Chapter 2
বুনো হাঁস
--------------
👉Text Book PDF
👉MCQ Online Exam
👉MCQ Answer
👉Paid Answer (For Membership User
১। ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো:
১.১ আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখো (ঘরবাড়ি/ গাছপালা/পোকামাকড়/মেঘ-রোদ্দুর)।
উত্তর: আকাশের দিকে তাকালে আমি দেখি মেঘ-রোদ্দুর।
১.২ হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল – (কিলিমানজারো/আরাবল্লি/আন্দিজ/ রকি)। (উত্তরপাড়া গভঃ হাইস্কুলে) |
উত্তরঃ হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল আরাবল্লি।
১.৩ এক রকমের হাঁসের নাম হল- (সোেনা/কুনো/কালি/ বালি)।
উত্তর: এক রকমের হাঁসের নাম হল সোনা।
১.৪ পাখির ডানার শব্দ শোনা যায়- (বোঁ বোঁ/শন শন/ শোঁ শোঁ/গাঁক গাঁক)।
উত্তর: পাখির ডানার শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
১.৪ জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল-লাডাক-এ/শিলং-এ/কাশ্মীরে/ আসামে।
উত্তর: জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল লাডাক-এ।
১.৫ জোয়ানরা খবর পেত-ফোনে/রেডিয়োতে/টিভিতে/ চিঠিতে।
উত্তর: জোয়ানরা খবর পেত রেডিয়োতে।
১.৬ বুনো হাঁসেরা উড়ে যেত পূর্বে/পশ্চিমে/উত্তরে/দক্ষিণে।
উত্তর: বুনো হাঁসেরা উড়ে যেত দক্ষিণে।
১.৭ জোয়ানদের তাঁবুতে ছিল- একটা হাঁস/ দুটো হাঁস/তিনটি হাঁস/চারটি হাঁস।
উত্তর: জোয়ানদের তাঁবুতে ছিল দুটো হাঁস।
১.৮ হাঁস দুটি জোয়ানদের কাছে ছিল সারা- গ্রীষ্মকাল/বর্ষাকাল/শরৎকাল/শীতকাল।
উত্তর: হাঁস দুটি জোয়ানদের কাছে ছিল সারা শীতকাল।
২. শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ কেবলই—--দিকে উড়ে চলেছে।
উত্তর: কেবলই উত্তর দিকে উড়ে চলেছে।
২.২ পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় আমাদের সময় নামে।
উত্তর: পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় আমাদের শীতের সময় নামে।
২.৪ হাঁসটা প্রথমে—----এসেছিল।
উত্তর: হাঁসটা প্রথমে তেড়ে এসেছিল।
২.৫ প্রথম হাঁসটার—------ জখম হয়েছে।
উত্তর: প্রথম হাঁসটার ডানা জখম হয়েছে।
২.৬ ওদেরকরা —-------জোয়ানদের একটা কাজ হয়ে দাঁড়াল।
উত্তর: ওদের দেখাশোনা করা জোয়ানদের একটা আনন্দেরই ক হয়ে দাঁড়াল।
২.৭ সারা —------ওরা দুজনে ওখানে থেকে গেল।
উত্তর: সারা শীতকাল ওরা দুজনে ওখানে থেকে গেল।
২.৮ তারপর—----- আবার আসতে আরম্ভ করল।
উত্তর: তারপর পাখিরা আবার আসতে আরম্ভ করল।
২.৯ দেশে ফিরে ওরা—-----।
উত্তর: দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধল।
২.১০—---- বাড়ি ফেরার সময় হয়ে এল।
উত্তর: জোয়ানদের বাড়ি ফেরার সময় হয়ে এল।
৩। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
৩.১ লীলা মজুমদারের বাবার নাম কী?
উত্তরঃ লীলা মজুমদারের বাবার নাম প্রমদারঞ্জন রায়।
৩.২ ছোটোদের জন্য লেখা লীলা মজুমদারের প্রথম বই-এর নাম কী?
উত্তরঃ ছোটোদের জন্য লেখা লীলা মজুমদারের প্রথম বই হল 'বদ্দিনাথের বাড়ি'।
৩.৩ 'দেখতে পাবে' কী দেখতে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ দেখতে পাওয়া যাবে বুনো হাঁসের দল তিরের ফলার মতো কেবলই উত্তর দিকে উড়ে যাচ্ছে।
৩.৪ 'বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত' কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে লাডাকের সেনা ঘাঁটিতে থাকা আমাদের জোয়ানদের কথা বলা হয়েছে।
৩.৫ শীতের শুরুতে হাঁসেরা কোন্দিকে উড়ে যেত?
