Chapter 13 - 

মূল অর্থনৈতিক সমস্যাসমূহ

 

খুব সংক্ষিপ্ত / সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:

১। সংজ্ঞা লিখা

(ক) দারিদ্র্য

উত্তরঃ দারিদ্র্য দারিদ্র্য একটি জ্বলন্ত সমস্যা বিশ্বের দেশগুলির মুখোমুখি। ব্যাপক অর্থে দারিদ্র্য বলতে এমন একটি অবস্থাকে বোঝায় যেখানে একজন ব্যক্তি জীবনের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে ব্যর্থ হয়।


(b) বেকারত্ব  

উত্তরঃ বেকার বেকারত্ব শব্দটি সাধারণত কাজের অভাব বোঝায়। যাদের কাজের সুযোগ নেই তাদের বলা হয় বেকার। যাইহোক, অর্থনীতি বলতে বেকারদের বোঝায় যাদের কাজ করার ক্ষমতা এবং ইচ্ছা আছে, কিন্তু কোন উপযুক্ত কর্মসংস্থান খুঁজে পায় না।


(গ) জনসংখ্যা ঘনত্ব

উত্তরঃ জনসংখ্যার ঘনত্ব জনসংখ্যার ঘনত্ব হল প্রতি বর্গকিলোমিটারে একটি দেশ বা রাজ্যের জনসংখ্যা। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে সর্বাধিক জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে 382 জন) পশ্চিমবঙ্গে। এবং সবচেয়ে কম ঘনত্বের রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ।


(ঘ) লিংগ অনুপাত

উত্তরঃ লিঙ্গ অনুপাত লিঙ্গ অনুপাত হল প্রতি হাজার পুরুষে নারীর সংখ্যা। ভারতের লিঙ্গ অনুপাত দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে, কেরালায় সর্বাধিক লিঙ্গ অনুপাত (1084) এবং হরিয়ানা সর্বনিম্ন (877)


(ঙ) চরম দারিদ্র্য

উত্তরঃ চরম দারিদ্র্য চরম দারিদ্র্য হল যখন একজন ব্যক্তির আয় তার পরিবারের মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধা মেটাতে ব্যর্থ হয়।


(f) আপেক্ষিক দারিদ্র্য 

উত্তরঃ আপেক্ষিক দারিদ্র  আপেক্ষিক দারিদ্র্য হল যখন একজন ব্যক্তি তার উপার্জন করা পরিমাণের মাত্র 50% উপার্জন করে যাতে সে কিছু অর্থ পায় কিন্তু সেই অর্থ তার পরিবারের জন্য যথেষ্ট নয়।


(ছ) টেকসই উন্নয়ন 

উত্তরঃ টেকসই উন্নয়ন Brundtland কমিশন 1987 সালে টেকসই উন্নয়নের ধারণা প্রবর্তন করে যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব না ফেলে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। এই কমিশনটি বিশ্ব পরিবেশ ও উন্নয়ন কমিশন নামেও পরিচিত। কমিশনের মতে, 'টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা কমানোর ক্ষমতার সাথে আপস না করে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা কমাতে পারে'


(জ) সেউজ অর্থনীতি

উত্তরঃ সবুজ অর্থনীতি সবুজ অর্থনীতি হল এমন একটি অর্থনীতি যার প্রধান লক্ষ্য হল পরিবেশগত হুমকি এবং বাস্তুতন্ত্রের সমস্যা মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা।


2. 2. দারিদ্র্যরেখা কি? গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার মধ্যে দারিদ্র্যসীমা কত?

উত্তৰঃ দারিদ্র্য রেখা হল বন্টন রেখার একটি নিম্ন সীমা যা একটি দেশের জনসংখ্যাকে দরিদ্র এবং অ-দরিদ্রে ভাগ করে।

*গ্রামীণ অঞ্চলে দারিদ্র্যসীমা: - গ্রামীণ এলাকায়, একজন ব্যক্তি যদি দৈনিক মাথাপিছু ন্যূনতম 2400 ক্যালরি খাবার না পান তাহলে তাকে দরিদ্র বলে গণ্য করা হয়।

*শহুরে অঞ্চলে দারিদ্র্যসীমা:- একজন ব্যক্তি যদি শহরাঞ্চলে দৈনিক মাথাপিছু ন্যূনতম 2100 ক্যালরি খাবার না পান তাহলে তাকে দরিদ্র বলে গণ্য করা হয়।


3. 3. 2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে ভারত ও আসামের জনসংখ্যা কত?

