Chapter 4 -
কবর
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: ‘কবর’ নাটকটি কোন পটভূমিতে রচিত?
উত্তর: ‘কবর’ নাটকটি ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত। এই নাটকে ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন ২: ‘কবর’ নাটকে প্রধান চরিত্র কারা?
উত্তর: ‘কবর’ নাটকের প্রধান চরিত্রগুলো হল—মুর্দা হাফিজ, মুনশী, নূরুল হুদা এবং শবব্যবচ্ছেদকারী। এদের মধ্যে মুর্দা হাফিজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যিনি মূলত সমাজের ভণ্ড ও কাপুরুষ মানসিকতার প্রতিচ্ছবি।
প্রশ্ন ৩: নাটকে ‘মুর্দা হাফিজ’ চরিত্রটি কেমন?
উত্তর: মুর্দা হাফিজ একজন জীবিত মৃত ব্যক্তি, যিনি শুধু নিজের সুবিধা দেখে চলে। তিনি ভীতু, সুবিধাবাদী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অক্ষম। তিনি মৃত হলেও সমাজের সেই জীবন্ত অথচ নিষ্ক্রিয় লোকদের প্রতীক।
প্রশ্ন ৪: ‘কবর’ নাটকে লেখক কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?
উত্তর: লেখক এই নাটকের মাধ্যমে জানান, শুধু নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকাই জীবন নয়। সত্যিকার বেঁচে থাকা মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, আদর্শের জন্য লড়া। নাটকে নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
🔹 অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Q&A)
প্রশ্ন ৫: নাটকটির নাম ‘কবর’ কেন?
উত্তর: নাটকটির নাম ‘কবর’ হওয়ার মূল কারণ হলো, এর ঘটনাস্থল একটি কবরস্থান, যেখানে মৃত এবং জীবিত চরিত্রদের মধ্য দিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। এটি প্রতীকী – যেখানে সমাজের মৃত আত্মারা অনেক সময় জীবিতদের চেয়েও বেশি সজাগ ও প্রতিবাদী।
প্রশ্ন ৬: ‘নূরুল হুদা’ চরিত্রটি কী প্রতিফলন করে?
উত্তর: নূরুল হুদা একজন শহীদ ভাষা সংগ্রামী, যিনি জীবনের বিনিময়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছেন। তাঁর চরিত্র সাহস, আত্মত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক।
প্রশ্ন ৭: ‘শবব্যবচ্ছেদকারী’-এর ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: শবব্যবচ্ছেদকারী চরিত্রটি বিজ্ঞান বা বাস্তবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধি। তবে নাটকের শেষে তার উপলব্ধি হয় যে, বিজ্ঞান ছাড়াও মানুষের হৃদয়, অনুভব এবং আত্মার অস্তিত্ব আছে।
প্রশ্ন ৮: ‘কবর’ নাটক থেকে শিক্ষণীয় কী?
উত্তর: নাটকটি আমাদের শেখায় যে, জীবন মানে শুধু বেঁচে থাকা নয় – বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকা। এটি সাহস, আদর্শ ও আত্মত্যাগের গুরুত্ব বোঝায়।
প্রশ্ন ৯: নাটকটি আজকের সমাজের সঙ্গে কতটা প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: আজকের সমাজেও অনেকেই ন্যায়ের পক্ষে না দাঁড়িয়ে নীরব থাকে। ‘কবর’ নাটক সেই নীরবতা ভাঙতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি আজও সমান প্রাসঙ্গিক, কারণ আদর্শ ও প্রতিবাদের মূল্য সবসময় থাকে।