উত্তরঃ শীতের শুরুতে হাঁসেরা দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
৩.৬ 'তাই বেচারি উড়তে পারছিল না’ — বেচারির উড়তে না পারার কারণ লেখো।
উত্তরঃবুনো হাঁসটার ডানা জখম হয়েছিল, তাই সে উড়তে পারছিল না।
৩.৭ 'সেখানে বুনো হাঁসরা রইল' বুনো হাঁসেরা কোথায় ছিল?
উত্তরঃ জোয়ানদের মুরগির রাখার জায়গাটা খালি ছিল। সেখানে বুনো হাঁস দুটি ছিল।
৩.৮ পরের হাঁসটা উড়ে চলে গেল না কেন?
উত্তরঃ পরের হাঁসটা তার সঙ্গীকে ছেড়ে উড়ে চলে গেল না।
৩.৯ নীচের পাহাড়ে বরফ গলতে শুরু হলে কী হল?
উত্তরঃ নীচের পাহাড়ে বরফ গলতে শুরু হলে আবার সবুজ ঝোপঝাড় দেখা গেল। ন্যাড়া গাছে পাতা আর ফুলের কুঁড়ি ধরল।
৩.১০ দেশে ফিরে হাঁসেরা কী করবে?
উত্তরঃ দেশে ফিরে হাঁসেরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
৩.১১ একদিন জোয়ানরা সকালের কাজ সেরে এসে কী দেখল?
উত্তরঃএকদিন জোয়ানেরা সকালের কাজ সেরে এসে দেখে হাঁস দুটি উড়ে চলে গেছে।
৩.১২ জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর: লাদাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল।
৩.১৩ জোয়ানরা কী কাজ করে?
উত্তর: জোয়ানরা দেশের মানুষকে রক্ষার কাজ করে। মানুষরা যাতে নির্বিঘ্নে, শান্তিতে বাস করতে-তার জন্যই করে জোয়ানরা।
৩.১৪ দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন?
উত্তর: একটি বুনো হাঁসের ডানায় জখম ছিল। তাই সে উড়তে না পারায় দলছুট হয়। অপরটি ইচ্ছা করলে উড়ে যেতে পারত। কিন্তু সে বন্ধু হাঁসটিকে রেখে গেল না। সে-ও দলছুট হল।
৩.১৫ বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে কী খেত?
উত্তর: বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি খেত।
৩.১৬ হাঁসেরা আবার কোথায়, কখন ফিরে গেল?
উত্তর: সারা শীতকাল জোয়ানদের তাঁবুতে কাটিয়ে শীতের শেষে হাঁসেরা নিজেদের দেশে ফিরে গেল।
৩.১৭ লীলা মজুমদারের জন্ম কোন্ শহরে?
উত্তর: লীলা মজুমদারের জন্ম কলকাতায়।
৩.১৮ তাঁর শৈশব কোথায় কেটেছে?
উত্তর: তাঁর শৈশব শিলং পাহাড়ে কেটেছে।
৩.১৯ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বই- 'পদিপিসির বর্মিবাক্স', 'হলদে পাখির পালক'।
৪। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
৪.১ 'বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত' কাদের, কেন বাড়ির জন্য মন কেমন করত?
উত্তরঃ আমাদের সৈন্যবাহিনীর জোয়ানদের বাড়ির জন্য মন কেমন করত। লাদাকের বরফে ঢাকা একটা নির্জন জায়গায় আমাদের সেনা জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল। সেখানে চিঠিপত্র বিশেষ পৌঁছাত না। তারা রেডিয়োতে বাড়ির খবর পেত। সে কারণে তাদের বাড়ির জন্য মন খারাপ হত।
৪.২ নিরাপদে তাদের শীত কাটে- কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের শীত নিরাপদে কীভাবে কাটে?
উত্তরঃ এখানে 'বুনো হাঁস' গল্পের বুনো হাঁসেদের কথা বলা হয়েছে। বুনোহাঁসেরা হিমালয়ের উত্তর দিক থেকে বরফের পাহাড় পেরিয়ে আসে। তাদের কোনো কোনো দল ভারতবর্ষ পেরিয়ে যায়। সমুদ্রের ছোটো ছোটো দ্বীপে গিয়ে নামে। সেখানে মানুষের বসবাস নেই। তাই তাদের নিরাপদে শীত কাটে।
৪.৩ 'তারপর ওরা অবাক হয়ে দেখল'- 'ওরা' কারা? তারা অবাক হয়ে কী দেখল?