উত্তৰঃ 2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যা 1.21 বিলিয়ন এবং আসামের 31.2 মিলিয়ন।


4. বিশ্বের কত শতাংশ স্থলভাগ ভারতে রয়েছে?

উত্তৰঃ ভারত বিশ্বের ভূমির 2.4 শতাংশ জুড়ে।


5. 5. ভারতে কোন রাজ্যের লিঙ্গ অনুপাত সবচেয়ে বেশি এবং কত

উত্তৰঃ ভারতের মধ্যে কেরালায় লিঙ্গ অনুপাত সবচেয়ে বেশি


6. আসামের জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?

উত্তৰঃ আসামের জনসংখ্যার ঘনত্ব 397 জন।


7. 7. ছদ্ম-বেকার কে?

উত্তৰঃ ছদ্ম-বেকাররা দৃশ্যত শ্রমিক। তবে মোট উৎপাদনে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। উদাহরণ স্বরূপ, যদি একটি কাজ দুই জন করে করা যায় এবং 5 জনকে নিযুক্ত করা হয়, বাকি তিনজনকে ছদ্ম-বেকার বলা হয়।


৮।  মুদ্রাস্ফীতি কি ?

 উত্তৰঃ মুদ্রাস্ফীতি এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যাইহোক, অর্থনীতিতে, মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ মূল্য স্তরের একটি অবিচ্ছিন্ন বৃদ্ধি বোঝায়। মুদ্রাস্ফীতি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কিন্তু টাকার মূল্য কমায়।


9. মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি?

উত্তৰঃ মুদ্রাস্ফীতির দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। একটি চাহিদা চালিত এবং অন্যটি ব্যয় চালিত।


১০। দমিত মুদ্রাস্ফীতি কাক বােলে

 উত্তৰঃ সরকার বিভিন্ন প্রত্যক্ষ প্রক্রিয়া যেমন পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, সরকারী মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদির মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মূল্যস্তরকে মুক্ত মূল্যস্ফীতিমূলক মূল্য স্তরের নিচে রাখে এবং মূল্য স্তরের বৃদ্ধির মাত্রা হ্রাস করে। এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতিকে চাপা মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়।


11অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মীর সংখ্যা কত

উত্তৰঃ অনানুষ্ঠানিক সেক্টরে কর্মীর সংখ্যা 10 জনের কম।

১২। কর্মী জনসংখ্যা = মোট কর্মী সংখ্যা × 100 সম্পূর্ণ।



13. 13. কোন কমিশন কখন টেকসই উন্নয়নের সংজ্ঞা প্রস্তাব করে?

উত্তৰঃ টেকসই উন্নয়নের সংজ্ঞাটি 1987 সালে ব্রুন্ডল্যান্ড কমিশন দ্বারা সামনে রাখা হয়েছিল।


14. 14. পরিবেশগত চিন্তাবিদরা কি মানুষের চিন্তা ও কর্মের মূলমন্ত্র হতে চান?

উত্তৰঃ পরিবেশবাদী চিন্তাবিদরা চান মানুষের চিন্তা ও কর্মের মূলমন্ত্র বিশ্বব্যাপী হোক, কর্ম হোক স্থানীয়। (বিশ্বব্যাপী চিন্তা করুন; স্থানীয়ভাবে কাজ করুন)


দীর্ঘ প্রশ্নের উত্তর:


1. ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যার প্রধান কারণগুলি আলোচনা কর।

উত্তৰঃ জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলির মুখোমুখি হওয়া অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। জনসংখ্যা বিস্ফোরণ অত্যধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি নির্দেশ করে। বিশ্বে ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ।

         ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলির মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

1) উচ্চ জন্মহার।

2) নিরক্ষরতা।

3) দারিদ্র্য।

৪) সামাজিক অজ্ঞতা।

5. জনসংখ্যা শিক্ষার অভাব।


2) দারিদ্র্য কি? দারিদ্র্যরেখা কীভাবে দারিদ্র্যকে সংজ্ঞায়িত করে ব্যাখ্যা কর।

উত্তৰঃ দারিদ্র্য বলতে এমন একটি অবস্থাকে বোঝায় যেখানে একজন ব্যক্তি জীবনের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে ব্যর্থ হয়।

     দারিদ্র্য রেখা একটি দেশের জনসংখ্যাকে দরিদ্র এবং অ-দরিদ্রে বিভক্ত করে বন্টন লাইনের একটি নিম্ন সীমা সংজ্ঞায়িত করে। ভারতে দারিদ্র্য সীমার বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে তবে ক্যালোরি-ভিত্তিক ব্যাখ্যাটি সবচেয়ে সাধারণ। ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের দেওয়া ক্যালোরি-ভিত্তিক সংজ্ঞা অনুসারে, একজন ব্যক্তি যদি গ্রামীণ এলাকায় প্রতিদিন মাথাপিছু ন্যূনতম 2,400 ক্যালোরি এবং শহরাঞ্চলে দৈনিক 2,100 ক্যালোরি অর্জন করতে না পারেন তবে তাকে দরিদ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গ্রামীণ এলাকায় বেশি ক্যালোরির প্রয়োজন হয় কারণ গ্রামের মানুষের শারীরিক পরিশ্রম শহরের মানুষের চেয়ে বেশি হয়। ন্যূনতম ক্যালোরি প্রাপ্তির জন্য বর্তমান হারে গ্রামীণ এলাকা এবং শহরাঞ্চলে মাথাপিছু মাসিক ব্যয় নিম্নরূপ ছিল:



3) মুদ্রাস্ফীতি কি? মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক পদ্ধতিগুলো আলোচনা কর। 

উত্তৰঃ মুদ্রাস্ফীতি এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যাইহোক, অর্থনীতিতে, মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ মূল্য স্তরের একটি অবিচ্ছিন্ন বৃদ্ধি বোঝায়। মুদ্রাস্ফীতি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কিন্তু টাকার মূল্য কমায়।

1) মুদ্রানীতি: সরকার কর্তৃক গৃহীত মুদ্রানীতির মধ্যে রয়েছে ব্যাংক রেট নীতি। ব্যাঙ্ক রেট হল যে হারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়৷ মুদ্রাস্ফীতির সময়ে, ব্যাঙ্ক রেট বাড়ানো হয়, যার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি বাজারের হার বাড়ায়। এটি ঋণগ্রহীতাদের ঋণ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করে এবং বাজারে ঋণ কমায় এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে।

2) আর্থিক নীতি: এই নীতিটি 'আয় ও ব্যয়' নীতি নামেও পরিচিত। সরকারি ব্যয় কমিয়ে দেশে সামগ্রিক চাহিদা কমানো যায় এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া জনগণের হাতে থাকা বাড়তি মুদ্রা সরকারের হাতে আনতে বিভিন্ন ধরনের কর আরোপ করা যেতে পারে। এতে সামগ্রিক চাহিদা কমবে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে। এ ছাড়া সরকার জনগণের কাছ থেকে ঋণ নিয়েও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৩) উৎপাদন বৃদ্ধি নীতিঃ দেশের সরকার অব্যবহৃত সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারলে দেশে উৎপাদন বাড়বে এবং পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির হারে সরবরাহ বাড়বে এবং মূল্যস্তর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।


4. বেকার সমস্যা কি? এর প্রকারভেদ কি কি? এই সমস্যার প্রধান কারণগুলি বলুন।

উত্তৰঃ বেকারত্ব শব্দটি সাধারণত কাজের অভাব বোঝায়। যাদের কাজের সুযোগ নেই তাদের বলা হয় বেকার। যাইহোক, অর্থনীতিতে বেকার বলতে বোঝায় যাদের কাজ করার ক্ষমতা এবং ইচ্ছা আছে, কিন্তু কোন উপযুক্ত কর্মসংস্থান খুঁজে পায় না।

বেকারত্ব সাধারণত 2 ধরনের হয়: গ্রামীণ বেকারত্ব এবং শহুরে বেকারত্ব।

1) দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি:  দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি বেকারত্ব সমস্যায় অবদান রেখেছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার অনুপাতে অপর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের কারণে বেকারত্ব সমস্যা আরও খারাপ হচ্ছে।

২) নিয়োগ বিহীন উন্নয়নঃ দেশে জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারের মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে। এমন অবস্থাকে কর্মসংস্থান ছাড়া উন্নয়ন বলা হয়। ফলে বেকার সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে।

