উত্তর: উপমন্যু ছিলেন একজন মহান শিষ্য, যিনি তাঁর গুরু ঔরুণা-র প্রতি অসীম ভক্তি ও আনুগত্য প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি কঠোর শৃঙ্খলা ও কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গুরুর আদেশ পালন করেছিলেন।
প্রশ্ন ২: উপমন্যুর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: উপমন্যুর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
গুরুভক্তি – তিনি তাঁর গুরুর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
ধৈর্য ও কঠোর অধ্যবসায় – গুরু কর্তৃক কঠিন পরীক্ষা সত্ত্বেও তিনি ধৈর্য হারাননি।
নিষ্ঠা ও আনুগত্য – গুরুর আদেশ তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন।
ত্যাগ ও সংযম – নিজের কষ্ট স্বীকার করেও তিনি গুরুর প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রশ্ন ৩: গুরু উপমন্যুকে কীভাবে পরীক্ষা নিয়েছিলেন?
উত্তর: উপমন্যু যখন গুরুর অনুমতি ছাড়া গরুর দুধ পান করেছিলেন, তখন গুরু তাকে দুধ না খাওয়ার নির্দেশ দেন। পরে তিনি ক্ষীরসুধা (গাছের দুধ) পান করলে গুরু তাও নিষিদ্ধ করেন। চরম ক্ষুধার্ত অবস্থায় উপমন্যু বনে গিয়ে বিষাক্ত উদ্ভিদের রস পান করেন, যার ফলে তিনি অন্ধ হয়ে গর্তে পড়ে যান। এরপর তাঁর গুরুর কৃপায় তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান।
প্রশ্ন ৪: গল্পটি আমাদের কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর: গল্পটি আমাদের গুরুভক্তি, ধৈর্য, ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মূল্য বোঝায়। এটি শেখায় যে নিষ্ঠা ও আনুগত্যের দ্বারা আমরা কঠিন পরীক্ষায়ও জয়ী হতে পারি।
Additional Question & Answer (অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর)
প্রশ্ন ১: "উপমন্যু" গল্পের মূল ভাব কী?
উত্তর: "উপমন্যু" গল্পের মূল ভাব হলো গুরুর প্রতি শিষ্যের অটল বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন এবং আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রকৃত জ্ঞানলাভ।
উত্তর: গুরু চেয়েছিলেন উপমন্যুর ধৈর্য, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও গুরুভক্তি পরীক্ষা করতে। তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন যে আসল শিষ্যত্ব মানে শুধু আদেশ পালন করা নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ ও কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করা।
প্রশ্ন ৩: উপমন্যুর দৃষ্টিশক্তি কীভাবে ফিরে আসে?
উত্তর: গুরু উপমন্যুকে সূর্যদেবের স্তব (প্রশংসা) করতে বলেন। উপমন্যু যখন সূর্যদেবের বন্দনা করেন, তখন তাঁর কৃপায় দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে।
প্রশ্ন ৪: গুরুভক্তির গুরুত্ব কী?
উত্তর: গুরুভক্তি আমাদের জীবনে শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় ও জ্ঞানের আলো আনে। গুরু শুধু শিক্ষাদাতা নন, তিনি আমাদের জীবনের সত্যপথ দেখান। তাই গুরুতে বিশ্বাস রাখা ও তাঁর আদেশ পালন করা একজন শিষ্যের প্রধান দায়িত্ব।