Chapter 8 -

ভারতবর্ষের ভূগোল

1) ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে লেখ।

উত্তৰঃ এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ। ভারত মহাদেশের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। এর উত্তরে উচ্চ হিমালয় ও চীন, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর ও শ্রীলঙ্কা, পূর্বে বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমার এবং পশ্চিমে আরব সাগর ও পাকিস্তান। ভারতের ভূখণ্ড উত্তর-দক্ষিণে কাশ্মীর থেকে কুমারিকা পর্যন্ত এবং অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব অংশ থেকে পূর্ব-পশ্চিমে সৌরাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দেশ



উত্তর অক্ষ এবং


উত্তর অক্ষাংশ বা কর্কট বিষুব ভারতের মধ্য দিয়ে চলে। এই রেখা দেশটিকে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি সমান ভাগে বিভক্ত করেছে। দক্ষিণ অংশটি পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে আরব সাগরের মধ্যে অবস্থিত।

 

2) ভারতের উপকূলরেখার মোট দৈর্ঘ্য কত?

উত্তৰঃ ভারতের উপকূলরেখার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় 6,100 কিলোমিটার।

 

3) ভারতের স্থল সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য কত?

উত্তৰঃ ভারতের মোট 15,200 কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে।

 

4. ভারতের ভূখণ্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লেখ।

উত্তৰঃ ভারত 3,214 কিমি উত্তর-দক্ষিণ এবং 2,933 কিমি পূর্ব-পশ্চিম এলাকা জুড়ে। পূর্বে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের সাথে ভারতের প্রায় 6,100 কিলোমিটার উপকূলরেখা রয়েছে। এই উপকূলীয় এলাকায় অনেক বন্দর গড়ে উঠেছে। দীর্ঘ উপকূলরেখার মতো, ভারতের ভূখণ্ডও প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে স্থল সীমানা তৈরি করে। ভারতের পশ্চিমে পাকিস্তান, উত্তরে চীন, নেপাল ও ভুটান, পূর্বে চীন, দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে মোট 15,200 কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে।

 

5. উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের নদীর মধ্যে চারটি প্রধান পার্থক্য লেখ।

উত্তৰঃ উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির মধ্যে চারটি প্রধান পার্থক্য হল:

1) উত্তর ভারতের নদীগুলির উচ্চ, মাঝারি এবং নিম্ন গতি - এই তিনটি গতি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, তবে দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির ক্ষেত্রে এই তিনটি গতি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান নয়।

2) উত্তর ভারতের নদীগুলো নতুন এবং তাদের তীরে অনেক বড় শহর গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি নতুন নয় এবং তাই তাদের তীরে কোনও বড় শহর গড়ে ওঠেনি।

3) উত্তর ভারতের নদী অববাহিকাগুলি পাললিক এবং উর্বর হওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ, তবে দক্ষিণ ভারতের নদী অববাহিকাগুলি ততটা উর্বর নয়। তাই জনসংখ্যা কম।

4. উত্তর ভারতের নদীগুলি দীর্ঘ এবং তাদের মোহনায় বিস্তৃত উপসাগরীয় দ্বীপ রয়েছে। যাইহোক, দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি তুলনামূলকভাবে ছোট এবং তাদের মধ্যে কয়েকটি তাদের মোহনায় ছোট ছোট দ্বীপ তৈরি করেছে।

 

6) ভারতের ভৌগোলিক বিভাগগুলি কি কি?

উত্তৰঃ ভারতকে তার ভৌগোলিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে চারটি ভৌগোলিক বিভাগে ভাগ করা যায়। তারা হল:

 ক) উত্তর হিমালয় পর্বতমালা

খ) উত্তর ভারতের সমভূমি

গ) দক্ষিণ মালভূমি অঞ্চল

ঘ) উপকূল অঞ্চল

    এছাড়া বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে অবস্থিত ভারতের দ্বীপগুলোকে আলাদা ভৌগলিক গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

7. উত্তর ভারতের হিমালয় পর্বতশ্রেণীর বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তৰঃ উত্তর ভারতের হিমালয় অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

   হিমালয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা। এই পর্বতের অনেক চূড়া রয়েছে। এই পর্বতশ্রেণীগুলি ভারত ছাড়িয়ে নেপাল, ভুটান এবং চীন পর্যন্ত বিস্তৃত। হিমালয়ের সুউচ্চ শৃঙ্গগুলো বরফে ঢাকা। এই বরফ তুষার নদী গঠন করে। হিমালয় অঞ্চলে এরকম অসংখ্য তুষার নদী রয়েছে।

 

8. উত্তর ভারতের সমভূমির বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তৰঃ উত্তর ভারতের সমভূমির বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

এই সমভূমির প্রস্থ স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়। সমতল ঢাল দক্ষিণে এবং এর উর্বর মাটির কারণে ঘনবসতিপূর্ণ। সমভূমিটি 1.75 লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে। উর্বর মাটি এবং সহজ পরিবহনের কারণে সমতল জনবহুল এবং কৃষিগতভাবে উন্নত।

 

9. দক্ষিণ মালভূমি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তৰঃ দক্ষিণ মালভূমি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য হল এটি আকৃতিতে ত্রিভুজাকার। এই মালভূমি অঞ্চলটি পুরানো শক্ত শিলা দ্বারা গঠিত। দক্ষিণ মালভূমি পশ্চিমঘাটের দিকে উঁচু এবং পূর্ব ঘাটের দিকে যথাক্রমে সমতল ও ঢালু। এই ঢাল অনুসারে দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব নদীই পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে।

 

10. উপকূলীয় অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।

উত্তৰঃ উপকূল এলাকার বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-

ভারতের উপকূলীয় সমভূমি দীর্ঘ এবং খাড়া। এটি দক্ষিণ ভারতের সমস্ত প্রধান নদী দ্বারা গঠিত সমভূমি এবং দ্বীপগুলির সমন্বয়ে গঠিত। তাই এটি পশ্চিম উপকূলের চেয়ে প্রশস্ত এবং উর্বর। উপকূলে সিল্কা, কোলার ও পলিকোট নামে তিনটি হ্রদ রয়েছে।

 

11. ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তৰঃ ভারত একটি বিশাল দেশ। প্রধান জলবায়ু উপাদান যেমন তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বায়ু এবং আর্দ্রতা দেশের অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়। তাই, দেশটি বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু অনুভব করে। জলবায়ু প্রধানত দেশের আকার, বিষুবরেখা থেকে এর দূরত্ব এবং মৌসুমি বায়ুর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে জলবায়ু অক্ষাংশ থেকে অক্ষাংশে পরিবর্তিত হয়। ভারতের ভূখণ্ড পর্বত, মালভূমি, মরুভূমি এবং সমভূমি নিয়ে গঠিত। এই ধরনের টপোগ্রাফি স্থানগুলির মধ্যে উচ্চতার পার্থক্য নিয়ে এসেছে। যদিও তারা একই অক্ষাংশে অবস্থিত, তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতা উচ্চতার পার্থক্যের কারণে পরিবর্তিত হয়। ফলে আবহাওয়ারও তারতম্য হয়।

 

12. ভারতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সম্পর্কে একটি নোট লেখ।

