Chapter 11 -
সরকারের
প্রকার বা শ্রেণী বিভাগ
খুব
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:
1 প্রথম
রাজনৈতিক দার্শনিক কে সরকারকে শ্রেণীবদ্ধ করেন?
উত্তৰঃ প্লেটোই
প্রথম রাজনৈতিক দার্শনিক যিনি সরকারকে শ্রেণিবদ্ধ করেছিলেন।
2. বর্তমানে
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনের সরকার কোনটি?
উত্তৰঃ বর্তমান
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকার হল সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা।
3. সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থা সহ একটি দেশের নাম।
উত্তৰঃ ইংল্যান্ড
একটি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা সহ একটি দেশ।
4. সংসদীয়
পদ্ধতির সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধান কে?
উত্তৰঃ সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থায়, সরকার
প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি।
5. 5. কোন
ধরনের সরকারের ক্ষমতা পৃথকীকরণ নীতি রয়েছে?
উত্তৰঃ ক্ষমতা
পৃথকীকরণের নীতি সহ একটি রাষ্ট্রপতি সরকার রয়েছে।
6. রাষ্ট্রপতিশাসিত
সরকার সহ একটি দেশের নাম বলুন।
উত্তৰঃ একটি
রাষ্ট্রপতি সরকার সহ একটি দেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলা হয়।
7. একক
সরকার সহ একটি দেশের নাম বলুন।
উত্তৰঃ একক সরকার
সহ দেশকে 一
জাপান বলা হয়।
8. 8. যুক্তরাষ্ট্রীয়
সরকার ব্যবস্থায় দুই ধরনের সরকার কী কী?
উত্তৰঃ ফেডারেল
সরকার দুই ধরনের: কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার।
9. সুইজারল্যান্ডে
কোন সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান?
উত্তৰঃ সুইজারল্যান্ডে
একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা রয়েছে।
10. ভারতে
কি দ্বৈত নাগরিকত্ব ব্যবস্থা আছে?
উত্তৰঃ ভারতে
দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই।
সংক্ষিপ্ত
উত্তর প্রশ্ন:
1 বর্তমানে
বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের সরকার কি কি?
উত্তৰঃ বর্তমানে
বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের সরকার হল কেন্দ্রীয়, ফেডারেল, সংসদীয় এবং রাষ্ট্রপতিশাসিত।
2. সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তৰঃ সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য হল 一
১। দুই মাথা।
২। মন্ত্রী
পরিষদের সম্মিলিত দায়িত্ব।
3. সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থার দুটি অসুবিধা এবং দুটি সুবিধা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।
উত্তর:
সংসদীয় সরকারের দুটি গুণ থাকে
১। এই সরকার
নমনীয় চরিত্রের। এ সরকারের নির্বাহী পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সহজ।
২। সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থায় নির্বাহী ও আইনসভার মধ্যে সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা থাকে। ফলে আইনের
মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যাবে।
সংসদীয়
সরকারের দুটি দোষ রয়েছে:
১। ক্ষমতা
পৃথকীকরণের অনুপস্থিতিতে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী ক্ষমতা
মন্ত্রী পরিষদের হাতে ন্যস্ত থাকে। এটি মন্ত্রিপরিষদের দ্বারা স্বৈরাচারী শাসনের
দিকে পরিচালিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
২। এ ধরনের
শাসনব্যবস্থায় দলীয় চর্চা
বিশেষ গুরুত্ব পায়। দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রাজনীতিকে বিষিয়ে তোলে
এবং সরকারের কার্যক্রমকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে।
4. ক্ষমতা
পৃথকীকরণ নীতির অর্থ কী?
