অধ্য়ায় - ১৬
ফণীমনসা ও বনের পরি
👉Text Book PDF
👉MCQ Online Exam
👉MCQ Answer
👉Paid Answer (For Membership User
১.৪ পরির গল্প তুমি কোথায় পড়েছ?
উত্তরঃ পরির গল্প আমি রূপকথার বইতে পড়েছি।
১.৫ সোনার মতো দামি আর কোন্ ধাতুর কথা তুমি জানো?
উত্তর: সোনার মতো দামি ধাতু হল প্লাটিনাম, হিরে প্রভৃতি।
এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে সঠিক বাক্যটি লেখো:
১. বলো চাও কীরকম তুমি পাতা।
উত্তরঃ তুমি কীরকম পাতা চাও বলো।
২. হয়েছে তো সুবুদ্ধি তোমার এই।
উত্তরঃ এই তো তোমার সুবুদ্ধি হয়েছে।
৩. না আর পাতা চাই সোনার।
উত্তর: আর সোনার পাতা চাই না।
দাগ দেওয়া অংশে সমার্থক শব্দ বসিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো। শব্দঝুড়ির সাহায্য নিতে পারো: অবিরাম, অবস্থা, গগন, যন্ত্রণা, চারাগাছ, প্রবল, আরম্ভ
১. আহা-হা ব্যথায় মরি।
উত্তরঃ আহা-হা যন্ত্রণায় মরি।
২. শুরু হল কচি গাছের অঝোর কান্না।
উত্তরঃ আরম্ভ হল চারাগাছের অবিরাম কান্না।
৩. ডাকাতেরা আমার কী হাল করে রেখে গেছে।
উত্তরঃ ডাকাতেরা আমার কী অবস্থা করে রেখে গেছে।
৪. আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়।
উত্তরঃ গগন দিয়ে ধেয়ে এল প্রবল ঝড়।
নীচের বাক্যগুলিতে দাগ দেওয়া অংশগুলি আর কীভাবে লিখতে পারো? বাক্য যদি বদলে যায়, বদলেই লেখো। শব্দঝুড়ি থেকে সাহায্য নিতে পারো: গর্বে বুক ভরে ওঠে, লোভ জাগছে, মাফ করে দাও, হিংসায় জ্বলে ওঠে।
১. মন তার রি রি করে ওঠে।
উত্তরঃ মন তার হিংসায় জ্বলে ওঠে।
২. ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না।
উত্তরঃ ছোট্ট গাছটির এবার গর্বে বুক ভরে ওঠে।
৩. জিবে জল ঝরছে তোরে পেয়ে গো।
উত্তরঃ লোভ জাগছে তোরে পেয়ে গো।
৪. ঘাট হয়েছে কানে ধরি।
উত্তর : মাফ করে দাও কানে ধরি।
ছোটো ছোটো বাক্যে ভেঙে লেখো:
১. কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি দেখতে লাগল।
উত্তরঃ কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ল। সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি দেখতে লাগল।
২. পরি অদৃশ্য হতেই ফণীমনসার গা ভরে দেখা দিল কচি নরম পাতা।
উত্তর: পরি অদৃশ্য হয়ে গেল। ফণীমনসার গা ভরে সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিল কচি নরম পাতা।
৩. ডাকাতেরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিয়ে পোঁটলা বেঁধে ওকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।
উত্তর: ডাকাতেরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ল। সেগুলো নিয়ে পোঁটলা বাঁধল। ওকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে দিল।
৪. ভয়ানক ঝড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।
উত্তরঃ ভয়ানক
ঝড় উঠল। ফণীমনসার গাছের সমস্ত পাতা কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে গেল।
পাশাপাশি ছোটো ছোটো বাক্যগুলি যোগ করে একটি বাক্য তৈরি করো:
১. একসময় ঝড় থামল। আর শুরু হল বাচ্চা গাছের অঝোরে কান্না।
উত্তরঃ একসময় ঝড় থেমে গেলে শুরু
হল বাচ্চা গাছের অঝোর কান্না।
২. এমন সময় সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল সে।
উত্তরঃ এমন সময় সেই পথ দিয়ে বনের
পরি যেতে যেতে ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল।
৩. গভীর বন। তার গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই।
উত্তরঃ গভীর বনের মধ্যে ছোট্ট ফণীমনসা গাছটির মনে এক ফোঁটাও
শান্তি নেই।
৪. ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না। মৃদুমন্দ বাতাসে হেলতে দুলতে লাগল সে।
উত্তরঃ ছোট্ট গাছটি এবার দেমাকে মাটিতে পা না ফেলে মৃদু মন্দ
বাতাসে হেলতে দুলতে লাগল মজা করে।
পাশে যেভাবে বলা আছে, সেই অনুযায়ী
নীচের বাক্যগুলি বদলে আমার লেখো:
১. আকাশ দিয়ে ধেয়ে আসবে দুর্দান্ত ঝড়। ঝড় আগামীকাল এলে কী লিখবে?
