পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি
[ পাঠ্যবই পৃ: ৬২-৮৩]
—------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (Very Short Questions)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
1. বীরভূমের মাটি-
(A) সবুজ
(B) কালচে
(C) হলুদ
(D) লালচে ✔
2.পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলি বয়ে চলেছে-
(A) উত্তর থেকে দক্ষিণে ✔
(B) দক্ষিশ থেকে উত্তরে
(C) পূর্ব থেকে পশ্চিমে
(D) কোনোটিই নয়।
3. দামোদর বয়েছে-
(A) পশ্চিম থেকে পূর্বে ✔
(B) উত্তর থেকে দক্ষিণে
(C) দক্ষিণ থেকে উত্তরে
(D) পশ্চিম থেকে দক্ষিণে
4. তিস্তা নদীর ঢাল-
(A) উত্তর থেকে পূর্বে
(B) পশ্চিম থেকে দক্ষিণে
(C) উত্তর থেকে দক্ষিণে ✔
(D) পূর্ব; থেকে উত্তরে
5. মালভূমি অঞ্চলে মাটির রং
(A) লাল ✔
(B) কালো
(C) বাদামি
(D) সবুজ
6. মালভূমি অঞ্চলে মাঝে মাঝে দেখা যায়-
(A) টিলা
(B) পাহাড়
(C) দুটিই ✔
(D) কোনোটিই নয়
7. চিত্তরঞ্জন যে জেলায় অবস্থিত-
(A) পূর্ব মেদিনীপুর
(B) পশ্চিম মেদিনীপুর
(C) পূর্ব বর্ধমান ✔
(D) পশ্চিম বর্ধমান
8. পুরুলিয়া জেলার পুরোটাই-
(A) উপকূল
(B) মালভূমি ✔
(C) পর্বত
(D) সমভূমি
9. বাঁকুড়ার চারদিকে যে গাছের জঙ্গল-
(A) সুন্দরী
(B) গরান
(C) শাল ✔
(D) তমাল
10. উত্তর 24 পরগনার নদী হল-
(A) দামোদর
(B) বিদ্যাধরী ✔
(C) কুলিক
(D) তোর্
ঠিক বাক্যের পাশে '✓ ' ও ভুল বাক্যের পাশে 'X' চিহ্ন দাও:
1. দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদী মিশে তৈরি হয়েছে রূপনারায়ণ। (√)
2. দামোদর থেকে বিদ্যাধরী নদী বেরিয়েছে। (X)
3. শান্তিনিকেতন বীরভূমের পূর্বদিকে অবস্থিত। (√)
4. রাঢ় অঞ্চলের মাটি অনুর্বর। (X)
5. রাঢ় অঞ্চলে আকাশমণি গাছ দেখা যায়। (√)
6. রাঢ় অঞ্চলে বেলেমাটি বেশি। (x)
7. বাঁকুড়ার দক্ষিণের জমি খুব উর্বর। (√)
8. সুন্দরবনের মাটি নোনা। (√)
9. জোড়াসাঁকো হাওড়ায় অবস্থিত। (X)
10. রবীন্দ্রনাথ বনগাঁ থেকে শিলাইদহে যাতায়াত করতেন। (X)
শূন্যস্থান পূরণ করো :
1. দামোদর ---------------------- থেকে পূর্বে এসেছে।
2. দামোদর দক্ষিণ দিকে গিয়ে ----------------------- নদীতে মিশেছে।
3.-------------------------------- নদীকে অনেকে গঙ্গা বলে
4. চিত্তরঞ্জনে মাঝে মাঝে ------------------------ আর পাহাড় দেখা যায়।
5. মালভূমি অঞ্চলের মাটিতে ------------------------------ মিশে থাকে।
6.------------------------------------- জেলার পশ্চিম দিকটা মালভূমি।
7. —-------------------------------পাতা দিয়ে প্লেট তৈরি হয়।
8. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের একটি গাছ হল---------------------------- ।
উত্তর: 1. পশ্চিম, 2. গঙ্গা, 3. হুগলি। 4. টিলা, 5. কাঁকর, 6. পশ্চিম বর্ধমান, 7. শাল, 8. মেহগনি।
দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
1. চিত্তরঞ্জনে ভূমির ধরন কেমন?
উত্তর: চিত্তরঞ্জনে ভূমি সব জায়গায় সমতল নয়, ঢেউখেলানো। এই ভূমির মাঝে মাঝে উঁচু টিলা আর পাহাড় দেখা যায়।
2. মালভূমি কাকে বলে?
উত্তর: সাধারণত 300 মিটারের বেশি উঁচু চারপাশে খাড়াঢালওয়ালা, ঢেউখেলানো বা উঁচুনীচু উপরের অংশ যুক্তজমিই হল মালভূমি। যেমন-ছোটোনাগপুর মালভূমি। উত্ত
3. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কোথায় মালভূমি দেখা যায়?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার পুরোটাই মালভূমি। এছাড়া বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং পশ্চিম উত্ত বর্ধমান জেলার পশ্চিম অংশে মালভূমি দেখা যায়।
4. রাঢ় অঞ্চল কাকে বলে।
উত্তর: আমাদের রাজ্যের হুগলি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানের বেশিরভাগ অংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরের উত্তর পূর্ব ও দক্ষিণ অংশ, পূর্ব মেদিনীপুরের পশ্চিম অংশ জুড়ে যে সমভূমি রয়েছে, তাকে রাঢ় অঞ্চল বলে। এটি সমভূমি হলেও জায়গাবিশেষে ঢেউখেলানো।
5. দামোদর নদ সম্বন্ধে কী জানো?
উত্তর:
6. অজয় ও ময়ূরাক্ষী নদীদুটির মিল কোথায় বলো তো?
উত্তর:
7. রূপনারায়ণের সৃষ্টি সম্বন্ধে কী জানো?
উত্তর:
8. রাঢ় অঞ্চলের মাটি কীরকম?
উত্তর:
9. রাঢ় অঞ্চলের গাছপালা সম্বন্ধে যা জানো লেখো।
উত্তর:
10. টীকা লেখো: নিত্যবহ নদী।
উত্তর:
ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন (Long Question)
নীচের বিষয়গুলো সম্পর্কে পাঁচ-ছয়টি বাক্য লেখো বা বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করো:
1. ব্যাখ্যা করো: পশ্চিমবঙ্গের ভূমিরূপের বৈচিত্র্য। [পর্ষদ নমুনা]
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ভূমিরূপ দেখা যায়। যেমন-
(i) দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার জেলার উত্তরাংশে পাহাড় দেখা যায়।
(ii) জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার বেশিরভাগ জায়গায় নুড়ি, পাথর ভরতি সমভূমি দেখা যায়।
(iii) এ রাজ্যের পশ্চিমাংশে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের পশ্চিমাংশ ইত্যাদি জায়গায় মালভূমি আছে।
(iv) রাঢ় অঞ্চলের অন্তর্গত বাঁকুড়া, বীরভূম ইত্যাদি জেলার বেশিরভাগ অংশে ঢেউখেলানো সমভূমি দেখা যায়।
(v) আর বাকি অঞ্চলটা সমভূমির অন্তর্গত।
2. কাছাকাছি অঞ্চলের ভূমির ঢাল দেখে একটা ছবি এঁকে কোন্ দিক থেকে কোন্ দিকে ঢাল বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:
সংক্ষিপ্তসার : অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের পশ্চিমাংশ এবং
সমগ্র পুরুলিয়া জুড়ে অবস্থিত।
জমির ধরন: এই মালভূমি ঢেউখেলানো। এখানে ছড়িয়ে উঁচু টিলা ও পাহাড় দেখা যায়। মাটির রং লাল। কাঁকর-পাথরযুক্ত এই মাটি মূলত অনুর্বর।
গাছপালা : এখানকার প্রধান গাছ হল শাল, পলাশ, পিয়াল, কেন্দু ইত্যাদি। শালপাতা দিয়ে বাটি, প্লেট তৈরি করা হয়।
3. পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল সম্বন্ধে আলোচনা করো।
উত্তর: পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল আমাদের রাজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অঞ্চল এবং এটি ঝাড়খণ্ডের ছোটোনাগপুর মালভূমির অংশ।
অবস্থান: পুরুলিয়া জেলার পুরোটা এবং বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার পশ্চিম অংশ জুড়ে এই অঞ্চল অবস্থিত।
ভূপ্রকৃতি: এই অঞ্চলের জমি ঢেউখেলানো। মাঝে মধ্যে কয়েকটা টিলা ও পাহাড় দেখা যায়।পাঠ্যবইতে দেওয়া প্রশ্নগুলির সমাধান
4. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের মাটির রং লাল কেন? [ চাকদহ বাপুজি বিদ্যামন্দির।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের মাটিতে লোহার পরিমাণ বেশি তাছাড়া এই মাটিতে কাঁকর, পাথর মেশানো থাকে বলেও এর রং লাল হয়।
5. পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের ভূমিরূপ কেমন? [ মালদা জেলা স্কুল]
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের ভূমি ঢেউখেলানো। মাঝে মাঝে কিছু উঁচু টিলা ও পাহাড় দেখা যায়।
6. মালভূমি অঞ্চলের গাছপালা সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: বাঁকুড়ার চারধারে শালগাছের জঙ্গল দেখা যায়। এছাড়া পলাশ, মেহগনি, সোনাঝুরি, কেন্দু, ইউক্যালিপ্টাস ইত্যাদি গাছ দেখা যায়।
মাটির ধরন: পাহাড় বাদ দিয়ে বাকি অংশে কাঁকর, পাথর মেশানো অনুর্বর মাটি দেখা যায়।
গাছপালা : এখানে মূলত শাল, পলাশ, কেন্দু, সোনাঝুরি, ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি গাছের জঙ্গল দেখা যায়।
7. ফলের গাছ নয়, বনের গাছ। কী কী দেখেছো? তা নিয়ে নীচে লেখো:
উওর:
সংক্ষিপ্তসার: অবস্থান: বাঁকুড়ার পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে, পূর্ব বর্ধমানের পূর্বাংশ জুড়ে রাঢ় অঞ্চল অবস্থিত। প্রধান নদ নদী হল দ্বারকেশ্বর, দামোদর, রূপনারায়ণ, কংসাবতী, কেলেঘাই।
এদের মধ্যে হাওড়ার ভিতর দিয়ে দামোদর হুগলিতে মিশেছে। রূপনারায়ণ
গেঁওখালির কাছে হুগলি নদীতে মিশেছে। কেলেঘাই ও কংসাবতী মিলে হলদি নামে যে নদী তৈরি হয়েছে সেটিও হুগলি নদীতে মিশেছে।
জমির ধরন: এখানের জমি মূলত সমতল। তবে উত্তর ও পশ্চিম ধার বরাবর কিছুটা ঢেউ খেলানো মাটি মূলত দোআঁশ প্রকৃতির।
গাছপালা : চাষের জন্য এখানকার অনেক গাছ কাটা হয়েছে। তবে বন দফতর শাল, সেগুন, শিশু ইত্যাদি গাছ লাগিয়েছে। ফলে কয়েকটা বন তৈরি হয়েছে।
8 বাম ও ডানদিকের স্তম্ভ মেলাও:
1.
উত্তর: i. (b), ii. (c), iii. (a)
২.
উত্তর: i. (c), ii. (b), iii. (a)।
9. পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চল সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উত্তর: রাঢ় অঞ্চল পশ্চিমবঙ্গের একটি উল্লেখযোগ্য সমভূমি অঞ্চল।
অবস্থান: বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিম অংশ, পশ্চিম বর্ধমান জেলার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে এই সমভূমি অঞ্চল অবস্থিত।
ভূপ্রকৃতি: প্রায় পুরো জমিটাই সমতল হলেও উত্তর ও পশ্চিম ধার বরাবর জমি উঁচু হয়ে গেছে।মাটির ধরন: বেশিটাই দোআঁশ, আর কিছু কিছু জায়গায় এঁটেল মাটি দেখা যায়।
নদনদী : এই অঞ্চলের প্রধান নদনদীগুলি হল দামোদর, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী, অজয়, ময়ূরাক্ষী
ইত্যাদি।
গাছপালা : বনদফতরের লাগানো শাল, শিশু, সেগুন ইত্যাদি গাছের জঙ্গল দেখা যায়।
10. রাঢ় অঞ্চলের নদনদীগুলো সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: রাঢ় অঞ্চলের প্রধান নদনদীগুলি হল দামোদর, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী, কংসাবতী ইত্যাদি।
(i) ঝাড়খণ্ড থেকে আসা দামোদর হাওড়া জেলার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণে গিয়ে হুগলি নদীর সঙ্গে মিশেছে। হুগলিতে দামোদর থেকে মুন্ডেশ্বরী নদী বেরিয়েছে।
(ii) বাঁকুড়ার পশ্চিম দিক থেকে আসা। দ্বারকেশ্বর নদী এই নদীর দক্ষিণে বয়ে চলা শিলাবতীর সঙ্গে ঘাটালের কাছে মিশেছে। এই দুটি নদীর মিলিত প্রবাহ হল রূপনারায়ণ।
(iii) কংসাবতী ও কেলেঘাই নদীর মিলিত প্রবাহ হল হলদি। এটি হুগলি নদীতে মিশেছে।
0 Comments