উত্তরঃ এখানে 'ওরা' বলতে 'বুনো হাঁস' গল্পে ভারতীয় সেনা জোয়ানদের কথা বলা হয়েছে। জোয়ানেরা প্রথমে একটি বুনো হাঁসকে একটা ঝোপের উপর নেমে থরথর করে কাঁপতে দেখে। তারপর তারা অবাক হয়ে দেখে আরেকটা বুনো হাঁস তার কাছে নেমে এসে আগের হাঁসটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে।
৪.৪ 'সেখানে বুনো হাঁসরা রইল' বুনো হাঁসেরা কোথায় থাকল? সেখানে তারা কী খেত?
উত্তরঃ জোয়ানদের মুরগি রাখার জায়গাটা খালি ছিল। তারা বুনো হাঁসেদের সেখানেই রাখে। জোয়ানদের তাঁবুতে বুনো হাঁসেরা টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি খেত।
৪.৫ শীতকাল কেটে যাবার পর কী দেখা গেল?
উত্তরঃ শীতকাল কেটে যাবার পর নীচের পাহাড়ের বরফ গলে গেল। পাহাড়ের গাছে দেখা গেল সবুজ ঝোপঝাড়, ন্যাড়া গাছের পাতা তার ফুলের কুঁড়ি গজাল। আস্তে আস্তে পাখিরা আসতে শুরু করল। এবার তাদের গতি ছিল দক্ষিণ থেকে উত্তরে। অর্থাৎ | তারা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে থাকল।
৪.৬ 'বুনো হাঁস' গল্পের হাঁসেরা শেষ পর্যন্ত কোথায় ফিরে গেল? (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তরঃ শীতের শেষে লাদাকের পার্বত্য উপত্যকার নীচের দিকে বরফ গলতে শুরু করল। পাহাড়ের বুকে দেখা গেল সবুজের ছাপ। ন্যাড়া গাছের গায়ে দেখা গেল পাতা ও ফুলের কুঁড়ি। আহত হাঁসটি জোয়ানদের তাঁবুতে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল। বুনো হাঁসের দল দক্ষিণ থেকে উত্তরে ফিরে যেতে থাকল নিজেদের ফেলে আসা বাসস্থানে।
৪.৭ "এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল"- কেমন করে সারা শীতকাল কাটল? এরপর কী ঘটনা ঘটল? (চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির)
উত্তর: বুনো হাঁসদুটির দেখাশোনা করা জোয়ানদের নিত্যকর্ম হয়ে উঠল। দুটি হাঁসই শীতে জোয়ানদের তাঁবুতে থেকে গেল। একটি হাঁসের জখম ডানা সারল। সে একটু একটু করে উড়তে চেষ্টা করত। কিন্তু বারবার পড়ে যেত। এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।
এরপর নীচে পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করে। সবুজ বন দেখা দেয়। গাছে নতুন কুঁড়ি দেখা দেয়। তারপর পাখিরা আবার আসতে শুরু করল দক্ষিণ থেকে উত্তরে। মাথার উপর দিয়ে হাঁসের দল গেলেই বুনো হাঁসেরা চঞ্চল হয়ে যেত। তাঁবুর বাইরে তারা চরত। একদিন সকালে কাজ সেরে এসে জোয়ানরা দেখে হাঁস দুটি উড়ে গেছে আর জোয়ানদেরও বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে।
৪.৮ কোনো পশু বা পাখির প্রতি তোমার আমার সহমর্মিতার একটা ছোট্ট ঘটনার কথা:
উত্তর: একদিন একটি বিড়াল আমাদের দরজার সামনে পড়েছিল। বিড়ালটিকে বোধহয় কেউ গরম জল বা গরম চা গায়ে ঢেলে দিয়েছিল। আমি মায়ের বকুনি সত্ত্বেও সেটিকে পড়ার ঘরের পাশে রাখি; গরম দুধ খাইয়ে সেবা করি। গায়ে মলমও লাগাই। দিন চারেক পরে বিড়ালটি সুস্থ হয়।
👉Download Books PDF
Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi medhi