উত্তৰঃ ক্ষমতা
পৃথকীকরণের নীতির অর্থ হল একটি রাষ্ট্রপতি সরকারে, নির্বাহী আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ নয়। উভয় অবস্থান
সম্পূর্ণ স্বাধীন। আইনসভার সদস্যরা নির্বাহী সদস্য হতে পারেন না। সংসদীয় সরকার
ব্যবস্থার বিপরীতে, রাষ্ট্রপতিশাসিত
সরকারে, নির্বাহী
সদস্যরা আইনসভার এজেন্ডায় অংশ নিতে পারে না।
5. 5. রাষ্ট্রপতি
সরকারের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তৰঃ রাষ্ট্রপতি
সরকারের দুটি বৈশিষ্ট্য হল:
ক)
রাষ্ট্রপতির নির্দিষ্ট মেয়াদ: রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারে, রাষ্ট্রপতি একটি নির্দিষ্ট
মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। সংবিধান অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের
প্রস্তাব পাস হওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে তার কার্যকালের সময় পদ
থেকে অপসারণ করা যাবে না। অভিশংসনের মাধ্যমে একজন রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা থেকে
অপসারণের প্রক্রিয়া খুবই জটিল।
খ) বিধানসভার
নির্দিষ্ট মেয়াদ:
রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারে, আইনসভা তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোনও কারণে ভেঙে
দেওয়া হবে না। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আইনসভা ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা এই সরকারের নেই।
6. কেন্দ্রীয়
সরকারের দুটি সুবিধা এবং দুটি অসুবিধা সংক্ষেপে বলুন।
উত্তর:
কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি সুবিধা হল:
ক) একক
সরকারে সরকার চালানোর খরচ কম। ফলে উন্নয়ন কাজে বেশি অর্থ ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে।
খ) এ ধরনের
সরকারের সংবিধান নমনীয় এবং পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সহজেই সংশোধন করা যায়।
কেন্দ্রীয়
সরকারের দুটি অসুবিধা:
ক) এই সরকার
বৃহৎ রাষ্ট্রের জন্য উপযুক্ত নয়।
খ) একতরফা
সরকার বেশি আমলাতান্ত্রিক। এমন সরকারে আমলারা আসলে শাসন করে।
দীর্ঘ
প্রশ্নের উত্তর:
1 রাষ্ট্রপতি
সরকারের সুবিধা ও অসুবিধা লেখ।
উত্তর:
রাষ্ট্রপতি সরকারের বৈশিষ্ট্য হল:
1 রাষ্ট্রপতি
শাসিত সরকারে, সরকার
স্থায়ী হয় কারণ রাষ্ট্রপতি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন এবং তাকে
সহজেই পদ থেকে অপসারণ করা যায় না। আইনসভারও একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে।
2. ক্ষমতার
পৃথকীকরণ সরকারের তিনটি অঙ্গকে স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দেয়। উল্লেখ্য, এই সরকারের একটি 'চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স' নীতি রয়েছে এবং সরকারের কোনো
অংশই স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না।
3. 3. এই ধরনের
সরকার জরুরি অবস্থার জন্য খুবই উপযোগী। যেহেতু সরকারের প্রকৃত ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির
হাতে কেন্দ্রীভূত, তাই জরুরি
পরিস্থিতিতে দ্রুত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ।
4. নির্বাহী বিভাগ শক্তিশালী
হওয়ায় এ ধরনের সরকার সহজেই দেশের ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে পারে।
5. 5. কারণ
ফেডারেল সরকার রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব থেকে মুক্ত, রাষ্ট্রপতিকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য সংসদে
সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনের উপর নির্ভর করতে হবে না।
রাষ্ট্রপতি
সরকারের দোষগুলি হল:
1. 1. রাষ্ট্রপতি
শাসিত সরকারে, সরকার
স্বেচ্ছাচারী হতে পারে কারণ আইনসভা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
2. 2. ক্ষমতা
পৃথকীকরণ নীতির কারণে, রাষ্ট্রপতিশাসিত
সরকারে নির্বাহী এবং আইনসভার মধ্যে কোনো সহযোগিতা নেই। সামগ্রিকভাবে দেশের
প্রশাসনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
3. 3. রাষ্ট্রপতি
শাসিত সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর কঠোর সংবিধান। সংবিধান অনমনীয় হলে
পরিবর্তিত পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে সংবিধান সংশোধন করা কঠিন।
8. রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারে, যদি নির্বাহী এবং আইনসভা বিভিন্ন
রাজনৈতিক দলের অন্তর্গত তাহলে একটি রাজনৈতিক সংকট ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
5. 5. এই সরকারে, মন্ত্রিত্ব (সচিব) পাওয়ার
ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার চেয়ে ব্যক্তিগত আনুগত্য প্রাধান্য পাবে।
2. সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তৰঃ সংসদীয়
সরকার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হল:
ক দুটি
মাথা: এই
সরকারের দুই রাষ্ট্রপ্রধান আছে। একটি প্রকৃত নির্বাহী এবং অন্যটি নামমাত্র
নির্বাহী। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ হল প্রকৃত নির্বাহী এবং
রাষ্ট্রপ্রধান (রাজা/রাণী/রাষ্ট্রপতি) হলেন নামমাত্র কার্যনির্বাহী।
খ.
