Chapter - 1
আমার দেশের মাটি
প্রশ্নোত্তর:
(ক) কবি দেশের মাটিকে প্রণাম করেছেন কেন?
উত্তর: কবি দেশের মাটিকে প্রণাম করেছেন কারণ এই মাটি তাঁকে জীবন, শান্তি, সাহস ও শক্তি দিয়েছে। দেশের মাটি তাঁর কাছে পবিত্র ও পূজনীয়।
(খ) দেশের মাটির কোন স্মৃতি কবির মনে গাঁথা রয়েছে?
উত্তর: দেশের মাটিতে খেলা করা, পরিশ্রম করা এবং দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারের স্মৃতিগুলি কবির মনে গাঁথা রয়েছে।
(গ) দেশের মাটি আমাদের কী কী দিয়েছে?
উত্তর: দেশের মাটি আমাদের জীবন দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে, সাহস ও শক্তি দিয়েছে।
(ঘ) কবি দেশের মাটিকে “মাতার মতো” বলেছেন কেন?
উত্তর: কবি দেশের মাটিকে মাতার মতো বলেছেন কারণ মাটি মায়ের মতোই আমাদের লালন-পালন করে, আমাদের রক্ষা করে ও সাহস যোগায়।
শূন্যস্থান পূর্ণ করো:
(ক) তোমাতে বিশ্বেরীর, তোমাতে বিশ্বমাতার আঁচল পাতা।
(খ) তুমি যে সংগ্রামের সকল-বাহু মাতার স্নেহধারার মাটি।
(গ) আমার সবচেয়ে আপন গলে গেছে কাজে,
(ঘ) আমি কাটাই বুকের কাছে তোমায় মনে।
নিচের পঙ্ক্তিগুলোর তাৎপর্য লেখো:
(১) তোমাতে বিশ্বধারী, তোমাতে বিশ্বমাতার আঁচল পাতা।।
তাৎপর্য: এই পঙ্ক্তিতে কবি বলেছেন যে দেশের মাটিতে পৃথিবীর সমস্ত জীবনের ধারা প্রবাহিত হচ্ছে, আর সেই মাটি যেন বিশ্বজননীর আঁচলের মতো আমাদের আগলে রাখে।
(২) ও মা, অনেক তোমার ঋণেছি গো, অনেক নিয়েছি মা—
তাৎপর্য: এই পঙ্ক্তিতে কবি মাটিকে মা রূপে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, তিনি মাটির কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন—জীবন, শক্তি, ভালোবাসা—এবং তাঁর ওপর এক বিশাল ঋণ রয়ে গেছে।
(৩) তুমি বুকে আমাদের শক্তি দিলে শক্তিমাতা।
তাৎপর্য: কবি এখানে বলেছেন, দেশের মাটি আমাদের সাহস ও মনোবল দিয়েছে, ঠিক যেন এক শক্তিশালী মা তাঁর সন্তানকে শক্তি জোগায়।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর:
(১) কবি দেশের মাটির কী কী গুণের কথা বলেছেন?
উত্তর: কবি বলেছেন, দেশের মাটি বিশ্বধারী, মাতৃসম, শক্তির উৎস, এবং আমাদের জীবনের সহচর।
(২) কবির মতে দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য কী হওয়া উচিত?
উত্তর: কবির মতে আমাদের উচিত দেশের মাটির প্রতি শ্রদ্ধা রাখা, তার জন্য কাজ করা এবং তার ঋণ শোধ করার চেষ্টা করা।
(৩) দেশের মাটিকে কবি কেন 'শক্তিমাতা' বলেছেন?
উত্তর: কবি বলেছেন দেশের মাটি আমাদের সাহস ও মনোবল দেয়, আমাদের কর্মশক্তির উৎস, তাই তিনি মাটিকে 'শক্তিমাতা' বলেছেন।