Chapter 3

রূপকোঁয়র জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা


1. জ্যোতিপ্রসাদ আগৰওয়ালাক কেনে ‘ৰূপকোঁৱৰ’ উপাধায় বিভূষিত কৰা হয়?
উত্তৰ: জ্যোতিপ্রসাদ আগৰওয়ালা অসমীয়া সাহিত্য, সংগীত, নাটক আৰু চিনেমাৰ জগতত এক গৰাকী অগ্ৰণী শিল্পী আছিল।
তেওঁ অসমীয়া ভাষাৰ প্ৰথম চলচ্চিত্ৰ ‘জয়মতী’ নিৰ্মাণ কৰি চলচ্চিত্ৰ ক্ষেত্ৰত এক নতুন যুগৰ সূচনা কৰিছিল।
তেওঁৰ গীত, নাটক আৰু অন্যান্য সৃষ্টিৰে অসমীয়া সংস্কৃতিক সমৃদ্ধ কৰি তোলাত তেওঁৰ অৱদান অপূৰ্ণীয়।
এই সকলো কাৰণতে তেওঁক ‘ৰূপকোঁৱৰ’ উপাধিৰে সন্মানিত কৰা হয়।

2. তাঁৰ মৃত্যুৰ দিনটিক কেনে ‘শিল্পী দিৱস’ হিচাপে পালন কৰা হয়?
উত্তৰ: জ্যোতিপ্রসাদ আগৰওয়ালাৰ মৃত্যুৰ দিনটো শিল্প, সাহিত্য আৰু সংগীতৰ প্ৰতি তেওঁৰ গভীৰ অৱদানক স্মৰণ কৰাৰ বাবে ‘শিল্পী দিৱস’ হিচাপে পালন কৰা হয়।
এই দিনটোত বিভিন্ন অনুষ্ঠান, নাটক, সংগীত আৰু সৃষ্টিশীল কাৰ্যসূচীৰ জৰিয়তে তেওঁৰ কৃতিত্বক শ্ৰদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন কৰা হয়।
অসমীয়া সমাজে এই দিনটোত তেওঁক শিল্প জগতৰ পথপ্ৰদর্শক হিচাপে গভীৰ সন্মানৰে স্মৰণ কৰে।

Additional Question 

১. জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার জন্মস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর: জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার জন্ম হয় অসমের দোয়ংৰ (তেজপুৰ) অঞ্চলে।

২. ‘জয়মতী’ চলচ্চিত্র নির্মাণে তিনি কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন?
উত্তর: ‘জয়মতী’ চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় তিনি আর্থিক সংকট, প্রযুক্তির অভাব, স্থানীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভাব ইত্যাদি নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

৩. তাঁকে ‘ৰূপকোঁৱৰ’ উপাধি কেন দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: নাটক, সংগীত, সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে তাঁর বিশাল অবদানের জন্যই তাঁকে ‘ৰূপকোঁৱৰ’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়।

৪. জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার প্রধান সাহিত্যকর্মগুলোর নাম লিখ।
উত্তর: তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে ‘সোনতালী ফূল’, ‘জোনবাই’, ‘গানৰ ঠাহৰ’, ‘লাচিত বড়ফুকন’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

৫. অসমীয়া চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: তিনি অসমীয়া ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র ‘জয়মতী’ তৈরি করেন। এছাড়া তিনি ‘ইন্দ্ৰমালতী’ চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। তিনি ছিলেন পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং নাট্যকার – এককথায় অসমীয়া চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ।

৬. ‘শিল্পী দিৱস’ কবে পালন করা হয় এবং কেন?
উত্তর: ‘শিল্পী দিৱস’ প্রতি বছর ১৭ জানুৱারিত পালন করা হয়, যেদিন জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার মৃত্যু হয়েছিল। এই দিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

৭. তিনি অসম সমাজে কিভাবে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন?
উত্তর: নাটক, গীত, সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি অসমীয়া সমাজে নতুন জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এক নতুন সাংস্কৃতিক চিন্তাধারার সূচনা করেন।

৮. তাঁর সংগীতে দেশপ্রেমের ভাব কীভাবে প্রকাশ পায়?
উত্তর: তাঁর গানে দেশপ্রেম, আত্মবলিদান, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয়তাবোধ গভীরভাবে ফুটে ওঠে। সংগীত ছিল তাঁর সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

৯. জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর: তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অসমে সম্পন্ন করেন। পরে তিনি শিলং এবং কলকাতায় পড়াশোনা করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখানে নাটক ও সংগীত বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন।

১০. তিনি কী ধরনের সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন?
উত্তর: তিনি শোষণহীন, ন্যায়ভিত্তিক, সাংস্কৃতিকভাবে উন্নত এক গণতান্ত্রিক সমাজের স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সাহিত্য ও সংগীতেও এই চিন্তাধারার প্রতিফলন দেখা যায়।