কার্যনির্বাহী সদস্যরাও আইনসভার সদস্য: এই সরকারে নির্বাহী বিভাগের সদস্যরা অর্থাৎ
মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আইনসভার সদস্য।
গ. আইনসভা
এবং নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সম্পর্ক সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায়, আইনসভা এবং নির্বাহী বিভাগ
ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
d মন্ত্রী
পরিষদ আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায়, নির্বাহী তার সমস্ত কাজের জন্য
আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ। বিধানসভা অনাস্থা প্রস্তাব পাস করলে মন্ত্রিসভা পদত্যাগ
করতে বাধ্য হয়।
e মন্ত্রী
পরিষদের সম্মিলিত দায়িত্ব: এই সরকারে, মন্ত্রিসভা সম্মিলিতভাবে আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ।
একজন সদস্যের ব্যর্থতার জন্য মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্য দায়ী।
3. কেন
ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা আজ জনপ্রিয় তা উদাহরণ সহ আলোচনা করুন।
উত্তৰঃ কেন
ফেডারেল সরকার আজ জনপ্রিয় তার কিছু উদাহরণ এখানে দেওয়া হল:
1. 1. ক্ষমতার
বিকেন্দ্রীকরণ: কেন্দ্রীয়
সরকার এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির সরকারগুলির মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন ফেডারেল সরকারের
একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।
2. 2. ক্ষমতা
পৃথকীকরণ: ফেডারেল
সরকারে, সরকারের
তিনটি অঙ্গ - নির্বাহী, আইনসভা
এবং বিচার বিভাগ - তাদের নিজ নিজ কাজে স্বাধীন। একটি অন্যটির পরিপূরক নয়।
3. 3. লিখিত এবং
দৃঢ় সংবিধান: ফেডারেল সরকারের
সংবিধান লিখিত সংবিধান। এই সংবিধান হয় অনমনীয় বা দৃঢ়। এই সংবিধান সংশোধনের
প্রক্রিয়াও অনেক জটিল।
4. দুই ধরনের
সরকার আছে: ফেডারেল
সরকারে দুই ধরনের সরকার আছে। একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং অন্যটি রাজ্য সরকার। উভয়
ধরনের সরকারেরই নিজস্ব সংবিধান রয়েছে।
5. 5. দ্বৈত-নাগরিকত্ব: একটি
ফেডারেল সরকার সহ একটি দেশে, লোকেরা
দুই ধরণের নাগরিকত্ব উপভোগ করতে পারে। তারা সমগ্র দেশের নাগরিক এবং তারা যে রাজ্যে
বাস করে সেই রাজ্যের নাগরিক হিসেবে বিশেষ মর্যাদাও ভোগ করে।
৬।
স্বাধীন ন্যায়পালিকাঃ
ফেডারেল
সরকার ব্যবস্থা একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ আদালত নিয়ে গঠিত, যা সংবিধানের সর্বোচ্চ নির্বাহী
এবং অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।
এসব
কারণেই আজ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা।
4. একক
সরকারের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তৰঃ একক
সরকারের বৈশিষ্ট্য হল:
ক)
শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার: এই জাতীয় সরকারে, সংবিধান সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্পণ
করে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান খুবই শক্ত।
খ) লিখিত
অথবা অলিখিত সংবিধানঃ একক সরকারে সংবিধান লিখিত বা অলিখিত হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, ইংল্যান্ডের
সংবিধান অলিখিত এবং নেদারল্যান্ডের সংবিধান লিখিত।
গ) একক
নাগরিকত্ব: একক
নাগরিকত্ব একক সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দ্বৈত
নাগরিকত্ব ব্যবস্থা নেই।
ঘ) দুর্বল
ন্যায়পালিকাঃ একক
সরকারে, আইনসভা
বিরাজ করে। বিধানসভা কর্তৃক প্রণীত আইন সমগ্র দেশের জন্য প্রযোজ্য এবং এই ধরনের
আইনের কোনো বিচারিক পর্যালোচনা নেই। আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইনকে বিচার বিভাগ
অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে পারে না।
ঙ) নমনীয়
সংবিধানঃ একক
সরকারের সংবিধান সাধারণত নমনীয় হয়। কেন্দ্রীয় সরকার তার বিবেচনার ভিত্তিতে
সংবিধান সংশোধন করতে পারে।
5. 5. একটি
ঐক্যবদ্ধ সরকার কি সত্যিই গণতান্ত্রিক? সমালোচনার প্রস্তাব।
উত্তৰঃ গণতান্ত্রিক দেশগুলি একটি কেন্দ্রীয় বা ফেডারেল সরকার দ্বারা শাসিত হয়, কিন্তু একটি কেন্দ্রীয় সরকার সত্যিকারের গণতান্ত্রিক হতে পারে না। গণতন্ত্র মানে জনগণের শাসন বা জনগণের শাসন। একক সরকারের সংবিধান সাধারণত নমনীয় হয়। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান সংশোধন করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের চাপ বেশি। একতরফা সরকার বেশি আমলাতান্ত্রিক। এমন সরকারে আমলারা আসলে শাসন করে। কেন্দ্রীয় সরকার স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ফেডারেল সরকারের বিপরীতে, কেন্দ্রীয় এবং অঙ্গ সরকারের মধ্যে ক্ষমতার কোনো বিভাজন নেই। এই সরকার জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ঘোষিত জরুরি অবস্থার জন্যই উপযুক্ত। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক দেশের সরকার বলা হয় না।