মধু অনতে বাঘের মুখে 

-------------------------------------------------------------------

    

    👉Text Book PDF
    👉MCQ Online Exam
    👉MCQ Answer
    👉Paid Answer (For Membership User   

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:


১.১ বসন্তকালে সুন্দরবনের দৃশ্যটি কেমন তা নিজের ভাষায় পাঁচটি বাক্যে লেখো।


উত্তর: বসন্তে গরান গাছে ছোটো ছোটো হলুদ ফুল ধরেছে। সকাল থেকে ফুলের গন্ধে আর মৌমাছির গুঞ্জনে বন মেতে উঠেছে। বসন্তের ঝিরিঝিরি দক্ষিণা হাওয়ায় সুন্দরবনে আন্দোলিত। দলে দলে মধু শিকারির দল বনে বনে মৌচাকের খোঁজ করছে।


১.২ যদি তুমি কখনও সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাও, তবে কাকে কাকে সঙ্গে নেবে? জিনিসপত্রই বা কী কী নিয়ে যাবে?


উত্তর: আমার তিনবন্ধু রিমি-পায়েল-অনিন্দ্যকে সঙ্গে নেব।


জিনিসপত্র নেব —  চট, কাস্তে, কাঁচা বাঁশ (লম্বা), মশাল, ধামা, কলসি, লাঠি, প্রভৃতি।


১.৩ 'বাংলার বাঘ' নামে কে পরিচিত?


উত্তরঃ 'বাংলার বাঘ' নামে পরিচিত স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়।


১.৪ 'বাঘা যতীন' নামে কে পরিচিত?


উত্তর: 'বাঘা যতীন' নামে পরিচিত যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।


১.৫ 'সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ'। এই বিষয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো। 


উত্তরঃ 'সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ'- তার কারণ বাঘের ভয় থাকে। সুন্দরবন এলাকা এমনিতেই দুর্যোগপূর্ণ, সুন্দরবনে বাঘ ছাড়াও আরও হিংস্র প্রাণীর যেমন-কুমির, কামট ইত্যাদির উৎপাত আছে। ডিঙিতে বনের মধ্যে গিয়ে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া অসম্ভব ঝুঁকির কাজ। কারণ বনাঞ্চল নিরাপদ নয়, জনবসতি প্রায় নেই।


১.৬ ধনাই কীসের মন্ত্র জানে?


উত্তরঃ মন্ত্র জানা থাকলে তবেই মৌচাক কাটতে পারে। আর ধনাই সেই মৌচাক কাটার মন্ত্র জানে।


১.৭ গরান গাছের ফুল দেখতে কেমন? (হেয়ার স্কুল)


উত্তরঃ গরান গাছের ফুল ছোটো ছোটো, হলুদ রংয়ের, গন্ধবিশিষ্ট।


১.৮ ডিঙি করে মধু সংগ্রহ করতে কে কে গিয়েছিল?


উত্তরঃ ডিঙি করে মধু সংগ্রহ করতে গিয়েছিল ধনাই - আর্জান -কফিল।


১.৯ টীকা লেখো: ট্যাক্, শিষে। অনুরূপ প্রশ্ন: ট্যাক্ কী? (শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম ইনস্টিটিউট)


উত্তর: ট্যাক্ —  দুটো ছোটো নদী মিশবার ফলে একটা ত্রিভুজখণ্ড তৈরি হয়।  এই ধরনের ত্রিভুজ আকারের জমির মাথা 'ট্যাক্' নামে পরিচিত। 

শিষে —  ছোটো সরু খাদকে বলে শিষে। সাধারণত তিন-চার হাত চওড়া হয় শিষে।


১.১০ মধুর চাক খুঁজে পাওয়ার পন্থাটি কী?


উত্তর: মধুর চাক খুঁজে পাওয়ার পন্থা হল মৌমাছি ফুল থেকে মধু নিয়ে কোন্দিকে ছুটে চলেছে, তা লক্ষ করা এবং তার পিছু পিছু সেদিকে যাওয়া।


১.১১ কফিল ও আর্জানকে পেছনে ফিরে ডাকার সময় ধনাই কী দেখেছিল?


