Chapter 9 -

 প্রাণীর প্রজনন অধ্যায়ের

1. জীবের প্রজনন গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তৰঃ একটি প্রজাতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং প্রজাতির বংশগতি রক্ষার জন্য প্রজনন অপরিহার্য। প্রজনন ছাড়া জীব ছড়াতে পারে না। বংশবৃদ্ধির ফলে বংশপরম্পরায় এই ধরনের জীবের সৃষ্টি হয়।

2. মানুষের নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।

উত্তৰঃ  প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় হল শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলন। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর এই মিলনকে নিষিক্তকরণ বলে। নিষিক্তকরণের সময়, শুক্রাণু কোষের নিউক্লিয়াস এবং ডিম কোষের নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে একটি নতুন কোষের নিউক্লিয়াস তৈরি করে। এটি একটি জোড়া কোষ তৈরি করে এবং এই জোড়া কোষ থেকে একটি নতুন জীব শুরু হয়।

3. উপযুক্ত উত্তরও বেছে নিন।

ক) অন্তঃনিষেচন ঘটে-

1) নারীদেহে

2) নারীদেহের বাইরে

3) পুরুষের শরীরে

4) পুরুষের শরীরের বাইরে


উত্তৰঃ ১) নারীদেহে

খ) লালুকি যে প্রক্রিয়ায় পূর্ণ বয়স্ক পোকা হয়ে ওঠে তা হল:

১) নিষেচন

2) রূপান্তর

3) শক্ত করে ধরে রাখুন

 ৪)মুকুলন

উত্তৰঃ   ২) রূপান্তর


গ) একটি জোড়া কোষে নিউক্লিয়াসের সংখ্যা-

1) নেই

২) এটা

3) দুই

4) চার

উত্তৰঃ ২) এটা


4. নিম্নলিখিত উত্তরগুলিতে সঠিক হলে (শু) এবং (ক) ভুল হলে লিখুন।

ক) ওভিপারাস প্রাণী তাদের বাচ্চা পাড়ায়।

উত্তৰঃ


খ) প্রতিটি শুক্রাণু এককোষী।

উত্তৰঃ শু

C. বিটলস বহির্নিষিক্ত হয়।

উত্তৰঃ শু


ঘ) একটি গেমেট থেকে একটি নতুন মানুষ গঠিত হয়।

উত্তৰঃ


ঙ) নিষিক্তকরণের পর যে ডিম দেওয়া হয় তা এককোষী।

উত্তৰঃ শু


চ) অ্যামিবা পুনরুত্পাদন করে।

উত্তৰঃ


ছ) অযৌন প্রজননেও নিষিক্তকরণ প্রয়োজন।

উত্তৰঃ


জ) দ্বৈত বিভাজন একটি অযৌন প্রজনন পদ্ধতি।

উত্তৰঃ শু


i) নিষিক্তকরণের ফলে একটি জাইগোট তৈরি হয়।

উত্তৰঃ শু


j) একটি ভ্রূণ একটি একক কোষ নিয়ে গঠিত।

উত্তৰঃ


5. একটি জাইগোট এবং একটি ভ্রূণের মধ্যে পার্থক্য বলুন।

উত্তৰঃ একটি জাইগোট এবং একটি ভ্রূণের মধ্যে পার্থক্য হল:

১) একটি জাইগোট এককোষী, যার অর্থ একটি জাইগোটে শুধুমাত্র একটি কোষ থাকে।

                        অন্যদিকে, ভ্রূণ বহুকোষী।

২) একটি শুক্রাণু এবং একটি ডিমের মিলন একটি জাইগোট তৈরি করে।

                        অন্যদিকে জাইগোট বারবার বিভক্ত হয়ে একটি ভ্রূণ তৈরি করে এবং ভ্রূণটি একটি ভ্রূণের জন্ম দেয়।


