিলালিপিতে একটি প্রশংসা লিখেছিলেন। পুরাণ, রামায়ণ এবং মহাভারতের মতো বিখ্যাত বইগুলি এই সময়ে পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে নবরত্ন নামে নয়জন লেখক ছিলেন।
সাহিত্য-সংস্কৃতির মতো বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের বিকাশ ঘটেছিল এই সময়ে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের কিছু উপসংহার বিশ্বকে অবাক করেছে। এই যুগের বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্ট 'আর্যভট্টিয়' গ্রন্থটি রচনা করেন। পৃথিবী তার কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে ঘোরে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে, যার ফলে চন্দ্রগ্রহণ হয় - গুপ্ত যুগে আর্যভট্ট দ্বারা উদ্ভাবিত দুটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। উপরন্তু, এই সময়কালেই বিজ্ঞানীরা গণিতের তত্ত্ব যেমন দশমিক পদ্ধতি, শূন্যের ব্যবহার এবং স্থানীয় মূল্যবোধের ধারণা তৈরি করেছিলেন। আরেক জ্যোতিষী ব্রহ্মমিহির বৃহৎ সংহিতা নামে একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেন। চরক ও সুশ্রুত ছিলেন এই যুগের দুই বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী।