Chapter 3 -
ধূলামন্দির
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: ‘ধূলামন্দির’ গল্পের মূল ভাব বা বার্তাটি কী?
উত্তর: ‘ধূলামন্দির’ গল্পটি মানবতার বার্তা বহন করে। এখানে দেখানো হয়েছে, কিভাবে একজন শিল্পী তাঁর কাজের মাধ্যমে সমাজে মূল্যবোধ, সহানুভূতি এবং জীবনের গভীর উপলব্ধিকে তুলে ধরেন। ধূলার মন্দির বানিয়েও শিল্পী একটি গভীর ভাব প্রকাশ করেন—সৌন্দর্য কেবল বাহ্যিক নয়, অন্তরের বিষয়।
প্রশ্ন ২: ‘ধূলামন্দির’ গল্পে ‘আমি’ বলতে কে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: এই গল্পে ‘আমি’ বলতে বোঝানো হয়েছে একজন পর্যবেক্ষক চরিত্রকে, যিনি একজন শিল্পীর ধূলার তৈরি মন্দির দেখেন এবং তাতে প্রভাবিত হন। তিনিই গল্পের বর্ণনাকারী।
প্রশ্ন ৩: শিল্পী ধূলা দিয়ে মন্দির বানাল কেন?
উত্তর: শিল্পী ধূলা দিয়ে মন্দির বানিয়েছিলেন এই কারণে যে, তিনি চেয়েছিলেন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনের অনুভবের পরিবর্তন ঘটাতে। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, সৌন্দর্য বা পবিত্রতা শুধু মূল্যবান বস্তুতে নয়, ধূলার মধ্যেও থাকতে পারে—যদি দৃষ্টিভঙ্গি বিশুদ্ধ হয়।
প্রশ্ন ৪: শিল্পীর ধূলামন্দির দেখে বর্ণনাকারীর মনে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: শিল্পীর ধূলামন্দির দেখে বর্ণনাকারী বিস্মিত ও গভীরভাবে মুগ্ধ হন। তাঁর মনে এক বিশেষ অনুভব জাগে—তিনি উপলব্ধি করেন শিল্পের গভীরতর দিক ও মানবিক স্পর্শ।
🔹 অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Q&A)
প্রশ্ন ৫: ‘ধূলামন্দির’ শিরোনামটি কীভাবে গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
উত্তর: ‘ধূলামন্দির’ শব্দটি আপাতদৃষ্টিতে বিরোধপূর্ণ—ধূলা অশুচি আর মন্দির পবিত্র। কিন্তু এই গল্পে লেখক সেই দ্বন্দ্বকে ভেঙে দেন। তিনি বোঝাতে চান, শুচিতা বা পবিত্রতা বাহ্যিক নয়, বরং তা মন ও চিন্তায় থাকে। তাই ‘ধূলামন্দির’ শিরোনাম গল্পের ভাবের সঙ্গে পুরোপুরি মিল রাখে।
প্রশ্ন ৬: এই গল্পে শিল্পের প্রতি লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
উত্তর: লেখকের মতে, শিল্প কেবল চমক দেওয়ার জন্য নয়, তা মানুষকে ভাবতে শেখায়, উপলব্ধি জাগায়। শিল্পের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো সমাজে মানবিক মূল্যবোধের সঞ্চার করা।
প্রশ্ন ৭: ‘ধূলামন্দির’ গল্পটি আমাদের কী শেখায়?
উত্তর: গল্পটি আমাদের শেখায় যে, বাহ্যিক আড়ম্বর নয়, অন্তরের পবিত্রতা ও অনুভূতিই সত্যিকারের মূল্যবান। এটি শিল্পের মাধ্যমে মানবিকতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার গুরুত্বও তুলে ধরে।
প্রশ্ন ৮: ধূলা দিয়ে মন্দির গড়ার কৌশল লেখকের কাছে কেন তাৎপর্যপূর্ণ ছিল?
উত্তর: লেখকের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল কারণ এই কাজটি সাধারণ শিল্পকলার বাইরে গিয়ে এক নতুন দর্শনের জন্ম দেয়। এটি সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণার বিরুদ্ধে এক প্রকার প্রতিবাদও বটে।