উত্তরঃ আকাশ
দিয়ে ধেয়ে আসবে দুর্দান্ত ঝড়।
২. বলতে দেরি আছে কিন্তু চিন্তা নিতে দেরি নেই। (কথাগুলো গতকাল হয়েছে বলতে হলে যেভাবে লিখবো।)
উত্তরঃ বলতে
দেরি ছিল, কিন্তু নিতে দেরি ছিল না।
৩. যে পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। (কথাগুলো এখনই বলা হচ্ছে, এমন হলে কী লিখবে?)
উত্তর : যে পথ দিয়ে চলেছে বনের পরি।
একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না কেন?
উত্তর: ফণীমনসা গাছের আশপাশের গাছগুলোর খুব সুন্দর সুন্দর
২. ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলোর পাতা কেমন ছিল?
উত্তর: ফণীমনসা গাছের আশপাশের
গাছগুলোর পাতাগুলো ছিল খুব সুন্দর।
৩. ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন
কার কাছে করছিল?
উত্তর: ফণীমনসা তার পাতাগুলো
বারবার পালটে দেওয়ার জন্য বনের পরির কাছে আবেদন করছিল।
৪. প্রথম বারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে কেমন পাতা হয়েছিল?
উত্তর: প্রথম বারের আবেদনের ফলে
বনের পরি ফণীমনসার গাছের সব পাতাগুলো সোনার পাতা করে দিল।
৫. সে সব পাতা ফণীমনসা হারালো কী করে?
উত্তরঃ ফণীমনসা গাছের সুন্দর
সোনার পাতাগুলো সব ডাকাতেরা এসে ছিঁড়ে পোঁটলা বেঁধে নিয়ে চলে গেল।
৬. ডাকাতদলকে দেখতে কেমন?
উত্তরঃ ডাকাতদলের চেহারা জোয়ান, কানে জবাফুল গোঁজা, তাদের মাথা বাবরি চুলে ভরা।
৭. ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের পাতার কী অবস্থা হল?
উত্তরঃ ঝড় এলে
ফণীমনসা গাছের কাচের পাতা ধাক্কা খেয়ে খেয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল।
৮. ছোট্ট ফণীমনসা গাছের দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না কেন?
উত্তরঃ পরি
ফণীমনসা গাছের আবেদনে তার সব পাতাগুলো পালং-এর মতো কচি নরম সবুজ পাতায় ভরে দিল।
ফণীমনসা গাছের রূপ হয়ে গেল খুব সুন্দর। তখন ছোট্ট গাছটির দেমাকে আর মাটিতে পা
পড়ছিল না।
৯. সেই দেমাক তার ভেঙে গেল কীভাবে?
উত্তরঃ একটা
ছাগল এসে ফণীমনসার গাছের সুন্দর কচি পাতা অতিরিক
১০. শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা কেমন পাতা চাইল নিজের জন্য?
উত্তর: শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা গাছ
তার যে রকম কাঁটাভরা ছুঁচোলো পাতা ছিল সেই রকম পাতাই চেয়ে নিল বনের পরির কাছ থেকে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
১. "বাচ্চা গাছটি তো মহা খুশি। আনন্দে ডগমগ”। -এত আনন্দ কখন হল বাচ্চা গাছের?
উত্তরঃ বাচ্চা ফণীমনসা গাছটা তার
কাঁটাভরা পাতা নিয়ে মোটেই খুশি ছিল না। সে বনের পরির কাছে আবেদন করল তার পাতাগুলো
সব সোনার পাতা করে দিতে হবে। বনের পরি ফণীমনসা গাছের আবেদনে সাড়া দিয়ে তার সব পাতা
উজ্জ্বল সোনার পাতায় পরিণত করে দিল। নিজের পাতার সুন্দর চেহারা দেখে ফণীমনসা গাছ
আনন্দে ডগমগ হয়ে উঠল।
২. ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠবার পরে তার চেহারাটি কেমন হয়েছিল?
উত্তরঃ ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায়
ভরে উঠলে তার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল। মৃদুমন্দ
বাতাসের দোলা লেগে সুমধুর টুং-টাং শব্দ হতে লাগল।
৩. মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হওয়ায় কী ঘটল?
উত্তরঃ মনের আনন্দে মৃদু বাতাসে
আনন্দে যখন ফণীমনসা গাছ দুলছে সেই সময় একটা ছাগল এসে ফণীমনসার সুন্দর কচি সুবজ
পাতাগুলো সব কচকচ করে খেয়ে ফেলল।
৪. ছোট্ট গাছটি সত্যিই কি খুব শিক্ষা পেল বলে মনে হচ্ছে তোমার? কেমন সে শিক্ষা?
উত্তর: ছোট্ট ফণীমনসা গাছ সত্যিই
শিক্ষা পেল। সে তার নিজস্ব যে পাতা ছিল তা নিয়ে আদৌ সন্তুষ্ট ছিল না। সে মনে করত
তার পাতাগুলো বিতিকিচ্ছিরি। বনের পরির কাছে সে একে একে সোনার পাতা, কাচের পাতা, পালংশাকের মতো নধর সবুজ
পাতা চেয়ে নিল। কিন্তু তার যা পরিণতি হল তাতে সে বুঝল যার যেমন পাতা প্রকৃতি
দিয়েছে তাতেই তার সন্তুষ্ট থাকা উচিত। তা না হলে বিপদ অনিবার্য।
উত্তরঃ ফণীমনসা গাছটি ছিল বনের গভীরে।
অতিরিক্ত সংযোজন
১। ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
১.১ ফণীমনসা গাছটি ছিল বনের- ধারে/শেষে/গভীরে/শুরুতে। (ফালাকাটা হাইস্কুল)
উত্তর : ফণীমনসা গাছটি ছিল বনের গভীরে ।
১.২ ফণীমনসা গাছটির পাতা ছিল- পানপাতার মতো গোল/ছুঁচালো/ভোঁতা।
উত্তর: ফণীমনসা
গাছটির পাতা ছিল ছুঁচালো।
১.৩ ফণীমনসা পরিকে স্মরণ করেছিল মোট- দুই/তিন/ চার/পাঁচ বার।
উত্তরঃ ফণীমনসা পরিকে স্মরণ
করেছিল মোট চার বার।
১.৪ গাছের সবুজ পাতাগুলি খেয়েছিল-গোরু/ছাগল/ভেড়া/ হরিণ।
উত্তর: গাছের সবুজ পাতাগুলি
খেয়েছিল ছাগল।
১.৫ সোনার পাতা পেয়ে ফণীমনসার আনন্দে ডগমগ হওয়ার কারণ-তাকে এবার আর ছাগলে খেতে পারবে না/ | আর কোনো গাছের সোনার পাতা নেই/তার প্রিয় পরি তাকে সোনার পাতা দিয়েছে/তার বিতিকিচ্ছিরি পাতাগুলো এবার ঝলমল আর সুন্দর হয়ে উঠেছে।
উত্তর : সোনার পাতা পেয়ে ফণীমনসার
আনন্দে ডগমগ হওয়ার কারণ — তার
বিতিকিচ্ছিরি পাতাগুলো এবার ঝলমলে আর সুন্দর হয়ে উঠেছে।
১.৬ ফণীমনসা গাছের দেমাক হয়েছিল যে পাতা নিয়ে- সোনার/কাচের/সবুজ কচি/পাথরের।
উত্তরঃ ফণীমনসা
গাছের দেমাক হয়েছিল সবুজ কচি পাতা নিয়ে।
২। শূন্যস্থান পূরণ করো:
২.১ গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও —------------------ নেই।
উত্তর: গাছটির মনে কিন্তু এক
ফোঁটাও শান্তি নেই।
২.২ তোমার পায়ে পড়ি আমার এই—-------------------- পাতাগুলি পালটে দাও।
উত্তরঃ তোমার
পায়ে পড়ি আমার এই বিতিকিচ্ছিরি পাতাগুলি পালটে দাও।
২.৩ —---------------------করি যে, মোরা এই তো মোদের —-------------------------।
উত্তর: ওলটপালট করি যে, মোরা এই তো মোদের পণ।
২.৪ দেখলে —---------------- জুড়িয়ে যায়।
উত্তরঃ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
২.৫ —------------------ বেবাক সৃষ্টি।
উত্তরঃ ভগবানের বেবাক সৃষ্টি।
২.৬ আমি কাছ থেকে সব —---------------------- দেখেছি।
উত্তর: আমি কাছ
থেকে সব স্বচক্ষে দেখেছি।
২.৭ সেই আমার —-------------------- বলো।
উত্তরঃ সেই
আমার শত গুণে বলো।
২.৮ এই তো —---------------------- হয়েছে তোমায়।
উত্তর: এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমায়।
২.৯ তার তোমার মতোই —-------------------- হয়।
উত্তর: তার তোমার মতোই দুর্দশা হয়।
২.১০ সে মিছে —-------------------- করো না।
উত্তরঃ সে মিছে বায়নাক্কা করো না।
৩। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
৩.১ ফণীমনসা গাছটি কোথায় ছিল?
উত্তর : ফণীমনসা
গাছটি বনের গভীরে ছিল।
৩.২ "মঞ্জিরে জল ঝরছে তোরে পেয়ে গো?” — কে, কখন এই কথা বলেছিল?
উত্তরঃ ছাগল, ফণীমনসা কচি সবুজ পাতা দেখে এ কথা বলেছিল।
৩.৩ "ভগবানের বেবাক সৃষ্টি”। বলা হয়েছে?---- কার সম্পর্কে একথা
উত্তরঃ পাগল
সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে।
৩.৪ ফণীমনসার কাচের পাতাগুলি কেন ভেঙে পড়েছিল? (শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম ইনস্টিটিউট)
উত্তরঃ ঝড়ে
ফণীমনসার কাচের পাতাগুলি ভেঙে পড়েছিল।
৩.৫ 'ফণীমনসা ও বনের পরি' নাটকটির কোন্ চরিত্রে তুমি অভিনয় করতে চাইবে ও কেন? (পর্ষদ নমুনা)
উত্তরঃ পরি
ফণীমনসাকে সঠিক পথে চালিত করতে চেয়েছিল-ওই ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে ও তাই আমি
পরির ভূমিকায় অভিনয় করতে চাই।
Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi