পাঠভিত্তিক প্রশ্ন-উত্তর:
(ক) গান্ধিজি ঘোড়ার গাড়িটিকে কটার সময় আনতে বলেছিলেন?
উত্তর: গান্ধিজি ঘোড়ার গাড়িটিকে সকালে ৯টার সময় আনতে বলেছিলেন।
(খ) কে সময়মতো এসে পৌঁছাতে পারে নি?
উত্তর: কোচওয়ান সময়মতো এসে পৌঁছাতে পারে নি।
(গ) "সময়ের কাজ সময়েই হওয়াটা আমি বাঞ্ছা করি।” বাক্যটি কে বলেছিলেন?
উত্তর: "সময়ের কাজ সময়েই হওয়াটা আমি বাঞ্ছা করি।" বাক্যটি গান্ধিজি বলেছিলেন।
স্বরচিহ্ন ব্যবহৃত শব্দ এবং না ব্যবহৃত শব্দ:
-
লাল রঙে (স্বরচিহ্ন ব্যবহৃত হয়নি): দেরি, মহৎ, সময়, কাজ, গ্রাম, আমি, গাড়ি, জন
-
কালো রঙে (স্বরচিহ্ন ব্যবহৃত হয়েছে): গান্ধি, মহান, সাহায্য, এখন, কোচ
এলোমেলো বাক্য সঠিক ক্রমে সাজিয়ে লেখা:
-
গান্ধিজি একটি সাইকেলের বন্দোবস্ত করেছিলেন, যাতে তিনি সভায় যেতে পারেন।
-
গান্ধিজিকে একটি গ্রামের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
-
গান্ধিজি সাইকেল চালিয়ে সভায় গিয়েছিলেন।
-
কোচওয়ান সময়মতো এসে উপস্থিত হল না।
-
কোচওয়ান পরে এসে বলল, "একজন রোগীকে হাসপাতালে রেখে আসার জন্য আমার দেরি হল।"
(ক) সাইকেল চালিয়ে হলেও, সেই সভায় গান্ধিজি কেন উপস্থিত হয়েছিলেন?
উত্তর: গান্ধিজি সাইকেল চালিয়ে সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন কারণ তিনি সময়মতো সভায় পৌঁছাতে চাইছিলেন এবং তিনি নিজের জীবনে অহংকারের পরিবর্তে সরলতা এবং আত্মনির্ভরতার পক্ষে ছিলেন।
(খ) 'আমাকে ক্ষমা করুন' এই কথাটি কোচওয়ান কাকে এবং কেন বলেছিল?
উত্তর: কোচওয়ান গান্ধিজিকে "আমাকে ক্ষমা করুন" বলেছিল কারণ সে সময়মতো সভায় পৌঁছাতে পারেনি এবং তার দেরির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল।
(গ) গান্ধিজি কোচওয়ানকে "মহৎ কাজ করেছ" বলে কেন অভিহিত করেছিলেন?
উত্তর: গান্ধিজি কোচওয়ানকে "মহৎ কাজ করেছ" বলে অভিহিত করেছিলেন কারণ কোচওয়ান তার দেরি সত্ত্বেও অসহায় রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য প্রথমে তার কর্তব্য পালন করেছিল।
শুদ্ধ বানানে গোল চিহ্ন দেওয়া:
-
শুদ্ধ বানান:
-
শ্বরমতী (সঠিক বানান: সবরমতী)
-
গান্ধীজি (সঠিক বানান: গান্ধিজি)
-
হাসপাতাল (সঠিক বানান: হাস্পাতাল)
-
শব্দ ও তাদের সঠিক স্থানে বসানো:
-
যেখানে রোগীর চিকিৎসা করা হয়: হাসপাতাল
-
যে ঘোড়ার গাড়ি চালায়: কোচওয়ান
-
যে স্থানে ঋষি-মুনিরা বাস করেন: আশ্রম
-
সভায় যিনি বক্তৃতা দেন: বক্তা
-
আজকের পর যে দিন আসবে: আগামীকাল
যুক্তবর্ণ ভেঙে পড়া:
-
উদ্দেশ্য: দ + দ = দ্দ
-
বাঞ্ছা: ঞ + ছ = এঞ
-
ছঞ্চু: ছ + ঞ্চ = ছঞ্চু
যুক্তবর্ণের সাহায্যে শব্দ লেখো:
উদ্দাম = উ + দ্দ + আম
বাঞ্ছিত = ব + ঞ + ছ + ি + ত
'দ্দ' যুক্তবর্ণ খুঁজে বের করে গোলচিহ্ন দেওয়া শব্দ (উপরের অনুচ্ছেদ থেকে):
১. হদ্দ
২. উদ্দাম
৩. সিদ্ধান্ত (যদি থাকে)
৪. সিদ্ধ (যদি থাকে)
এখানে মূলত "হদ্দ" ও "উদ্দাম" শব্দে 'দ্দ' যুক্তবর্ণ রয়েছে। এই যুক্তবর্ণগুলোতে গোলচিহ্ন দিতে হবে।
একবচন ও বহুবচনের ব্যাখ্যা (ক ও খ অংশ থেকে):
ক-অংশ (একবচন):
আমি, তুমি, আপনি, তিনি, সে — প্রত্যেকটি শব্দ একজন ব্যক্তিকে বোঝায়, তাই একবচন।
খ-অংশ (বহুবচন):
আমরা, তোমরা, আপনারা, তাঁরা, তারা — প্রত্যেকটি শব্দ একাধিক ব্যক্তিকে বোঝায়, তাই বহুবচন।
উদাহরণ:
একবচন বাক্য: আমি স্কুলে যাই।
বহুবচন বাক্য: আমরা একসাথে খেলি।
বহুবচন ব্যবহার করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো:
উদাহরণ:
আমি সভায় যাব। → আমরা সভায় যাব।
(ক) তুমি একটি ঘোড়ার গাড়ি জোগাড় করবে।
→ তোমরা একটি ঘোড়ার গাড়ি জোগাড় করবে।
(খ) সে সময়মতো আসে নি।
→ তারা সময়মতো আসে নি।
(গ) তিনি সর্বদা সময়ের কাজ সময়ে করেন।
→ তাঁরা সর্বদা সময়ের কাজ সময়ে করেন।
নিচের শব্দগুলোর বিপরীতার্থক শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূর্ণ করো:
নীরোগ ↔ রোগ
আমি নীরোগ নই, আমি রোগগ্রস্ত।
আনন্দ ↔ নিরানন্দ
আজকের দিনটি আনন্দ নয়, নিরানন্দ।
হাসি ↔ কান্না
সে হাসি নয়, বরং কান্না করছিল।