Chapter 2 -
খাই খাই
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: ‘খাই খাই’ কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: ‘খাই খাই’ কবিতাটি একটি হাস্যরসাত্মক কবিতা। এই কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর অদ্ভুত ও কল্পনাপ্রসূত চরিত্র এবং খাওয়ার প্রবৃত্তিকে ঘিরে তৈরি হওয়া মজার পরিস্থিতি। কবিতাটিতে সুকুমার রায়ের অনবদ্য ছন্দ, শব্দচয়ন ও হাস্যরস পাঠকদের আনন্দ দেয়।
প্রশ্ন ২: ‘খাই খাই’ চরিত্রটি কেমন ধরনের?
উত্তর: ‘খাই খাই’ চরিত্রটি এক অদ্ভুত জীব, যার একমাত্র কাজ হলো খাওয়া। সে যত কিছু দেখে, সব কিছু খেতে চায় – তা যত অখাদ্য বা অদ্ভুত জিনিসই হোক না কেন। তার খাওয়ার প্রবৃত্তি এতটাই প্রবল যে, সে দিনরাত খেতে খেতেই ব্যস্ত থাকে।
প্রশ্ন ৩: কবিতার মধ্যে কোন কোন জিনিস খাই খাই খেয়েছে?
উত্তর: কবিতায় বলা হয়েছে, খাই খাই কাচ, কলম, ছাতা, বিড়ালছানা, পায়ের মোজা, এমনকি ফুটো ঝাঁঝরিও খেয়েছে। সে কেবল খাদ্য নয়, অখাদ্য বস্তু পর্যন্ত খেয়ে ফেলে।
প্রশ্ন ৪: কবি কেন খাই খাই চরিত্রটি সৃষ্টি করেছেন বলে মনে হয়?
উত্তর: কবি সম্ভবত সমাজে অতিভোজন বা অতিলোভের প্রবৃত্তিকে ব্যঙ্গ করার জন্য ‘খাই খাই’ চরিত্রটি সৃষ্টি করেছেন। এই চরিত্রের মাধ্যমে কবি হাস্যরসের ছলে মানুষকে সীমাহীন লোভ থেকে সতর্ক করতে চেয়েছেন।
Additional Question-Answer
প্রশ্ন ৫: ‘খাই খাই’ কবিতার ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: এই কবিতার ভাষা সহজ, ছন্দময় ও কৌতুকপূর্ণ। শব্দচয়ন ও বাক্যগঠন এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে পাঠক সহজেই আনন্দ পান এবং কবিতার মজার পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন।
প্রশ্ন ৬: ‘খাই খাই’ চরিত্রটি শিশুদের জন্য কতটা উপযোগী?
উত্তর: ‘খাই খাই’ চরিত্রটি শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, কারণ এটি তাদের কল্পনাশক্তি ও হাস্যরসের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এটি খাওয়ার সময় বাছবিচার করার শিক্ষাও পরোক্ষভাবে দেয়।
প্রশ্ন ৭: কবিতাটির মাধ্যমে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: কবিতাটি মজার হলেও এর মধ্য দিয়ে অতিভোজন, অতিলোভ ও অপরিকল্পিত কাজকর্মের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এটি শিক্ষাদায়ক এবং বিনোদনমূলক – দুই দিকেই সফল।
প্রশ্ন ৮: খাই খাই-এর অতিভোজনের ফল কী হতে পারে বলে তুমি মনে করো?
উত্তর: অতিভোজনের ফলে খাই খাই অসুস্থ হতে পারে, তার স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হতে পারে এবং সে সমাজে হাস্যকর চরিত্র হয়ে উঠতে পারে। বাস্তব জীবনে অতিভোজন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।