অধ্য়ায় - ৭
পরিবেশ খনিজ ও শক্তিসম্পদ
-----------------------------------------------
👉Text Books PDF
👉MCQ Online Exam
👉MCQ Answer
👉Paid Answer (For Membership User)
ঠিক বাক্যের পাশে '✓' ও ভুল বাক্যের পাশে 'x' চিহ্ন দাও:
1. কয়লাখনির দেয়াল ও মেঝে সিমেন্টের তৈরি হয়। (X)
2. আসানসোল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাতশো মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।(×)
3. আসানসোল-রানিগঞ্জে লোহার খনি দেখা যায়।(x)
4. কয়লাখনিতে আলো কমজোরি হয়।(√)
5. পাহাড়ের মাথায় কয়লা পাওয়া যায়।(√)
শূন্যস্থান পূরণ করো:
1. কয়লাখনিতে চলতে গেলে —------------------এর সাহায্য লাগে।
উত্তর: গাইড
2. পশ্চিমবঙ্গের-----------------এ কয়লাখনি আছে।
3. কয়লাখনি দেখতে-------------------এর মতো হয়।
উত্তর: পুকুর
4. কয়লাখনির------------------- টা কাদা-কাদা মতন হয়।
উত্তর: পথ
5. আসানসোল-এ-------------------- মিটার গভীরে কয়লা আছে।
উত্তর: ছশো
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
1. রানিগঞ্জ কোন্ শহরের পশ্চিমে অবস্থিত।
উত্তর: রানিগঞ্জ বর্ধমান শহরের পশ্চিমে অবস্থিত।
2. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কয়লাখনি আছে?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জে কয়লাখনি আছে।
3. পশ্চিমবঙ্গের প্রধান খনিজ সম্পদের নাম কী? (অথবা, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান খনিজ সম্পদ কী?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের প্রধান খনিজ সম্পদ হল কয়লা।
4. আসানসোলে কোন গভীরতা পর্যন্ত কয়লা পাওয়া যায় ?
উত্তর: আসানসোলে ছশো মিটার গভীরতা পর্যন্ত কয়লা পাওয়া যায়।
5. আসানসোলের প্রাকৃতিক সম্পদ কী?
উত্তর: আসানসোলের প্রাকৃতিক সম্পদ হল কয়লা।
Short Answer Questions
1. কয়লাখনি কীরকম হতে পারে?
উত্তর: খোলামুখ কয়লা খনি হয় পুকুরের মতো। সেগুলি কাটতে কাটতে কয়লা বেরোয়। আর গভীর খনিতে সুড়ঙ্গ করে ঢুকতে হয়।
2. কয়লাখনির সুড়ঙ্গ ভিতরের পরিবেশটা কীরকম?
উত্তর: কয়লাখনির সুড়ঙ্গের ভিতরের চারদিকে কয়লা থাকে বলে আলোর জোর কম হয়। যেখান সেখান থেকে চুইয়ে চুঁইয়ে জল পড়ে। হাঁটার পথটা কাদাকাদা মতন হয়।
3. কয়লাখনি কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: কয়লাখনি দুই প্রকার খোলামুখ খনি ও সুড়ঙ্গ পথ খনি। ওপরের মাটি কেটে পুকুরের মত গভীর করলে খোলা মুখ খনি থেকে কয়লা পাওয়া যায়। বড়ো খনিগুলোতে গভীর সুড়ঙ্গপথে ঢুকতে হয়।
4. কয়লাকে কালো হিরে' বলা হয় কেন ?
উত্তর: তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন, লোহা-ইস্পাত উৎপাদন ইত্যাদি বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে কয়লার ব্যবহার হয়। এই ব্যবহারিক মূল্যের জন্য কয়লাকে 'কালো হিরে' বলা হয়।
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
1. জ্বলন্ত কাঠে যা দিলে কাঠকয়লা তৈরি হয়-
(A) অ্যাসিড
(B) লবণ
(C) ক্ষার
(D) জল
2. গাছপালা মাটির নীচে
(A) টর্নেডো
(B) সাইক্লোন
(C) দাবানল
(D) ভূমিকম্প হলে
3. তুবড়ি বানাতে লাগে-
(A) কাঠ
(B) কয়লা
(C) কাঠকয়লা
(D) লোহা
4. কলকাতায় ট্রাম-
(A) বিদ্যুৎ শক্তি
(B) পেট্রোল
(C) ডিজেল
(D) কেরোসিন-এর মাধ্যমে
5. সকল শক্তির উৎস হল-
(A) চাঁদ
(B) সূর্য
(C) কয়লা
(D) মেঘ
6. টারবাইন দেখতে হয়-
(A) পাখার
(B) বন্দুকের
(C) বাড়ির
(D) গাছের মতো
উত্তর: (1)-(D) জল, (2)- (D) ভূমিকম্প হলে, (3)-(C) কাঠকয়লা-এর মাধ্যমে, (4)-(A) বিদ্যুৎ শক্তি, (5)-(B) সূর্য, (6) -(A) পাখার।
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
1. কাঠকয়লা দিয়ে কোন্ বাজি তৈরি হয়?
উত্তর: কাঠকয়লা দিয়ে তুবড়ি তৈরি হয়।
2. উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় কয়লা পাওয়া যায়?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় কয়লা পাওয়া যায়।
3. মাটির নীচে কীসের জন্য কাঠ পড়ে যায়?
উত্তর: মাটির নীচে চাপে আর জলে কাঠ পচে যায়।
4. মাটি চাপা পড়ে গাছের কোন অংশ থেকে কয়লা তৈরি হয়?
উত্তর: মাটি চাপা পড়ে গাছের সার অংশ থেকে কয়লা তৈরি হয়।
5. পশ্চিমবঙ্গের কয়লাখনি অঞ্চলটির ক্ষেত্রফল কত?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের কয়লাখনি অঞ্চলটির ক্ষেত্রফল প্রায় দেড়
6. কী হলে অনেক গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়তে পারে?
উত্তর: ভূমিকম্প হলে অনেক গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়তে পারে।
দুই তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
1. কয়লায় কার্বনের পরিমাণ বাড়ে কীভাবে?
উত্তর: কয়লা যত বেশিদিন চাপে আর তাপে থাকে, তত এর মধ্যে থাকা অন্য জিনিসের পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু কার্বনের পরিমাণ কমে না। ফলে কয়লায় কার্বনের অংশ বেড়ে যায়।
2. সব কয়লা পোড়ালে বেশি ছাই হয় না কেন?
উত্তর: গাছপালা যত বেশি দিন মাটির ভেতরে চাপে আর তাপে থাকবে ততই মালিন্য বা ক্লেদ জাতীয় আবর্জনা এবং জলীয় বাষ্প, বিভিন্ন উদ্বায়ী পদার্থের পরিমাণ কমে যাবে। ফলে যে কয়লা কার্বনের পরিমাণ বেড়ে যায় সেই কয়লা পোড়ালে ছাই, ধোঁয়া কম হয়। আর সব ধরনের কয়লার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে না বলে সব কয়লার পোড়ালে বেশি ছাই হয় না।
3. আগ্নেয়গিরি কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর ভেতর থেকে উত্তপ্ত তরল শিলা বা লাভা, শিলাচুল ভস্ম প্রভৃতি কোন ফাটল বা ছিদ্রপথের মধ্য দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে ভু-পৃষ্ঠে জমা হয়ে যে পর্বত বা উচ্চভূমি তৈরি করে তাকে আগ্নেয়গিরি বলে।
4. কয়লা এবং কাঠ কয়লার মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর: মাটির তলায় উদ্ভিদ চাপা পড়ে বহুকাল ধরে কয়লার চেহারা নেয়। কিন্তু জ্বলন্ত কাঠে জল দিলে কাঠকয়লা তৈরি হয়। অর্থাৎ কয়লা তৈরিতে কাঠকয়লা তৈরির চেয়ে বেশি সময় লাগে।
5. ধোঁয়া লাগলে চোখ জ্বালা করে কেন?
উত্তর: কয়লার ধোঁয়ায় সালফার, নাইট্রোজেন ও কার্বনের অক্সাইড এবং বস্তুকণা আছে। এগুলো চোখে লাগলে অস্বস্তি হয়ে থাকে। তাই ধোঁয়া লাগলে চোখ জ্বালা করে।
6. কার্বন মনোক্সাইড কী?
উত্তর: গ্যাসটি কার্বনের এক প্রকার অক্সাইড। এটি কয়লার ধোঁয়ায় থাকে। বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড মানুষের শ্বাসকষ্টের কারণ হয়।
7. কয়লার ধোঁয়ায় কী কী গ্যাস থাকে?অথবা, ধোঁয়াতে কোন কোন গ্যাস থাকে?
উত্তর: কয়লার ধোঁয়ায় বা ধোঁয়ায় থাকা প্রধান বিষাক্ত গ্যাস হল কার্বন মনোক্সাইড। এছাড়া কার্বনের অন্যান্য অক্সাইড, সালফারের অক্সাইড আর নাইট্রোজেনের অক্সাইড গ্যাস, থাকে।
8. কয়লা পোড়ালে কীভাবে বায়ুদূষণ হয়?
উত্তর: কয়লা পোড়ালে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি গ্যাস এবং প্রচুর ছাই, ধোঁয়া, কয়লার গুঁড়ো (ফ্লাই অ্যাশ) প্রভৃতি বাতাসকে দূষিত করে।
ঠিক বাক্যের পাশে'✓' ও ভুল বাক্যের পাশে' x' চিহ্ন দাও:
1. কয়লাখনিতে বাতাস পাঠানো হয়।(✓)
2. কয়লাখনিতে কোনো ভুল হওয়ার আগে টাইপ-রাইটারে ধরা পড়ে।(x)
3. কয়লার ধোঁয়ায় সালফারের অক্সাইড থাকে।(✓)
4. কার্বন মনোক্সাইড বিষাক্ত গ্যাস।(✓)
5. অ্যাসিড বৃষ্টি ক্ষেতের ফসলের ক্ষতি কের।(✓)
Editing By- Lipi Medhi