উত্তরঃ কফিল ও আর্জানকে পেছনে ফিরে ডাকার সময় ধনাই দেখেছিল একটা বাঘ গর্জন করে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার উপর। আর কফিল আর্জান দুজনেই ঝোপের আড়ালে হতভম্ব।


১.১২ বাঘটা শিষের ভিতর পড়ে গেল কীভাবে?


উত্তরঃ বাঘটা ধনাইকে লক্ষ করে ঝাঁপ দিলেও তল্লা গাছের উপর গিয়ে পড়ে যে গাছটা ধরে ধনাই শিষে পার হতে চেয়েছিল। ধনাইকে ডিঙিয়ে বাঘের মাথা ওই গাছটাতে ঠোক্কর খেল দুর্দান্ত বেগে। মাথায় আঘাত লেগে বাঘ উলটে গিয়ে পড়ে গেল 'শিষে'-তে।


১.১৩ ধনাই কীভাবে বাঘের হাত থেকে বেঁচে গেল?


উত্তর: বাঘের লেজের বাড়িতে ধনাই-এর মাথার মধুর কলস পড়ে গেল। বাঘ-ও পড়ল শিষের ভিতর। তবলা গাছটা বাঘের থাবা থেকে ধনাইকে বাঁচাল।


অতিরিক্ত সংয়োজন 


১। ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখো:


১.১ মধু কাটতে লোক লাগে - দুই/তিন/চার/পাঁচজন।


উত্তরঃ মধু কাটতে লোক লাগে তিনজন


১.২ মৌচাক কাটতে হলে জানতে হবে- নাচ/গান/জাদু/মন্ত্র।


উত্তরঃ মৌচাক কাটতে হলে জানতে হবে মন্ত্র


১.৩ মধু কাটার মন্ত্র জানে- ধনাই/কফিল/আর্জান/বসির।


উত্তরঃ মধু কাটার মন্ত্র জানে ধনাই


১.৪ গরান গাছের ফুলের রং- লাল/নীল/কালো/হলুদ।


উত্তরঃ গরান গাছের ফুলের রং হলুদ


১.৫ মধুর কলস ছিল যার মাথায়- ধনাই/কফিল/ আর্জান/ বসির।


উত্তরঃ মধুর কলস ছিল ধনাই-এর মাথায়।


১.৬ আর্জান চাকে মধু আছে কিনা জানার জন্য ছুড়েছিল- পাথর/কাদা/লাঠি/তির।


উত্তরঃ আর্জান চাকে মধু আছে কী জানার জন্য ছুড়েছিল কাদা


১.৭ বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যাকে লক্ষ করে-আর্জান/কফিল /ধনাই/ইসাবকে।


উত্তর: বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ধনাইকে লক্ষ করে।


১.৮ বাঘ ধাক্কা খেয়েছিল যে গাছে-গরান/অর্জুন/ সুন্দরী/তল্লা।


উত্তরঃ বাঘ ধাক্কা খেয়েছিল তল্লা গাছে।


১.৯ বাঘ গিয়ে পড়েছিল- নদীতে/গর্তে/শিষেতে/শূলোতে।


উত্তরঃ বাঘ গিয়ে পড়েছিল শিষেতে।


১.১০ ধনাই চাক দেখতে পায় সুন্দরী/গরাণ/গেঁওয়া/কদম গাছ। (হেয়ার স্কুল)


উত্তরঃ ধনাই চাক দেখতে পায় গরাণ গাছে।


১.১১ মধুর কলসি ভেঙেছিল যার উপর-ধনাই/আর্জান/ কফিল/বাঘ।


উত্তর: মধুর কলসি ভেঙেছিল বাঘের উপর


১.১২ 'হেঁদো' শব্দটির অর্থ-শ্বাসমূল/গুল্মবিশেষ/ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ/বৃক্ষশ্রেণি। (ফালাকাটা হাইস্কুল উ. মা.)


