Chapter 1 -
গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: গৌরাঙ্গ ছোটবেলায় কেমন ছিলেন?
উত্তর: গৌরাঙ্গ ছোটবেলায় খুব চঞ্চল ও দুরন্ত ছিলেন। তিনি পড়াশোনার চাইতে খেলাধুলা, ব্যাঙ্গ করা, এবং হাস্যকৌতুক করতেই বেশি আনন্দ পেতেন। তবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান, সদয় ও পরোপকারী।
প্রশ্ন ২: গৌরাঙ্গ বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতেন?
উত্তর: গৌরাঙ্গ তাঁর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতেন। তিনি তাদের সঙ্গে খেলা করতেন, আনন্দ করতেন এবং প্রয়োজনে সাহায্যও করতেন।
প্রশ্ন ৩: গৌরাঙ্গের চঞ্চলতা নিয়ে তাঁর পিতামাতার কী প্রতিক্রিয়া ছিল?
উত্তর: গৌরাঙ্গের চঞ্চলতা দেখে তাঁর পিতামাতা মাঝে মাঝে চিন্তিত হতেন। তাঁরা ভাবতেন, এত চঞ্চল ছেলে ভবিষ্যতে কীভাবে পড়াশোনা করবে বা কী হবে। কিন্তু গৌরাঙ্গের মেধা ও শুভ গুণ দেখে তাঁরা তৃপ্তিও পেতেন।
প্রশ্ন ৪: লেখক কীভাবে গৌরাঙ্গের বাল্যজীবনের বর্ণনা দিয়েছেন?
উত্তর: লেখক গৌরাঙ্গের বাল্যজীবনকে হাস্যরস ও সরলতার মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। তিনি গৌরাঙ্গের দুষ্টুমি, বুদ্ধিমত্তা, খেলাধুলা, এবং বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর আচরণ ইত্যাদি তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের কাছে আনন্দদায়ক ও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে।
Additional Question-Answer
প্রশ্ন ৫: গৌরাঙ্গের দুষ্টুমি থেকে তাঁর চারিত্রিক কী গুণ প্রকাশ পায়?
উত্তর: গৌরাঙ্গের দুষ্টুমির মধ্যেও তাঁর সরলতা, প্রাণচঞ্চলতা, ও মানবিক দিক ফুটে ওঠে। তাঁর কর্মকাণ্ডে কৌতুক থাকলেও, কারও ক্ষতি হতো না। বরং তিনি মানুষকে হাসাতে ভালোবাসতেন।
প্রশ্ন ৬: লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী গৌরাঙ্গের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে বলে মনে হয়?
উত্তর: লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী, গৌরাঙ্গ ছোটবেলায় চঞ্চল হলেও তিনি এক মহান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠবেন – এমন আভাস পাওয়া যায়। তাঁর বুদ্ধিমত্তা, হৃদয়বৃত্তি ও আনন্দপ্রিয়তা ভবিষ্যতে তাঁকে মানুষের প্রিয় করে তোলে।
প্রশ্ন ৭: “গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা” পাঠটি থেকে শিক্ষণীয় কী?
উত্তর: এই পাঠ থেকে বোঝা যায় যে, ছোটবেলায় চঞ্চলতা থাকলেও মনের গুণ থাকলে মানুষ বড় হয়ে অনেক উন্নতি করতে পারে। মানুষের মধ্যে যদি সহানুভূতি, বন্ধুত্ববোধ, ও আনন্দ দান করার মনোভাব থাকে, তবে সে সমাজে প্রিয় হয়ে ওঠে।