অধ্যায়: ২২.১
লেখক পরিচিতি:
না পাহারার পরীক্ষা
----------------------------------
জন্ম: শঙ্খ ঘোষের জন্ম অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত চাঁদপুরে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি।
শিক্ষা: শঙ্খ ঘোষ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলাসাহিত্যে স্নাতক ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সাহিত্যজীবন: তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'দিনগুলি রাতগুলি'। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলি হল-'নিহিত পাতাল ছায়া' (১৯৬৭), 'মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয়' (১৯৭৪), 'বাবরের প্রার্থনা' (১৯৭৬) ইত্যাদি।
সম্মাননা ও কীর্তি: তাঁকে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় 'নরসিংহদাস পুরস্কার' প্রদান করে। 'বাবরের প্রার্থনা' কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পান 'সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার'। ২০১১ এবং ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে 'পদ্মভূষণ' উপাধি এবং 'জ্ঞানপীঠ' পুরস্কার-এ সম্মানিত করে।
সংক্ষিপ্তসার:
আলোচ্য গদ্যাংশে শঙ্খ ঘোষ পরীক্ষা-বিষয়ক একটি সুন্দর মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহাশয় সমস্ত ছাত্রকে 'না পাহারার পরীক্ষা' বিষয়টি এত সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন যে, ছাত্ররা পরবর্তীকালে কোনো নজরদারি ছাড়াই নিজেদের দায়িত্বে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। এমনকি বিদ্যালয়ের সবচেয়ে ডানপিটে ছেলে হৃদয়, সেও আমূল বদলে যায় এই ঘটনায়। সমস্ত ছাত্র শুধুমাত্র তাদের বিদ্যালয়েই নয়, পরবর্তীকালে বাইরের বিদ্যালয়েও পরীক্ষা দিতে গিয়ে সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাশয়দের প্রশংসা পেয়েছিল। এভাবেই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহাশয় তাঁর বিদ্যালয়ের ছাত্রদের চরিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন। এটিই আলোচ্য পাঠ্যাংশটির মূল বক্তব্য।
শব্দার্থ বিশ্লেষণ:
'নো হামিং' (No humming): 'ফিস ফিস' করে কথা নয়। ফন্দি: মতলব। কাউকে: কোনো ব্যক্তিকে। বিহ্বল: কী করবে না-করবে বুঝতে না-পারা। ইনভিজিলেটর (Invigilator): নজরদার। উত্তেজনা: উদ্দীপনা। মর্যাদা: সম্মান। ডানপিটে। অসমসাহসী, দুর্দান্ত। নিরিবিলি: নিরালা, শুনশান। গরীয়ান মহান, মর্যাদাপূর্ণ। তর্জন: গর্জন, হুংকার। অভিসন্ধি: মতলব। মস্ত: বিশাল; জয়তিলক: জয়সূচক তিলক।