3) স্থবির কৃষি উন্নয়ন: ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি ব্যবস্থার যেভাবে উন্নয়ন হওয়া উচিত ছিল, সেভাবে গড়ে ওঠেনি। ফলে কৃষকদের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে।

4. শিল্পায়নের ধীর গতি: দেশের শিল্প উন্নয়ন যে হারে হওয়া উচিত ছিল সেভাবে হয়নি, যার ফলে শিল্প বেকারত্ব বাড়ছে।

৫) ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যৱস্থাঃ বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থা জনগণকে কর্মসংস্থানযোগ্য করতে না পারায় শিক্ষিত বেকারত্বের সমস্যা জটিল। বৃত্তিমূলক বা কারিগরি শিক্ষার অভাব জনগণকে স্বাবলম্বী করতে পারেনি।

      উপরোক্ত কারণগুলি ছাড়াও আরও অনেক কারণ যেমন স্বল্প পুঁজি গঠন, দারিদ্র্য, সঠিক পরিকল্পনার অভাব ইত্যাদি বেকার সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই এ সমস্যা সমাধানে যথাযথ সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন অপরিহার্য।


5) একটি সংক্ষিপ্ত লিখুন:


ক) মৌসুমী বেকারত্ব মৌসুমী বেকাররা শুধুমাত্র বছরের একটি সময়ের জন্য বেকার থাকে, তারা বছরের বাকি সময়ে নিযুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিকাজের সাথে জড়িত লোকেরা মৌসুমী বেকার।


খ) চাহিদা-চালিত এবং ব্যয়-চালিত মুদ্রাস্ফীতি চাহিদা-চালিত মুদ্রাস্ফীতি হল যখন পণ্য বা পরিষেবার জন্য জনসাধারণের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায় এবং পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ সেই অনুযায়ী বৃদ্ধি পায় না। এ অবস্থায় মানুষের মুদ্রা বা ক্রয়ক্ষমতা বেশি থাকে এবং বাজারে পণ্য বা সেবার চাহিদা কম থাকে। ফলে পণ্য ও সেবার দাম বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। মুদ্রাস্ফীতির আরেকটি কারণ হল পণ্য ও সেবার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি। একে বলা হয় কস্ট ইনফ্লেশন। ব্যয় মূল্যস্ফীতি প্রধানত তিনটি কারণে ঘটে।

ক) মজুরি বৃদ্ধি, খ) লাভ বৃদ্ধি এবং গ) পণ্যের উপর আরোপিত করের কারণে বোঝা।


গ) টেকসই উন্নয়ন: Brundtland কমিশন 1987 সালে টেকসই উন্নয়নের ধারণা চালু করেছিল যাতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উন্নয়ন পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব না ফেলে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। এই কমিশনটি বিশ্ব পরিবেশ ও উন্নয়ন কমিশন নামেও পরিচিত। কমিশনের মতে, 'টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হল অর্থনৈতিক উন্নয়ন যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা কমানোর ক্ষমতার সাথে আপস না করে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা কমাতে পারে'


ঘ) সবুজ অর্থনীতি: সবুজ অর্থনীতি হল এমন একটি অর্থনীতি যার প্রধান লক্ষ্য হল পরিবেশগত হুমকি এবং বাস্তুতন্ত্রের সমস্যা মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা।

   পরিবেশ সচেতন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র এখন: বিশ্বব্যাপী চিন্তা করুন, স্থানীয়ভাবে কাজ করুন (বিশ্বব্যাপী চিন্তা করুন:, স্থানীয়ভাবে কাজ করুন)।


ঙ) অবাধ এবং চাপা মুদ্রাস্ফীতি যখন বিড লেভেলের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না এবং বিডগুলি খুব বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিকে বলা হয় মুক্ত মুদ্রাস্ফীতি।

     অন্যদিকে, সরকার বিভিন্ন প্রত্যক্ষ প্রক্রিয়া যেমন পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, সরকারী মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদির মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মূল্যস্তরকে মুক্ত মূল্যস্ফীতিমূলক মূল্য স্তরের নিচে রাখে এবং মূল্য স্তরের বৃদ্ধির মাত্রা হ্রাস করে। এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতিকে চাপা মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়।