6. অযৌন প্রজনন সংজ্ঞায়িত করুন। প্রাণীদের অযৌন প্রজননের দুটি পদ্ধতি বর্ণনা কর।

উত্তৰঃ অযৌন প্রজনন হল প্রজননের প্রক্রিয়া যেখানে স্ত্রী ও পুরুষ প্রজনন কোষের মিলন ছাড়াই একটি প্রাণী থেকে একটি নতুন জীবের বিকাশ ঘটে।

                                    অযৌন প্রজননের দুটি পদ্ধতি রয়েছে:

১) মুকুলন - হাইড্রার শরীরের অংশগুলি ফুলে ফুলে কুঁড়ি তৈরি করে এবং এই কুঁড়িগুলি বড় হওয়ার পরে, তারা নতুন হাইড্রাস তৈরি করতে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এই ধরনের প্রজননকে বলা হয় বুডিং।

২) দ্বৈতবিভাজন- অ্যামিবার ক্ষেত্রে দেহের নিউক্লিয়াস বিভক্ত হয়ে দুটি নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি করে। পরবর্তীতে, কোষটি বিভক্ত হয়ে দুটি নতুন নিউক্লিয়াস সহ দুটি নতুন অ্যামিবা জন্ম দেয়।


7. নারী প্রজনন অঙ্গের কোন অংশে ভ্রূণ সংযুক্ত থাকে?

উত্তর:- জরায়ুতে।


8. রূপান্তর কি? উদাহরণ দিন।

উত্তৰঃ মেটামরফোসিস হল সম্পূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে লার্ভা থেকে প্রাপ্তবয়স্কে পরিবর্তন।

                                                উদাহরণ- 

১) ডিম থেকে লার্ভা, লার্ভা থেকে লার্ভা, লার্ভা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক।

২) ডিম থেকে লার্ভা, লার্ভা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পোকা।


9. এন্ডোফার্টিলাইজেশন এবং এক্সোফার্টিলাইজেশনের মধ্যে পার্থক্য করুন।

উত্তৰঃ ইনব্রিডিং এবং এক্সোজেনাস ফার্টিলাইজেশনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:

১) নারীদেহের অভ্যন্তরে গর্ভধারণ হয়।

                                    অন্যদিকে, এক্সোফারটিলাইজেশন মহিলা শরীরের বাইরে সঞ্চালিত হয়।

২) গর্ভধারণের সময়, মহিলারা সম্পূর্ণ সন্তানের জন্ম দেয়।

                                    এক্সোফার্টিলাইজেশনে, মহিলারা নিষিক্ত ডিম পাড়ে।

৩) গর্ভধারণ উচ্চতর প্রাণী যেমন মানুষ, গবাদি পশুর মধ্যে ঘটে।

                                    অন্যদিকে এক্সোফারটিলাইজেশন হাঁস, মুরগি এবং অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে ঘটে।


অতিরিক্ত প্রশ্ন 

1) প্রাণীর প্রজনন কত প্রকার এবং কি কি?

উত্তৰঃ পশু প্রজনন 2 ধরনের আছে:

ক) যৌন প্রজনন।

খ) অযৌন প্রজনন।


2) যৌন প্রজনন কি?

উত্তৰঃ যৌন প্রজনন হল একটি নতুন জীব গঠনের জন্য পুরুষ ও মহিলা প্রজনন কোষের মিলন।


3) পুরুষের প্রজনন অঙ্গ কি?

উত্তৰঃ  এক জোড়া ডিম কোষ, দুটি টিউব এবং একটি লিঙ্গ।


4. মহিলা প্রজনন অঙ্গ কি কি?

উত্তৰঃ  এক জোড়া ডিম্বাশয়, দুটি ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং একটি জরায়ু।


5) নিষিক্তকরণ কি?

উত্তৰঃ নিষিক্তকরণ হল একটি ডিম্বাণু এবং একটি শুক্রাণুর মিলন।