উত্তরঃ 'হেঁদো' শব্দটির অর্থ বৃক্ষশ্রেণি


১.১৩ ত্রিভুজ আকাশের জমিকে বলা হয়-শিষে/ট্যাক্/শুলো / ডিঙি । 

(বাঁকুড়া জেলা স্কুল)


উত্তর: ত্রিভুজ আকারের জমিকে বলা হয় ট্যাক্


২. শূন্যস্থান পূরণ করো:


২.১ বনে যাওয়ার কথায়—---------------- এক পা।


উত্তর: বনে যাওয়ার কথায় আর্জান এক পা।


২.২ —------------ জানে মন্ত্র।


উত্তর: ধনাই জানে মন্ত্র।


২.৩—-----------------শেষে সুন্দরবনে নানা গাছে—--------------------- ধরেছে।


উত্তর: শীতের শেষে সুন্দরবনে নানা গাছে ফুল ধরেছে।


২.৪ —----------------- সবার আগে।


উত্তর: ধনাই সবার আগে।


২.৫ এই ধরনের—---------------- আকারের জমির মাথা—----------------- বলেই পরিচিত।


উত্তর: এই ধরনের ত্রিভুজ আকারের জমির মাথা ট্যাক্ বলেই পরিচিত।


২.৬ —--------------------আছে মধু চাক—---------------- দেখেই ওদের চিৎকার করে বলল। 


উত্তর: গরান আছে মধু চাক দেখেই ধনাই ওদের চিৎকার করে বলল।


২.৭ —------------------ গাছটা ধরে শিষে পার হবার জন্য তৈরি হয়েছে।


উত্তরঃ তবলা গাছটা ধরে শিষে পার হবার জন্য তৈরি হয়েছে।


২.৮ আজান ও কফিল ঝোপের আড়ালে—-----------------।


উত্তর: আর্জান ও কফি, ঝোপের আড়ালে হতভম্ব


২.৯ বাঘও পড়ল —--------------------- গর্তের ভিতর।


উত্তর: বাঘও পড়ল শিষের গর্তের ভিতর।


২.১০ —---------------------- ভেঙে পড়ল তার মাথার উপর।


উত্তরঃ কলস ভেঙে পড়ল তার মাথার উপর।


৩। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


৩.১ কোন্ কোন্ গাছে সাধারণত মৌচাক দেখা যায়?


উত্তর: সাধারণত গরান, খলসি, গর্জন গাছে মৌচাক দেখা যায়।


৩.২ "দলের সঙ্গে একটা কলসও থাকে"- দলের সঙ্গে কলস থাকে কেন?


উত্তর: এক-একটা মধুর চাক কাটা হলে, কলসে মধু ঝেড়ে রাখা হয়। তাই দলের সঙ্গে একটা কলস থাকে।


৩.৩ ধনাই-এর হাতে কী ছিল?


উত্তর: ধনাই-এর বাঁ হাতে কাস্তে আর চট ছিল।


৩.৪ ট্যাকের সামনে কী গাছ ছিল?


উত্তর: ট্যাকের সামনেই ছিল একটা গরান গাছ।


৩.৫ আর্জান কাদা ছুঁড়েছিল কেন?


উত্তর: গরান গাছের চাকে মধু আছে কি না তা জানার জন্য আর্জান কাদা ছুড়েছিল। 


৩.৬ শিষে কাকে বলে?


উত্তর: সুন্দরবনে ছোটো সরু খাদকে শিষে বলে।


৩.৭ "তাই তার সমস্যা"। হয়েছে? কার সমস্যার কথা বলা


উত্তর: এখানে মাথায় মধুর কলস নিয়ে ধনাই-এর শিষে পার হবার সমস্যার বলা বলা হয়েছে।


৩.৮ "তাদের কথা বলার শক্তি নেই"। বলার শক্তি নেই? কাদের কথা


উত্তর: আর্জান ও কফিল-এর কথা বলার শক্তি নেই।


৩.৯ ধনাই-এর মাথার কলস পড়ে গিয়েছিল কেন?


উত্তর: বাঘের লেজের বাড়ির আঘাতে ধনাই-এর মাথা থেকে মধুর কলস পড়ে গিয়েছিল।


৩.১০ "কলস ভেঙে পড়ল তার মাথার উপর"। মাথার উপর কলস ভেঙে পড়েছিল? কার


উত্তর: বাঘের মাথার উপর কলস ভেঙে পড়েছিল।


২.১০ সুন্দরবনের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা একটি নদীর নাম লেখো।


উত্তর: সুন্দরবনের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা একটি নদীর নাম গোসাবা।


৩.১১ 'লোকে তা বিশ্বাস করে না'-কার কথা লোকে বিশ্বাস করে না? (পর্ষদ নমুনা)


উত্তর: ধনাইয়ের কথা লোকে বিশ্বাস করে না।


৪। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


৪.১ "মধু কাটতে তিনজন লোক তিনজন লোকের দরকার কেন? মধু কাটতে তিনজন লোকের দরকার কেন ? 


উত্তর: মধু কাটতে তিনজন লোকের মধ্যে একজন চট মুড়ি দিয়ে গাছে উঠে কাস্তে দিয়ে চাক কাটে। আর-একজন লম্বা কাঁচা বাঁশের মাথায় মশাল জ্বেলে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়ায় আর তৃতীয়জন একটা বড়ো ধামা হাতে নিয়ে চাকের তলায় দাঁড়ায়। যাতে সেগুলি মাটিতে না পড়ে ধামাতেই পড়ে।


৪.২ "মন্ত্র জানা চাই”।- কোন্ মন্ত্রের কথা বলা হয়েছে? কেন জানা দরকার?


উত্তর: এখানে মৌচাক কাটার মন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। মন্ত্র দিয়ে মৌমাছিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে হয়। তা না হলে, একবার শত্রুর খোঁজ পেলে লক্ষ লক্ষ মৌমাছি ছেঁকে ধরে তাকে কামড়ে শেষ করে দেবে। এইজন্য মৌচাক কাটতে গেলে মন্ত্র জানা দরকার।

৪.৩"সে নিজে তাই বলে, কিন্তু লোকে তা বিশ্বাস করে না”। - 'সে' কে, সে নিজে কী বলে? লোকে কী বিশ্বাস করে ?

উত্তর: এখানে ‘সে’ হল ‘মধু আনতে মুখে’ রচনাংশের ধনাই ধনাই মধু কাটার মন্ত্র জানার কথা বলে । লোকে বিশ্বাস করে ধনাই গোঁয়াব , সে গোঁয়ার্তুমি করে মধু কাটে ।

৪.৪ "তাদের কথা বলার শক্তি নেই"। - 'তারা' কারা? তাদের কথা বলার শক্তি নেই কেন?


উত্তর: এখানে 'তারা' বলতে আর্জান ও কফিলের কথা বলা হয়েছে। সুন্দরবনে আর্জান, কফিল, ধনাই মধু আনতে গিয়েছিল। একা শিষের কাছে ধনাই, আর্জান ও কফিলের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে যায়। সে সময় একটা বাঘ তাকে লক্ষ করে বিকট হুংকার দিয়ে ঝাঁপ দেয়। আর্জান ও কফিল তা দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। তাদের কথা বলার কোনো শক্তি ছিল না।


৪.৫ ধনাই কীভাবে শিষে পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল? (হুগলি কলেজিয়েট স্কুল)


উত্তরঃ ধনাইয়ের হাতে একটা লম্বা লাঠি ছিল। সে সেই | লাঠিটিকে সাঁকোর মতো করে শিষের ওপর দিয়ে এপার ওপার করে দিল। তারপর তল্লা গাছ ধরে শিষে পার হওয়া শুরু করছিল।


৪.৬ বাঘটা ফ্যোঁৎ ফ্যোঁৎ করছিল কেন? (খাদিমপুর হাইস্কুল)


উত্তরঃ বাঘের মাথায় কলস ভেঙে ওর সারা চোখে-মুখে মধু ছিটকে পড়েছিল। আর মুখে মধু পড়তেই তার অস্বস্তি হল। তাই বাঘটা বেজায় ফ্যোঁৎ ফ্যোঁৎ করতে লাগল।

  

 

Paid Answer (For Membership User)

Editing By:- Lipi Medhi