উত্তৰঃ ভারতের জলবায়ু মৌসুমি বায়ু দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। বছরের বিভিন্ন ঋতুতে, বিশেষ করে গ্রীষ্ম ও শীতে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরব সাগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এই বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসে বলে তাকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বলা হয়। বায়ু, যা আরব সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বহন করে, প্রথমে পশ্চিমঘাটকে বাধা দেয়। তারপর তা উঠে, শীতল হয় এবং বৃষ্টি হয়। এইভাবে, পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের কাঙ্কন এবং মালওয়ার উপকূলে বছরে 300 সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এই বাতাসের কিছু অংশ পশ্চিমঘাট অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের দিকে চলে যায়। এটি বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এটি আবার আরও জলীয় বাষ্প শোষণ করে এবং আসাম এবং উত্তর পূর্বে প্রবেশ করে। এই বায়ু মেঘালয় মালভূমিতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং ভারী বৃষ্টিপাত ঘটায়। এইভাবে, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বছরে প্রায় 1250 সেমি বৃষ্টিপাত হয়। এই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে আসাম এবং দক্ষিণ হিমালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু বঙ্গোপসাগরে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে এটি কিছু জলীয় বাষ্প শোষণ করে। জলীয় বাষ্পযুক্ত এই বায়ুগুলি যখন পূর্ব ঘাটগুলিতে আঘাত করে, তখন ভারতের পূর্ব উপকূলে, বিশেষ করে করমন্ডল উপকূলে বৃষ্টিপাত হয়। মৌসুমি বায়ুর কারণে সৃষ্ট বৃষ্টি ফসলের ফলন বাড়ায় এবং কৃষির উন্নতি ঘটায়।

 

13. ভারতে বৃষ্টিপাতের বন্টনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তৰঃ সারা ভারতে বৃষ্টিপাতের বন্টন সমান নয়। ভারতে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের বন্টন বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয় উত্তর পূর্বে হিমালয়ের দক্ষিণ অংশে, মেঘালয় মালভূমির দক্ষিণ অংশে এবং পশ্চিমঘাটের পশ্চিম ঢালে। অরুণাচল প্রদেশের বাইরের হিমালয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিপরীতে, রাজস্থানের থর মরুভূমি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বছরে গড়ে 50 সেন্টিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। তবে ব্রহ্মপুত্র সমভূমি সহ উত্তর ভারতের সমভূমিতে বৃষ্টিপাত মাঝারি।

 

14. ভারতের গাছপালা যে শ্রেণীতে বিভক্ত তা লেখ।

উত্তৰঃ ভারতের উদ্ভিদকে সাধারণত ছয় ভাগে ভাগ করা যায়। চিরসবুজ উদ্ভিদ, মৌসুমী উদ্ভিদ, কাঁটাযুক্ত মরুভূমির গাছপালা, ভেষজ উদ্ভিদ, উপসাগরীয় দ্বীপের উদ্ভিদ এবং পর্বত গাছপালা।

 

15. ভারতের চিরসবুজ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

উত্তৰঃ চিরহরিৎ বন সাধারণত লম্বা গাছের সমাহার। এ ধরনের বনে ঘন বনের সৃষ্টি হয়েছে। এর গাছ 45 মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। লম্বা গাছের পাশাপাশি বেত, বাঁশ, নারিকেল ও লতা চাপের গাছও পাওয়া যায়। বছরের কোন ঋতুতে তারা পাতা ঝরায় না। বনে বাঁশ, চন্দন এবং রাবারের মতো অনেক মূল্যবান গাছ রয়েছে।

 

16. ভারতের পর্বত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তৰঃ ভারতের পাহাড়ি গাছপালাগুলির বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ -

এখানে শাল গাছসহ অনেক মূল্যবান গাছ রয়েছে। এই এলাকায় বাঁশের চারা সাধারণ। চওড়া-পাতা ওক এবং সরল চিরহরিৎ 1,000 মিটার থেকে 2,000 মিটারের পার্বত্য অঞ্চলে অবিলম্বে উত্তরে পাওয়া যায়। উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চলে অবশ্য সাধারণ গাছ বেশি দেখা যায়। এছাড়াও, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাঞ্চল, দার্জিলিং এবং সিকিমের হিমালয় 1,600 মিটার থেকে 3,000 মিটার উচ্চতায় সিডার সহ বিভিন্ন প্রজাতির সরল গাছের বন রয়েছে।

 

17. ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা কত? এর ঘনত্ব কত?

উত্তৰঃ ভারতে বর্তমানে জনসংখ্যা 1,210,726,9 এর ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে 382 জন।

 

18. মাইগ্রেশন কয় প্রকার এবং কি কি?

উত্তৰঃ জনসংখ্যার স্থানান্তর অভ্যন্তরীণ স্থানান্তর এবং বহিরাগত অভিবাসনে বিভক্ত। ভারতে ঘটে যাওয়া অভ্যন্তরীণ অভিবাসনকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অভিবাসন এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় অভিবাসনে ভাগ করা যায়। 

 

19. ভারত কি জনসংখ্যার অভিবাসনের দ্বারা প্রভাবিত হয়

উত্তৰঃ অভিবাসনের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। অভিবাসন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন ভারতের অন্যতম প্রধান সমস্যা। অভিবাসন দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। মাইগ্রেশনের কিছু বিশেষ প্রভাব নিচে দেওয়া হল:

ক) অভিবাসন দেশের জাতিগত, ধর্মীয় ও ভাষাগত বৈচিত্র্যকে বাড়িয়েছে এবং এর ফলে একটি বর্ণিল সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে। 

খ) অভিবাসন দেশের অর্থনৈতিক খাতকে পরিবর্তন করেছে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারিত করেছে। 

গ) অভিবাসন দেশ এবং এর বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যার পরিবর্তন করেছে। অভিবাসন জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ঘনত্ব এবং সাক্ষরতার হার পরিবর্তন করেছে।  

D. অভিবাসন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সরাসরি অবদান রেখেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দেশে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেশের ভূমি সম্পদের উপর অত্যধিক চাপ, বন ও জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র ব্যাহত হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সমস্যা রয়েছে। 

ঙ) অভিবাসনের ফলে কখনও কখনও ধর্মীয় ও সামাজিক বিরোধ সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণ হতে পারে। 

চ) অভিবাসীরা কখনও কখনও নতুন জায়গা এবং সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরে চাপে পড়ে।

ছ) অভিবাসনের ফলে কিছু বস্তি এলাকার উন্নয়ন হয়েছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। এ ধরনের বস্তি এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে শহুরে পরিবেশ দূষিত হয়। 

 

20. ভারতীয় অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য লেখ। 

উত্তৰঃ ভারতীয় অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:

            (a) মাথাপিছু আয় কম 

             (খ) মাথাপিছু আয়ে ধীরগতি বৃদ্ধি 

             (c) অত্যধিক জনসংখ্যার চাপ

             (d) দারিদ্র্য 

             (ঙ) কৃষি - নির্ভরতা 

             (f) বর্ধিত বেকারত্ব এবং 

             (ছ) পরিকল্পিত উন্নয়ন। 

 

(21) ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কী কী?

উত্তৰঃ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল:

             1) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ,

            ২) চণ্ডীগড়,

            3) দিল্লি 

            4) দাদরা ও নগর হাভেলি

            5) দমন ও শিশির,

            6) লাক্ষাদ্বীপ,

            7. পন্ডিচেরি। 

 

(22) ভারতের বর্তমান রাজ্যগুলি এবং তাদের নামগুলি লিখুন। 

উত্তৰঃ  ভারতে বর্তমানে 29টি রাজ্য রয়েছে এবং সেগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং উড়িষ্যা, তিলাংপুর, পাঞ্জাব, তিলাংপুর, তামিলপুর, নাগাল্যান্ড উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ। 

 

23. ভারতের সর্বশেষ রাজ্য কি? এর মোট এলাকা ও জনসংখ্যা কত

উত্তৰঃ তেলেঙ্গানা ভারতের সম্প্রতি গঠিত রাজ্য। এর মোট আয়তন 1,14,840 বর্গ কিমি। এর জনসংখ্যা = 3,52,00,0