Chapter 6
Economic Activities or Occupation
১।
বৃত্তি বুলিলে কি বুজা ?
উত্তরঃ জীবিকা অর্জনের জন্য মানুষ
যে কাজ করে তা হল পেশা।
2. 2. পেশার প্রধান ধরন কি কি? উদাহরণ দিন এবং প্রতিটির নাম দিন।
উত্তরঃ চারটি প্রধান ধরনের পেশা আছে।
প্রতিটি উদাহরণ সহ নামকরণ
করা হয়েছে:
প্রাথমিক পেশা- সমুদ্র বা
পুকুর থেকে মাছ ধরা।
মাধ্যমিক পেশা - শিল্প
উত্পাদন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কাজ।
তৃতীয় পেশা- যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন ইত্যাদি।
চতুর্থ পেশা - ব্যাংকিং, মিডিয়া, জীবন বীমা, প্রশাসন, গবেষণা ইত্যাদি।
৩। প্রাথমিক বৃত্তি কাক
বোলে লিখা ।
উত্তরঃ প্রাথমিক পেশা হল সেইসব অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বা পেশা যা সরাসরি
প্রকৃতি থেকে সম্পদ আহরণের সাথে সম্পর্কিত।
এই ধরনের পেশার মধ্যে
রয়েছে কৃষি, মাছ ধরা, বনায়ন ইত্যাদি।
4. রাজ্য মাধ্যমিক পেশা এবং প্রাথমিক পেশার মধ্যে পার্থক্য।
উত্তরঃ প্রাথমিক পেশা হল সেইসব অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বা পেশা যা সরাসরি
প্রকৃতি থেকে সম্পদ আহরণের সাথে সম্পর্কিত।
প্রকৃতি থেকে সরাসরি আহরিত
সম্পদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে কৃষি সম্পদকেও ব্যবহার উপযোগী করে
তোলা হয়। পণ্যগুলি সাধারণত শিল্প শিল্পের মাধ্যমে মানুষের ব্যবহারের জন্য তৈরি
করা হয়। এই ধরনের কার্যক্রমকে বলা হয় শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়া। মাধ্যমিক পেশা হল
শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।
5 কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে তৃতীয় পেশা বলা হয়? উদাহরণ সহ লিখুন।
উত্তরঃ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বিতরণ
ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছায়। পরিবহন এবং বাজার বন্টন ব্যবস্থায়
প্রধান ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরণের পরিবহন এবং খুচরা থেকে পাইকারি থেকে শুরু করে সব ধরণের ব্যবসায় জড়িত অনেক লোক রয়েছে।
এছাড়াও, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পর্যটনের মতো
পরিষেবাগুলিতে বিপুল সংখ্যক লোক নিযুক্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্রিয়াকলাপ তৃতীয় পেশা
হিসাবে বিবেচিত হয়।
6. 6. চতুর্থ পেশার গুরুত্ব সম্পর্কে লেখ।
উত্তৰঃ চতুর্থ পেশাটি প্রধানত ব্যাংকিং, ফিনান্স, বাণিজ্য ইত্যাদি পরিষেবার পাশাপাশি মিডিয়া, জীবন বীমা, প্রশাসন, গবেষণা ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করে। অন্য তিনটি পেশার (যেমন প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং তৃতীয় পেশা) বা পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ডের অভিযোজনে চতুর্থ পেশার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বায়নের ফলে
উৎপাদন, বাণিজ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চতুর্থ পেশার গুরুত্ব বেড়েছে।
7. 7. অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিভাবে পেশা পরিবর্তন করে তা
লেখ।
উত্তরঃ যেহেতু মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বা পেশা অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে
সম্পর্কিত, তাই অর্থনৈতিক পরিবর্তন
পেশার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনে এটাই স্বাভাবিক। সময়ের সাথে সাথে একটি কৃষি এলাকায়
শিল্প গড়ে উঠলে কিছু শ্রমিক কৃষি থেকে শিল্পে আকৃষ্ট হবে। এর অর্থ হল প্রাথমিক
পেশায় নিযুক্ত কিছু লোক নতুনভাবে মাধ্যমিক পেশায় নিযুক্ত হবে। এর কারণে হতে
পারে-
(ক) কৃষিতে শ্রমিকের সংখ্যা
ইতিমধ্যেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হতে পারে
(b)
মাধ্যমিক
পেশায় আয় তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে।
উপরন্তু, শিল্প উৎপাদন এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে দেবে এবং ধীরে ধীরে কিছু
লোককে তৃতীয় পেশায় নিযুক্ত করবে। এভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা পরিবর্তন মানুষের
পেশা পরিবর্তন করতে পারে।
8. 8. আসামে পেশার ক্ষেত্রের পরিবর্তনের একটি
সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ ব্রিটিশদের আগমনের আগে আসামের জনগণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রধানত
কৃষি, মাছ ধরা, ক্ষুদ্র বনজ সম্পদ আহরণ এবং
গার্হস্থ্য বয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এই সমস্ত ক্রিয়াকলাপ প্রাথমিক পেশা হিসাবে
বিবেচিত হতে পারে। ব্রিটিশরা রাজ্যে চা শিল্প, খনিজ তেল এবং কয়লা ভিত্তিক
শিল্প চালু করেছিল। এগুলো স্থানীয় ও আমদানিকৃত শ্রমিক নিয়োগ করে। সুতরাং, বলা যেতে পারে যে রাজ্যে দ্বিতীয় পেশার প্রচলন হয়েছিল। এর মাধ্যমে
ধীরে ধীরে অফিস, ব্যবসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদিতে মানুষ
নিয়োগ পেতে শুরু করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রশাসনিক ও পরিবহন সেবায় বিপুল
সংখ্যক লোক নিযুক্ত হয়। এইভাবে, তৃতীয় পেশাগুলি ধীরে ধীরে
রাজ্যে প্রসারিত হয়। সম্প্রতি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ও গণমাধ্যমের দ্রুত
সম্প্রসারণের ফলে চতুর্থ পেশায় কর্মীর সংখ্যাও বাড়ছে। এইভাবে, সময়ের সাথে সাথে সংঘটিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনগুলি আমাদের
রাজ্যের পাশাপাশি দেশে এবং বিদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে, অর্থাৎ পেশাদার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।
9. আমাদের রাজ্যে পেশাগত ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে এমন কিছু কারণ উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ যে বিষয়গুলো আমাদের রাজ্যে পেশায় পরিবর্তন এনেছে তা হল:
1)
উত্তর:
ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান,
গবেষণা
প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ এবং মিডিয়া
ইত্যাদির দ্রুত সম্প্রসারণ।
2)
বিশ্বায়নের
প্রভাব।
3)
দেশীয়
বাজারের উন্নয়ন।
4)
অর্থনৈতিক
পরিবর্তন নীতি.
5) বিদেশী কর্মীদের অভিবাসন।